২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রক নীতি করল রাজ্য পরিবহণ দফতর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 72

পুবের কলম প্রতিবেদক: পথ দুর্ঘটনা এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দফতরের নতুন ভাবনা। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুকিহীন করার লক্ষ্যে রাজ্য পরিবহন দপ্তর সড়ক পথে যানবাহনের ‘গতি নিয়ন্ত্রক নীতি’ গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্ত্তী ‘স্পিড ম্যানেজমেন্ট ফর এনহান্সিং রোড সেফটি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গলঃ পলিসি ইন্টারভেনশানস অ্যান্ড রোড ম্যাপ’ নামের একটি বইও প্রকাশ করেন। জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়্গপুরের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরের প্রচেষ্টায় এই নীতি তৈরি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফের চালু হচ্ছে শিলিগুড়িগামী বাস পরিষেবা, উদ্বোধন করলেন পরিবহণমন্ত্রী

এদিন পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ভারতের মধ্যে দুর্ঘটনাহীন শহরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে আছে।২০১৪ সালের পর পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমেছে। আরও কমাতে হবে। মৃত্যুকে একেবারে শূন্যে নামাতে হবে। একটা মৃত্যুও আমাদের কাম্য হতে পারে না। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আমরা গতি নিয়ন্ত্রক নীতি গ্রহণ করেছি। ভারতের মধ্যে আমরাই প্রথম রাজ্য যারা গতি নিয়ন্ত্রক নীতি গ্রহণ করেছি।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই এবার নোবেল দেওয়া উচিত, বললেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী

 

আরও পড়ুন: জেলার নাম পরিবর্তন প্রস্তাবে বিতর্ক! অন্ধ্রপ্রদেশের পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা

জানা গিয়েছে, রাজ্যে পথ দূর্ঘটনায় সার্বিক হতাহতের সংখ্যার শতকরা হিসাব ৫৩.৩%। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে পথ দুর্ঘটনার সবথেকে উল্লেখযোগ্য কারণ দ্রুতগতি। এই বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রেখে সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো নির্মাণ করা হবে। আপদকালীন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়মাবলী বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। সামগ্রিক বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের রোড সেফটি কমিটির সুপারিশ ক্রমে হয়েছে।

 

পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দু-একটা রাস্তাকে আগামীদিনে বেছে নিয়ে সেগুলিকে সেফ করিডোর করব। ওখানে যে যে বিষয়গুলো ব্যবহার করলে দূর্ঘটনা কমে যায় অর্থাৎ, সাইনেজ ব্যবহার করে, বিভিন্ন সিগন্যালিং পয়েন্ট তৈরি করা, যে সমস্ত জায়গা জনবহুল সেখানে সচেতনতা তৈরি করা, তার আশেপাশের রাস্তায় বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ইলেট্রনিক সার্ভেলেন্স তৈরি করে আমরা একটা পরীক্ষা চালাব। সেই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আমরা দেখব যে দুর্ঘটনা কতটা কমিয়ে আনতে পারি। যে সমস্ত জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ সেগুলিকে ব্ল্যাকস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এইসব জায়গায় আমাদের পৌঁছতে হবে। খড়্গপুর আইআইটির সাহায্য নিয়ে এই কাজ করা হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে সব সময় ড্রাইভারকে দোষ দিলে হবে না।’ একইসঙ্গে, ১৫ বছর পরে বাস বন্ধ করার কেন্দ্রের নীতি প্রসঙ্গে স্নেহাশিষ বলেন, ‘এভাবে বাস বন্ধ করে দিলে গণপরিবহণ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। তাই ধাপে ধাপে এ বিষয়ে ভাবা হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিন্তা ভাবনা চলছে।’

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রক নীতি করল রাজ্য পরিবহণ দফতর

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: পথ দুর্ঘটনা এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দফতরের নতুন ভাবনা। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ঝুকিহীন করার লক্ষ্যে রাজ্য পরিবহন দপ্তর সড়ক পথে যানবাহনের ‘গতি নিয়ন্ত্রক নীতি’ গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্ত্তী ‘স্পিড ম্যানেজমেন্ট ফর এনহান্সিং রোড সেফটি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গলঃ পলিসি ইন্টারভেনশানস অ্যান্ড রোড ম্যাপ’ নামের একটি বইও প্রকাশ করেন। জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়্গপুরের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরের প্রচেষ্টায় এই নীতি তৈরি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফের চালু হচ্ছে শিলিগুড়িগামী বাস পরিষেবা, উদ্বোধন করলেন পরিবহণমন্ত্রী

এদিন পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ভারতের মধ্যে দুর্ঘটনাহীন শহরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে আছে।২০১৪ সালের পর পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমেছে। আরও কমাতে হবে। মৃত্যুকে একেবারে শূন্যে নামাতে হবে। একটা মৃত্যুও আমাদের কাম্য হতে পারে না। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আমরা গতি নিয়ন্ত্রক নীতি গ্রহণ করেছি। ভারতের মধ্যে আমরাই প্রথম রাজ্য যারা গতি নিয়ন্ত্রক নীতি গ্রহণ করেছি।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই এবার নোবেল দেওয়া উচিত, বললেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী

 

আরও পড়ুন: জেলার নাম পরিবর্তন প্রস্তাবে বিতর্ক! অন্ধ্রপ্রদেশের পরিবহণ মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা

জানা গিয়েছে, রাজ্যে পথ দূর্ঘটনায় সার্বিক হতাহতের সংখ্যার শতকরা হিসাব ৫৩.৩%। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের মতে পথ দুর্ঘটনার সবথেকে উল্লেখযোগ্য কারণ দ্রুতগতি। এই বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রেখে সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো নির্মাণ করা হবে। আপদকালীন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়মাবলী বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে। সামগ্রিক বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের রোড সেফটি কমিটির সুপারিশ ক্রমে হয়েছে।

 

পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দু-একটা রাস্তাকে আগামীদিনে বেছে নিয়ে সেগুলিকে সেফ করিডোর করব। ওখানে যে যে বিষয়গুলো ব্যবহার করলে দূর্ঘটনা কমে যায় অর্থাৎ, সাইনেজ ব্যবহার করে, বিভিন্ন সিগন্যালিং পয়েন্ট তৈরি করা, যে সমস্ত জায়গা জনবহুল সেখানে সচেতনতা তৈরি করা, তার আশেপাশের রাস্তায় বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ইলেট্রনিক সার্ভেলেন্স তৈরি করে আমরা একটা পরীক্ষা চালাব। সেই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আমরা দেখব যে দুর্ঘটনা কতটা কমিয়ে আনতে পারি। যে সমস্ত জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ সেগুলিকে ব্ল্যাকস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এইসব জায়গায় আমাদের পৌঁছতে হবে। খড়্গপুর আইআইটির সাহায্য নিয়ে এই কাজ করা হবে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে সব সময় ড্রাইভারকে দোষ দিলে হবে না।’ একইসঙ্গে, ১৫ বছর পরে বাস বন্ধ করার কেন্দ্রের নীতি প্রসঙ্গে স্নেহাশিষ বলেন, ‘এভাবে বাস বন্ধ করে দিলে গণপরিবহণ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। তাই ধাপে ধাপে এ বিষয়ে ভাবা হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিন্তা ভাবনা চলছে।’