০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণে হিন্দি নিয়ে ধীর নীতি আরএসএসের, ঘুরিয়ে হিন্দির প্রচার?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 225

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দি নিয়ে দক্ষিণী রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতির মধ্যেই এবার ভিন্ন সুর শোনা গেল আরএসএসর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি আর মুকুন্দের গলায়। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ইংরেজিকে ‘ক্যারিয়ারের ভাষা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। এছাড়া মাতৃভাষায় জোর দেওয়ার কথাও তাঁর মুখে শোনা যায়। মোট তিনটি ভাষার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন সঙ্ঘ নেতা।

আরও পড়ুন: আপে নবীন-প্রবীণ সমন্বয়: দিল্লির দায়িত্বে সৌরভ, পঞ্জাবে সিসোদিয়া

আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বী না, ঐক্যের ভাষা হিন্দি: অমিত শাহ

দীর্ঘদিন ধরেই ডিএমকে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেন্দ্রের তিন ভাষার শিক্ষানীতির মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির স্কুল পাঠ্যক্রমে হিন্দি ভাষা প্রবর্তন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে ডিএমকে।

আরও পড়ুন: Mathura & Kashi আন্দোলনে সমর্থন দেবে না rss: মোহন ভাগবত

এদিন মুকুন্দ সরাসরি ডিএমকের এই মূল প্রশ্নের উত্তর দেননি। মাতৃভাষা, যে কোনও একটি আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সরাসরি হিন্দির কথা না বলেও ঘুরিয়ে কেন্দ্রের তিন ভাষার নীতিকেই সমর্থন করছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী একজন তামিলিয়ানকে তামিল এবং ইংরেজি ছাড়া তৃতীয ভাষা শেখার প্রয়োজন কী, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি মুকুন্দ। মাতৃভাষার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলে আসলে হিন্দি ‘চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ’-এর বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি বাধ্যতামূলক

ডিএমকের গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগের পাল্টা জবাব হিসাবে ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান’ ভাবমূর্তিকে আড়াল করার প্রয়াস বলে অনেকে মনে করছে। এদিন সি আর মুকুন্দ বলেন, “শুধু স্কুল নয়, প্রত্যেক ব্যক্তিকে একাধিক ভাষা শিখতে হয়। একটি আমাদের মাতৃভাষা, অন্যটি আঞ্চলিক ভাষা এবং আমরা যেখানে থাকি সেখানকার বাজার কেন্দ্রিক ভাষা।”



                            

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দক্ষিণে হিন্দি নিয়ে ধীর নীতি আরএসএসের, ঘুরিয়ে হিন্দির প্রচার?

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দি নিয়ে দক্ষিণী রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতির মধ্যেই এবার ভিন্ন সুর শোনা গেল আরএসএসর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সি আর মুকুন্দের গলায়। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ইংরেজিকে ‘ক্যারিয়ারের ভাষা’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। এছাড়া মাতৃভাষায় জোর দেওয়ার কথাও তাঁর মুখে শোনা যায়। মোট তিনটি ভাষার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন সঙ্ঘ নেতা।

আরও পড়ুন: আপে নবীন-প্রবীণ সমন্বয়: দিল্লির দায়িত্বে সৌরভ, পঞ্জাবে সিসোদিয়া

আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বী না, ঐক্যের ভাষা হিন্দি: অমিত শাহ

দীর্ঘদিন ধরেই ডিএমকে কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেন্দ্রের তিন ভাষার শিক্ষানীতির মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির স্কুল পাঠ্যক্রমে হিন্দি ভাষা প্রবর্তন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করছে ডিএমকে।

আরও পড়ুন: Mathura & Kashi আন্দোলনে সমর্থন দেবে না rss: মোহন ভাগবত

এদিন মুকুন্দ সরাসরি ডিএমকের এই মূল প্রশ্নের উত্তর দেননি। মাতৃভাষা, যে কোনও একটি আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। সরাসরি হিন্দির কথা না বলেও ঘুরিয়ে কেন্দ্রের তিন ভাষার নীতিকেই সমর্থন করছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী একজন তামিলিয়ানকে তামিল এবং ইংরেজি ছাড়া তৃতীয ভাষা শেখার প্রয়োজন কী, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি মুকুন্দ। মাতৃভাষার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলে আসলে হিন্দি ‘চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ’-এর বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি বাধ্যতামূলক

ডিএমকের গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ‘হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগের পাল্টা জবাব হিসাবে ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান’ ভাবমূর্তিকে আড়াল করার প্রয়াস বলে অনেকে মনে করছে। এদিন সি আর মুকুন্দ বলেন, “শুধু স্কুল নয়, প্রত্যেক ব্যক্তিকে একাধিক ভাষা শিখতে হয়। একটি আমাদের মাতৃভাষা, অন্যটি আঞ্চলিক ভাষা এবং আমরা যেখানে থাকি সেখানকার বাজার কেন্দ্রিক ভাষা।”