২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে রুদ্রবীণা ও বাদ্যযন্ত্র শিল্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 12

মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার দাদপুর গ্রামে শতাধী-প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র নির্মাণ শিল্প এবার জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে। রুদ্রবীণা ও বাদ্যযন্ত্র শিল্প স্বীকৃতি পেতে চলেছে। উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের ধুলাশিমলার অন্তর্গত এই গ্রাম বহু বছর ধরে রুদ্রবীণা, সরোদ, সেতার, এসরাজ, সুরবাহার, বেহালা, একতারা-সহ বহু প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র তৈরির জন্য খ্যাত।

প্রবীণ কারিগর সনৎ হালদার জানান, ‘তাঁর পিতা লখনউ থেকে বাদ্যযন্ত্র নির্মাণের শিক্ষা নিয়ে এসে এই শিল্প গড়ে তোলেন। বর্তমানে প্রায় ২৫০-৩০০ জন কারিগর যুক্ত রয়েছেন এই শিল্পে এবং বছরে প্রায় ১২,০০০ বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয় দাদপুরে। ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারেও এই যন্ত্রগুলির চাহিদা প্রবল।’

সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্স-এর একটি প্রতিনিধি দল দাদপুর গ্রামে এসে পরিদর্শন করেছেন। জিআই ট্যাগিং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি জানান, ‘জিআই রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে এই শিল্প আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে এবং কারিগরদের জন্য আরও বড় সুযোগের দরজা খুলবে।’

উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক বলেন, ‘জিআই ট্যাগ পেলে দাদপুরের বাদ্যযন্ত্র শুধু বাজারে সম্প্রসারণই নয়, কারিগরদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাও নিশ্চিত করবে। খুব শীঘ্রই একটি শ্রমিক সমবায় গঠন করে এই উদ্যোগকে শক্ত ভিত্তি দেওয়া হবে।’ জিআই ট্যাগের মাধ্যমে দাদপুরের বাদ্যযন্ত্র বাজারে স্বতন্ত্রতা পাবে, নকল প্রতিরোধ হবে এবং বিশ্বমঞ্চে আরও সুপরিচিত হয়ে উঠবে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে রুদ্রবীণা ও বাদ্যযন্ত্র শিল্প

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার

মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার দাদপুর গ্রামে শতাধী-প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র নির্মাণ শিল্প এবার জিআই স্বীকৃতি পাচ্ছে। রুদ্রবীণা ও বাদ্যযন্ত্র শিল্প স্বীকৃতি পেতে চলেছে। উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের ধুলাশিমলার অন্তর্গত এই গ্রাম বহু বছর ধরে রুদ্রবীণা, সরোদ, সেতার, এসরাজ, সুরবাহার, বেহালা, একতারা-সহ বহু প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র তৈরির জন্য খ্যাত।

প্রবীণ কারিগর সনৎ হালদার জানান, ‘তাঁর পিতা লখনউ থেকে বাদ্যযন্ত্র নির্মাণের শিক্ষা নিয়ে এসে এই শিল্প গড়ে তোলেন। বর্তমানে প্রায় ২৫০-৩০০ জন কারিগর যুক্ত রয়েছেন এই শিল্পে এবং বছরে প্রায় ১২,০০০ বাদ্যযন্ত্র তৈরি হয় দাদপুরে। ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারেও এই যন্ত্রগুলির চাহিদা প্রবল।’

সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্স-এর একটি প্রতিনিধি দল দাদপুর গ্রামে এসে পরিদর্শন করেছেন। জিআই ট্যাগিং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। তিনি জানান, ‘জিআই রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে এই শিল্প আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে এবং কারিগরদের জন্য আরও বড় সুযোগের দরজা খুলবে।’

উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক বলেন, ‘জিআই ট্যাগ পেলে দাদপুরের বাদ্যযন্ত্র শুধু বাজারে সম্প্রসারণই নয়, কারিগরদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাও নিশ্চিত করবে। খুব শীঘ্রই একটি শ্রমিক সমবায় গঠন করে এই উদ্যোগকে শক্ত ভিত্তি দেওয়া হবে।’ জিআই ট্যাগের মাধ্যমে দাদপুরের বাদ্যযন্ত্র বাজারে স্বতন্ত্রতা পাবে, নকল প্রতিরোধ হবে এবং বিশ্বমঞ্চে আরও সুপরিচিত হয়ে উঠবে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।