২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিসের পদত্যাগে খুশি রাশিয়া, দু­খ ইউক্রেনের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রবল চাপের মুখে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছাড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রিত্বও। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দায়িত্বে থাকছেন তিনিই। বরিস জনসনের এমন রাজনৈতিক পতনে মন খারাপ ইউক্রেনীয়দের। এতে অবশ্য খুশি রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠিয়েছিল বরিস জনসনের সরকার। জি৭ নেতাদের মধ্যেও জনসনই সবার আগে কিয়েভ সফর করেন।

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এসব কারণে ইউক্রেনীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তার পদত্যাগে দু­খ প্রকাশ করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। বরিস জনসন পদত্যাগের ঘোষণা করার পরপরই তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই দুঃখ নিয়ে খবরটি শুনেছি।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

আমাদের সন্দেহ নেই যে, আমাদের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে, তবে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এটিকে বিশেষ করে তুলেছিল।’ বরিস জনসনের পদত্যাগের খবরে ইউক্রেন যতটা ব্যথিত, ঠিক ততটাই উচ্ছ্বসিত রাশিয়া। ক্রেমলিনের মতে, ‘সবচেয়ে সক্রিয় রাশিয়া-বিরোধী নেতা’ ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘তিনি আমাদের পছন্দ করেন না। আমরাও তাকে পছন্দ করি না।’ রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘শেষ কথা হল- রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন না। রাশিয়াকে ধ্বংস করা যাবে না। এতে আপনার দাঁত ভেঙে যেতে পারে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বরিসের পদত্যাগে খুশি রাশিয়া, দু­খ ইউক্রেনের

আপডেট : ৮ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রবল চাপের মুখে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছাড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রিত্বও। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দায়িত্বে থাকছেন তিনিই। বরিস জনসনের এমন রাজনৈতিক পতনে মন খারাপ ইউক্রেনীয়দের। এতে অবশ্য খুশি রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠিয়েছিল বরিস জনসনের সরকার। জি৭ নেতাদের মধ্যেও জনসনই সবার আগে কিয়েভ সফর করেন।

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

এসব কারণে ইউক্রেনীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তার পদত্যাগে দু­খ প্রকাশ করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। বরিস জনসন পদত্যাগের ঘোষণা করার পরপরই তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই দুঃখ নিয়ে খবরটি শুনেছি।

আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

 

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর তালিবানের ওপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা প্রত্যাহার রাশিয়ার

আমাদের সন্দেহ নেই যে, আমাদের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে, তবে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এটিকে বিশেষ করে তুলেছিল।’ বরিস জনসনের পদত্যাগের খবরে ইউক্রেন যতটা ব্যথিত, ঠিক ততটাই উচ্ছ্বসিত রাশিয়া। ক্রেমলিনের মতে, ‘সবচেয়ে সক্রিয় রাশিয়া-বিরোধী নেতা’ ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘তিনি আমাদের পছন্দ করেন না। আমরাও তাকে পছন্দ করি না।’ রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘শেষ কথা হল- রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন না। রাশিয়াকে ধ্বংস করা যাবে না। এতে আপনার দাঁত ভেঙে যেতে পারে।’