০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম হাইপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার রাশিয়ার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 67

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের ডিপো ধ্বংস করতে তার হাইপারসনিক  কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটাই জানিয়েছে।

যুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করার কথা আগে কখনও স্বীকার করেনি মস্কো। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান হামলায় এটিই প্রথম কিনঝাল হাইপারসনিক অস্ত্রের ব্যবহার করল রাশিয়া।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: ইউক্রেন নিয়ে পুতিন- ট্রাম্প বৈঠক

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আমাদের হাইপারসনিক অ্যারোব্যালিস্টিক মিসাইলসহ কিনঝাল এভিয়েশন মিসাইল সিস্টেম দেশটির ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের ডেলিয়াটিন গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানের গোলাবারুদ ধারণকারী একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস করেছে।

আরও পড়ুন: বাখমুতে বহুমুখী আক্রমণ রাশিয়ার, জয় প্রায় নিশ্চিত   

অত্যাধুনিক এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে আঘাত হানতে পারে। রুশ সামরিক বাহিনীর মতে, দুই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে কিনঝাল নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র।  এ ক্ষেত্রে বিমান ও আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েও তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  শুক্রবার রাতে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এমন আহ্বান জানিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত রাশিয়ান বাহিনী ১৯৬ টি ইউক্রেনীয় ইউএভি ১৪৩৮টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ১৪৫টি একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম ৫৫৬ টি ফিল্ড আর্টিলারি এবং মর্টার এবং ১২৩৭ টি বিশেষ সামরিক যান ধ্বংস করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন রুশ মুখপাত্র।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি তারা এই যুদ্ধ অভিযানে কমপক্ষে ১৪৪০০ রুশ সৈন্যকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, অন্তত ৯৫ টি রাশিয়ান বিমান ১১৫ টি হেলিকপ্টার, ৪৬৬টি ট্যাংক ৯১৪টি যানবাহন ৬০ টি জ্বালানি বাহক ১৭ টি ইউএভি(চালকহীন আকাশযান) এবং তিনটি হালকা স্পিডবোট ধ্বংস করা হয়েছে।

উভয় পক্ষের হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির দাবি, সত্যতা যাচাই করা হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, ২৪ ফেব্রুয়ারী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে ৮১৬ বেসামরিক লোক নিহত এবং ১ ,৩৩৩ জন আহত হয়েছে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘ অবশ্য বলেছে যে সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে ইউক্রেন থেকে ৩.২৭  মিলিয়নেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে এবং প্রায় ৬.৪৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম হাইপারসনিক কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার রাশিয়ার

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়া ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রের ডিপো ধ্বংস করতে তার হাইপারসনিক  কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটাই জানিয়েছে।

যুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করার কথা আগে কখনও স্বীকার করেনি মস্কো। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান হামলায় এটিই প্রথম কিনঝাল হাইপারসনিক অস্ত্রের ব্যবহার করল রাশিয়া।

আরও পড়ুন: Trump-Putin Alaska Summit: ইউক্রেন নিয়ে পুতিন- ট্রাম্প বৈঠক

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আমাদের হাইপারসনিক অ্যারোব্যালিস্টিক মিসাইলসহ কিনঝাল এভিয়েশন মিসাইল সিস্টেম দেশটির ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের ডেলিয়াটিন গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানের গোলাবারুদ ধারণকারী একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস করেছে।

আরও পড়ুন: বাখমুতে বহুমুখী আক্রমণ রাশিয়ার, জয় প্রায় নিশ্চিত   

অত্যাধুনিক এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে আঘাত হানতে পারে। রুশ সামরিক বাহিনীর মতে, দুই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে কিনঝাল নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র।  এ ক্ষেত্রে বিমান ও আকাশপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েও তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  শুক্রবার রাতে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এমন আহ্বান জানিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত রাশিয়ান বাহিনী ১৯৬ টি ইউক্রেনীয় ইউএভি ১৪৩৮টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ১৪৫টি একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম ৫৫৬ টি ফিল্ড আর্টিলারি এবং মর্টার এবং ১২৩৭ টি বিশেষ সামরিক যান ধ্বংস করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন রুশ মুখপাত্র।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি তারা এই যুদ্ধ অভিযানে কমপক্ষে ১৪৪০০ রুশ সৈন্যকে হত্যা করেছে। তাদের দাবি, অন্তত ৯৫ টি রাশিয়ান বিমান ১১৫ টি হেলিকপ্টার, ৪৬৬টি ট্যাংক ৯১৪টি যানবাহন ৬০ টি জ্বালানি বাহক ১৭ টি ইউএভি(চালকহীন আকাশযান) এবং তিনটি হালকা স্পিডবোট ধ্বংস করা হয়েছে।

উভয় পক্ষের হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির দাবি, সত্যতা যাচাই করা হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, ২৪ ফেব্রুয়ারী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে কমপক্ষে ৮১৬ বেসামরিক লোক নিহত এবং ১ ,৩৩৩ জন আহত হয়েছে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘ অবশ্য বলেছে যে সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে ইউক্রেন থেকে ৩.২৭  মিলিয়নেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে এবং প্রায় ৬.৪৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।