১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
'বাংলায় এ সব হবে না'

সিঙ্গারা -জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ! ফুঁসে উঠলেন মমতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 194

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাঙালি মানেই ভোজনবিলাসী। বিশেষ করে এই ওয়েদারে। একদিকে দুপুরে যেমন খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা চাই চাই। তেমনই সূর্য পশ্চিমে ঢলার সঙ্গে সঙ্গে চপ-সিঙ্গারা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গ্রামে গঞ্জে তো আবার ওয়েদার লাগে না। সন্ধ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম গরম চায়ের সঙ্গে চপ-সিঙ্গারার জুড়ি মেলা ভার। তার সঙ্গে জিলাপি হলে কথাই নেই। আর সেই সিঙ্গারা-জিলাপিতে এবার কেন্দ্রের নজর। সম্প্রতি এই তেলেভাজাদ্বয় নিয়ে  ‘সতর্কীকরণ’ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সিঙ্গারা ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, বড়া পাও’র মতো অন্যান্য আইটেমও। তবে এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

 

আরও পড়ুন: বাংলায় SSC পরীক্ষা দিতে এলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা, রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা, নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ায় খুশি শিক্ষামন্ত্রী

সিঙ্গারা, জিলিপির মতো খাবারগুলি নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’। যেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবারে কত পরিমাণ চর্বি (ফ্যাট), শর্করা (সুগার) থাকে। এবং সেটা খেলে কী ক্ষতি হতে পারে? আর ভবিষ্যতে ঠিক কি কি রোগ বয়ে আনতে পারে সবার জন্যে। আর তাই সিঙ্গারা –জিলিপি মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেন ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকশিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করে তাই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যান্টিনগুলোতে এই নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার টাঙাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে গিয়ে বাংলা বলায় বাড়ি ফিরতে পারছে না এক পরিযায়ী শ্রমিক

 

আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে উঠছে তৃণমূল সুপ্রিমো।  স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রের এহেন ফরমান মানতে বাধ্য না বাংলা। এবার কে কি খাবে সেটাও ঠিক করে দেবে কেন্দ্র? মঙ্গলবার তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ জানান, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না।  তাঁর কথায়, গুণমান ঠিক থাকলে কে কী খাবে, তাতে বাংলায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

'বাংলায় এ সব হবে না'

সিঙ্গারা -জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ! ফুঁসে উঠলেন মমতা

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাঙালি মানেই ভোজনবিলাসী। বিশেষ করে এই ওয়েদারে। একদিকে দুপুরে যেমন খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা চাই চাই। তেমনই সূর্য পশ্চিমে ঢলার সঙ্গে সঙ্গে চপ-সিঙ্গারা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গ্রামে গঞ্জে তো আবার ওয়েদার লাগে না। সন্ধ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম গরম চায়ের সঙ্গে চপ-সিঙ্গারার জুড়ি মেলা ভার। তার সঙ্গে জিলাপি হলে কথাই নেই। আর সেই সিঙ্গারা-জিলাপিতে এবার কেন্দ্রের নজর। সম্প্রতি এই তেলেভাজাদ্বয় নিয়ে  ‘সতর্কীকরণ’ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সিঙ্গারা ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, বড়া পাও’র মতো অন্যান্য আইটেমও। তবে এই ধরনের খাবার বিক্রির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

 

আরও পড়ুন: বাংলায় SSC পরীক্ষা দিতে এলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা, রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা, নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ায় খুশি শিক্ষামন্ত্রী

সিঙ্গারা, জিলিপির মতো খাবারগুলি নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’। যেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবারে কত পরিমাণ চর্বি (ফ্যাট), শর্করা (সুগার) থাকে। এবং সেটা খেলে কী ক্ষতি হতে পারে? আর ভবিষ্যতে ঠিক কি কি রোগ বয়ে আনতে পারে সবার জন্যে। আর তাই সিঙ্গারা –জিলিপি মতো খাবার খাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেন ছাত্রছাত্রী-শিক্ষকশিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সতর্ক করে তাই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যান্টিনগুলোতে এই নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্টার টাঙাতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে গিয়ে বাংলা বলায় বাড়ি ফিরতে পারছে না এক পরিযায়ী শ্রমিক

 

আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে উঠছে তৃণমূল সুপ্রিমো।  স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রের এহেন ফরমান মানতে বাধ্য না বাংলা। এবার কে কি খাবে সেটাও ঠিক করে দেবে কেন্দ্র? মঙ্গলবার তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ জানান, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না।  তাঁর কথায়, গুণমান ঠিক থাকলে কে কী খাবে, তাতে বাংলায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।