২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সউদির সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে নিহত শত শত অভিবাসী: রিপোর্ট

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার
  • / 77

Credit: NBC News

বিশেষ প্রতিবেদন: সউদি আরবের সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সউদি-ইয়েমন সীমান্তে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন হয়ে সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ওই সময় বর্ডার ফোর্সের গুলিতে প্রাণ হারান তারা।

 

আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ ওমরাহ’র ক্যালেন্ডার প্রকাশ সউদির 

কয়েকজন অভিবাসী জানিয়েছেন, গুলিতে অনেকের অঙ্গহানীও হয়েছে। এছাড়া গুলিতে নিহতদের অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছেন অভিবাসীরা। যদিও সউদি আরব এসব হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে। ‘তারা বৃষ্টির মতো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে’ এই শিরোনামে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কয়েকজন অভিবাসীর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রশংসা আনসারুল্লাহর!

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: ভারত-পাক উত্তেজনা, মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরান-সউদির

অভিবাসীরা জানান, তাদের ওপর গুলি করা হয়েছে এবং বিস্ফোরক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে সউদির পুলিশ ও সেনারা। এসব ঘটনা ঘটেছে  ইয়েমেনের উঁচুনিচু দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কয়েকজন অভিবাসী বলেন, রাতের বেলা তারা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ইথিওপিয়ার অসংখ্য অভিবাসন প্রত্যাশীর ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয়। যখন গুলি চালানো হয় তখন সেখানে নারী ও শিশুও ছিল। তারা মূলত তেল সমৃদ্ধ সৌদিতে কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন।

 

মোস্তফা নামের ২১ বছর বয়সী এক অভিবাসী জানান, গত বছরের জুলাইয়ে তিনি ও তার দলের সদস্যরা সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তখন তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে শুধুমাত্র তার দলেরই ৪৫ জন নিহত হন। এমনকি তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেও পারিনি আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছি। কিন্তু যখন আমি উঠে দাঁড়াই এবং হাঁটার চেষ্টা করি, আমার পায়ের অংশ আর তখন আমার সঙ্গে ছিল না।’ইথিওপিয়া থেকে সউদি আরবের সীমান্তে যেতে দীর্ঘ তিন মাসের যাত্রা করেন তারা। এই তিন মাসের মধ্যে তাদের না খেয়েও থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ান ও ইয়েমেনি মানবপাচারকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

 

রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আফ্রিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে ইয়েমেনে যান। এরপর সেখান থেকে সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে এ সমুদ্রে যাত্রাতেই অনেকের সলিল সমাধি ঘটে।

 

ইমামমোয়াজ্জেম পুরোহিতদের ৫০০ টাকা ভাতা বাড়ালেন মমতা

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সউদির সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে নিহত শত শত অভিবাসী: রিপোর্ট

আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: সউদি আরবের সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সউদি-ইয়েমন সীমান্তে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন হয়ে সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ওই সময় বর্ডার ফোর্সের গুলিতে প্রাণ হারান তারা।

 

আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ ওমরাহ’র ক্যালেন্ডার প্রকাশ সউদির 

কয়েকজন অভিবাসী জানিয়েছেন, গুলিতে অনেকের অঙ্গহানীও হয়েছে। এছাড়া গুলিতে নিহতদের অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছেন অভিবাসীরা। যদিও সউদি আরব এসব হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে। ‘তারা বৃষ্টির মতো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে’ এই শিরোনামে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কয়েকজন অভিবাসীর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রশংসা আনসারুল্লাহর!

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: ভারত-পাক উত্তেজনা, মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরান-সউদির

অভিবাসীরা জানান, তাদের ওপর গুলি করা হয়েছে এবং বিস্ফোরক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে সউদির পুলিশ ও সেনারা। এসব ঘটনা ঘটেছে  ইয়েমেনের উঁচুনিচু দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায়। কয়েকজন অভিবাসী বলেন, রাতের বেলা তারা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ইথিওপিয়ার অসংখ্য অভিবাসন প্রত্যাশীর ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয়। যখন গুলি চালানো হয় তখন সেখানে নারী ও শিশুও ছিল। তারা মূলত তেল সমৃদ্ধ সৌদিতে কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন।

 

মোস্তফা নামের ২১ বছর বয়সী এক অভিবাসী জানান, গত বছরের জুলাইয়ে তিনি ও তার দলের সদস্যরা সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা চালান। তখন তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে শুধুমাত্র তার দলেরই ৪৫ জন নিহত হন। এমনকি তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেও পারিনি আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছি। কিন্তু যখন আমি উঠে দাঁড়াই এবং হাঁটার চেষ্টা করি, আমার পায়ের অংশ আর তখন আমার সঙ্গে ছিল না।’ইথিওপিয়া থেকে সউদি আরবের সীমান্তে যেতে দীর্ঘ তিন মাসের যাত্রা করেন তারা। এই তিন মাসের মধ্যে তাদের না খেয়েও থাকতে হয়েছে। ইথিওপিয়ান ও ইয়েমেনি মানবপাচারকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের।

 

রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আফ্রিকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে ইয়েমেনে যান। এরপর সেখান থেকে সউদিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে এ সমুদ্রে যাত্রাতেই অনেকের সলিল সমাধি ঘটে।

 

ইমামমোয়াজ্জেম পুরোহিতদের ৫০০ টাকা ভাতা বাড়ালেন মমতা