‘আই লাভ ইউ’ বলা মানেই যৌন নিপীড়ন নয়: মন্তব্য ছত্তিশগড় হাই কোর্টের

- আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 30
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নাবালিকাকে “আই লাভ ইউ” বললেই তা যৌন নিপীড়ন হিসেবে গণ্য করা যায় না, যদি এর পেছনে যৌন উদ্দেশ্য না থাকে—এমনই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল ছত্তিশগড় হাই কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় এস. আগরওয়াল জানান, যৌন অপরাধ প্রতিরোধে পকসো (POCSO) আইনের ধারা ৭-এর আওতায় কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে গেলে তার আচরণে যৌন উদ্দেশ্যের উপস্থিতি প্রমাণ হওয়া আবশ্যক।
অভিযুক্ত রূপেন্দ্র দাস মানিকপুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি এক ১৫ বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে “আই লাভ ইউ” বলেন।অভিযোগকারিণী আরও দাবি করেন, অভিযুক্ত আগেও তাকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। এর ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি , ৫০৯ , পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় নিম্ন আদালত মানিকপুরীকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে রাজ্য সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে। হাই কোর্ট জানায়, “শুধু ‘আই লাভ ইউ’ বলা মানেই তা যৌন ইচ্ছা প্রমাণ করে না। অভিযুক্তের আচরণ এবং কথাবার্তায় এমন কোনো প্রমাণ মেলে না যা থেকে যৌন উদ্দেশ্য বোঝা যায়।”
পাশাপাশি, আদালত বলে যে, পূর্বের অভিযোগে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা লিখিত অভিযোগ বা সাক্ষীদের বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়নি। এছাড়াও, আদালত এটিও পর্যবেক্ষণ করে যে, পীড়িতার জাতিগত পরিচয় সম্পর্কে অভিযুক্ত জানতেন এমন কোনো প্রমাণ নেই, ফলে এসসি/এসটি আইনের ধারাটিও প্রযোজ্য নয়।
এইসব যুক্তির ভিত্তিতে ছত্তিশগড় হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখে এবং রাজ্য সরকারের আপিল খারিজ করে দেয়। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে মামলায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি আইনজীবী আর.এন. পুস্তি। অপরপক্ষে অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে আদালতে হাজির ছিলেন শোভিত কোষ্টা।