কুস্তিগীরদের সমর্থনে যন্তরমন্তরে ধেয়ে আসছে কৃষক মোর্চার কাফেলা

- আপডেট : ৭ মে ২০২৩, রবিবার
- / 179
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দিল্লির যন্তরমন্তরে কুস্তিগীরদের ধরনা স্থলে কৃষক মোর্চার আগমনের ঘোষণায় দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের। রবিবার দিল্লিতেই মহা পঞ্চায়েতের ডাক দেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত মজদুর সংগঠন। তাদের সকলের দাবি মহিলা কুস্তিগীরদের সঙ্গে লাগাতার যৌন নিপীড়নকারী বিজেপি নেতা ও কুস্তি সংঘের অধ্যক্ষ ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি। এই দাবি নিয়ে মহিলা কুস্তিগীররা ১৩ দিন ধরে ধরনায় বসে রয়েছেন দিল্লিতে। তাঁদের সমর্থন জানাচ্ছেন বহু বিশিষ্ট মানুষ বিদ্বজন, খেলোয়াড়, অভিনেতা সহ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীবৃন্দ। কিন্তু বিজেপি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী না হওয়ায় ইস্যুটি লুফে নেয় সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। তারা কুস্তিগীরদের সমর্থনে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই ঘোষণার পর চরম দুশ্চিন্তায় দিল্লি পুলিশ ও প্রশাসন। দু’দিন আগে থেকেই হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ধেয়ে আসা কৃষাণ মোর্চার গাড়ির মিছিল আটকে দেওয়া হয় ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে গাজিপুর, টিকরি ও সিংঘু বর্ডার এলাকায়। বিভিন্ন রাস্তা ধরে কৃষকদের মিছিল এগিয়ে আসছে দিল্লির দিকে। প্রতিটি গাড়ি চেক করা হচ্ছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয় সড়কগুলিতে।
যন্তরমন্তরে পৌঁছে গিয়েছেন সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত। টিকায়েত বলেন, আমরা কুস্তিগীরদের সঙ্গে রয়েছি, তাদের পাশে রয়েছি। ৭ জনের উপর যৌন নিপীড়ন হয়েছে তাদের মধ্যে এক নাবালিকাও রয়েছে এটা মামুলি বিষয় নয়। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা যন্তরমন্তর ছাড়ছি না। কিষাণ নেতা যোগীন্দর সিং বলেন, ওরা শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে লড়াই খুব মুশকিল কাজ। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তারা। সরকার এই যৌন নিপীড়ন বন্ধ করতে পারেনি। যদিও সরকারের এটা দায়িত্ব ছিল। তাই আমরা খাড়া হয়েছি। সরকার আমাদের রুখতে পারলে রুখুক। কড়া মূল্য চোকাতে হবে সরকারকে আমাদের রুখবার চেষ্টা করা হলে।