বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না– শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ

- আপডেট : ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 158
পুবের কমল ওয়েবডেস্ক: ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি। মঙ্গলবার তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বাক্-স্বাধীনতা রয়েছে মানেই তার অর্থ এই নয় যে, কোনও ধর্মকে আঘাত করা যাবে। বাক্-স্বাধীনতা কোনওভাবেই ধর্মকে আঘাত করার অনুমতি দেয় না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছু পর এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতি ওই তরুণীর অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি। বিচারপতির বক্তব্য, ‘বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে আর নতুন করে অভিযোগ করা যাবে না বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানিতে মামলার কেস ডাইরি জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আগামী ৫ জুন ফের এই মামলা শুনবে আদালত।
গত শুক্রবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার এই আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই হয় গ্রেফতারি। আলিপুর আদালতে তোলা হলে ১২ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তবে তারপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বলিউড তারকাদের নীরবতা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন। সেই মন্তব্যে তিনি আপত্তিজনক ভাষা প্রয়োগ করেন। পুলিশের দাবি, পানোলি সেটা ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছিলেন। যাতে নির্দিষ্ট একটি ধর্ম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ‘অসম্মানজনক ও অপমানকর’ মন্তব্য লেখা ছিল। পরে অবশ্য ওই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার আগেই ওই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। যার ভিত্তিতে এফআইআর হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছিল এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছিল, কোথায়, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে, কেন শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই নিয়ে ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধও করা হয়েছে পুলিশের তরফে।