রেলের ভাড়া বৃদ্ধি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি সিদ্দারামাইয়ার

- আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 18
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রেলের ভাড়া বৃদ্ধি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি সিদ্দারামাইয়ার। সোমবার রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে ১ জুলাই থেকে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ানো হয়। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের নন,এসি কামরায় ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ পয়সা এবং এসি কামরায় ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২ পয়সা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ নন,এসির যাত্রীদের প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন সফরের জন্য টিকিটে অতিরিক্ত ১ টাকা এবং এসির যাত্রীদের অতিরিক্ত ২ টাকা খরচ করতে হবে।
লোকাল ট্রেনে অবশ্য ভাড়া অপরিবর্তিতই থাকছে। আর এবার রেলের ভাড়া বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে আক্রমণ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ‘এক্স’-এ সিদ্দারামাইয়া পোস্ট করে লেখেন, রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে!
এর দায়ভার কে বহন করবে? ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে সংগ্রামরত দৈনিক মজুরি শ্রমিক, শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, যখন আমরা আমাদের কৃষকদের সাহায্য করার জন্য দুধের দাম বাড়িয়েছিলাম, তখন কর্ণাটক বিজেপি রাস্তায় চিৎকার করে এটিকে জনবিরোধী বলেছিল। কিন্তু এখন, যখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রেল ভাড়া বৃদ্ধি করেছে, তখন বধির নীরবতা।
কেন? কারণ এই মূল্যবৃদ্ধি কৃষক বা দরিদ্রদের সাহায্য করে না, এটি কেবল বিজেপি সরকারকে তাদের নিজস্ব কোষাগার পূরণ করতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, ৮ বছর পর কর্ণাটকে মেট্রোর ভাড়া বাড়ানো হলে, বিজেপি নেতারা কংগ্রেস সরকারকে দোষারোপ করে। অথচ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক গঠিত একটি ভাড়া নির্ধারণ কমিটি দ্বারা নেওয়া হয়েছিল।
সিদ্দারামাইয়া আরও বলেন,সেই সময় কেন্দ্র রাজ্য সরকারের উপর বোঝা চাপানোর জন্য এই দোষারোপ করে। কিন্তু এখন এই রেল ভাড়া বৃদ্ধির ফলে, তারা কার উপর বোঝা চাপাবে? তোমাদের বিজেপি ‘বিকাশ এক্সপ্রেস’ কেবল দরিদ্রদের ঘাম এবং অশ্রু দিয়ে চলে বলে মনে হচ্ছে।