০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরীর সমুদ্রে উলটে গেল স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বোট

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, সোমবার
  • / 149

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুরী ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায়। সমুদ্রে তাঁদের স্পিডবোট উলটে যায়। তবে রক্ষা পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা ও বৌদি। দুর্ঘটনার ভিডয়ো সামাকিজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্নেহাশিসদের স্পিডবোট উলটে যাওয়ার পরে সমুদ্রের ধারে থাকা লাইফগার্ডরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। ওই স্পিডবোটে থাকা সবাইকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

পুরীর সমুদ্রে উলটে গেল স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বোট

দুর্ঘটনার জন্য স্পিডবোট পরিষেবাকেই দায়ী করেন অর্পিত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তখন সমুদ্র  বেশ উত্তাল ছিল। বোটটিতে ১০ জনের বসার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ওরা মাত্র তিন-চার জনকেই বোটে তোলে। আমি চালককে বারবার বলছিলাম, উত্তাল সমুদ্রে এখন কি যাওয়া ঠিক হবে?  তিনি বলেন, ‘ কোনও সমস্যা হবে না।’ সমুদ্রে যাওয়ার পরেই একটা বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় আমাদের বোটটি উলটে যায়। লাইগার্ডরা ঠিক সময়ে না এলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এই ধরণের ঘটনা অমার জীবনে আগে ঘটেনি। আমার মনে হয়, বোটটিতে যদি ৯-১০ জন লোক থাকত তাহলে এমনটা হত না।’

একইসঙ্গে পুরীর সমুদ্রে এই ধরনের খেলা বন্ধ করার আবেদন জানান অর্পিতা। তিনি বলেন, ‘পুরীর সমুদ্র উত্তাল থাকে। এখানে এই ধরণের খেলা বন্ধ করা উচিৎ। আমি কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখব। অনুরোধ করব, যাতে পুরীর সমুদ্রে এই খেলা বন্ধ করা হয়।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুরীর সমুদ্রে উলটে গেল স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বোট

আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুরী ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায়। সমুদ্রে তাঁদের স্পিডবোট উলটে যায়। তবে রক্ষা পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা ও বৌদি। দুর্ঘটনার ভিডয়ো সামাকিজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্নেহাশিসদের স্পিডবোট উলটে যাওয়ার পরে সমুদ্রের ধারে থাকা লাইফগার্ডরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। ওই স্পিডবোটে থাকা সবাইকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

পুরীর সমুদ্রে উলটে গেল স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বোট

দুর্ঘটনার জন্য স্পিডবোট পরিষেবাকেই দায়ী করেন অর্পিত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তখন সমুদ্র  বেশ উত্তাল ছিল। বোটটিতে ১০ জনের বসার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ওরা মাত্র তিন-চার জনকেই বোটে তোলে। আমি চালককে বারবার বলছিলাম, উত্তাল সমুদ্রে এখন কি যাওয়া ঠিক হবে?  তিনি বলেন, ‘ কোনও সমস্যা হবে না।’ সমুদ্রে যাওয়ার পরেই একটা বিশাল ঢেউয়ের ধাক্কায় আমাদের বোটটি উলটে যায়। লাইগার্ডরা ঠিক সময়ে না এলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এই ধরণের ঘটনা অমার জীবনে আগে ঘটেনি। আমার মনে হয়, বোটটিতে যদি ৯-১০ জন লোক থাকত তাহলে এমনটা হত না।’

একইসঙ্গে পুরীর সমুদ্রে এই ধরনের খেলা বন্ধ করার আবেদন জানান অর্পিতা। তিনি বলেন, ‘পুরীর সমুদ্র উত্তাল থাকে। এখানে এই ধরণের খেলা বন্ধ করা উচিৎ। আমি কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখব। অনুরোধ করব, যাতে পুরীর সমুদ্রে এই খেলা বন্ধ করা হয়।’