০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্প  বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে  দেশে ফিরল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে ভারতে ফিরছে এনডিআরএফের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি। ১০ দিনের তল্লাশি অভিযান শেষ করে দেশে ফিরছে তারা। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে তুরস্কে  পৌঁছেছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি ভারতীয়  সারমেয়।

ভারতীয় উদ্ধারকারী দলের প্রধান অতুল কারওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলির মধ্যে র‍্যাম্বো ও হানি অন্যতম দুই সদস্য।  ওই কুকুর চারটি ল্যাব্রাডর প্রজাতির। গন্ধ শুঁকে ঠিক তারা পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট স্থানে। এর আগেও মৃতদেহ উদ্ধার করা এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে মরদেহ শনাক্ত করার  অভিজ্ঞতা কুকুর গুলির রয়েছে বলে খবর।

এই প্রসঙ্গে উদ্ধারকর্মীদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই  কুকুরগুলিকে উদ্ধার কাজের জন্য আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এরা কংক্রিট এবং ধাতুর নীচে আটকে থাকা মানুষের গন্ধ পেতে পারে।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে রোমিয়ো এবং জুলিকে তুরস্কে পাঠানো হয়। সঙ্গে পাঠানো হয় আরও কয়েক জন সারমেয়কে। তাদের নাম বব, রক্সি, র‌্যাম্বো এবং হানি। সব মিলিয়ে ৬ সদস্যের সারমেয় টিম। এছাড়া সঙ্গে আরও ১৫২ জন। তারাই উদ্ধার কাজ চালায় তুরস্কে। তবে সবচেয়ে পারদর্শিতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ করে রোমিও এবং জুলিই।

ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, রোমিয়ো এবং জুলি, র‍্যাম্বো, হানি বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এর আগে নেপালে ভূমিকম্পের সময়ে এই বিভাগ দারুণ ভাবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় সেতু ভেঙে পড়ার সময়েও এই ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধারের কাজে দারুণ ভাবে সাহায্য করেছিল।

 ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স ইতিমধ্যেই ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী রয়েছেন এতে। এর সঙ্গে রয়েছে বিরাট ডগ স্কোয়াড। সেখান প্রায় ১৪০টি কুকুর রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভূমিকম্প  বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে  দেশে ফিরল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে ভারতে ফিরছে এনডিআরএফের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি। ১০ দিনের তল্লাশি অভিযান শেষ করে দেশে ফিরছে তারা। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে তুরস্কে  পৌঁছেছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি ভারতীয়  সারমেয়।

ভারতীয় উদ্ধারকারী দলের প্রধান অতুল কারওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলির মধ্যে র‍্যাম্বো ও হানি অন্যতম দুই সদস্য।  ওই কুকুর চারটি ল্যাব্রাডর প্রজাতির। গন্ধ শুঁকে ঠিক তারা পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট স্থানে। এর আগেও মৃতদেহ উদ্ধার করা এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে মরদেহ শনাক্ত করার  অভিজ্ঞতা কুকুর গুলির রয়েছে বলে খবর।

এই প্রসঙ্গে উদ্ধারকর্মীদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই  কুকুরগুলিকে উদ্ধার কাজের জন্য আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এরা কংক্রিট এবং ধাতুর নীচে আটকে থাকা মানুষের গন্ধ পেতে পারে।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে রোমিয়ো এবং জুলিকে তুরস্কে পাঠানো হয়। সঙ্গে পাঠানো হয় আরও কয়েক জন সারমেয়কে। তাদের নাম বব, রক্সি, র‌্যাম্বো এবং হানি। সব মিলিয়ে ৬ সদস্যের সারমেয় টিম। এছাড়া সঙ্গে আরও ১৫২ জন। তারাই উদ্ধার কাজ চালায় তুরস্কে। তবে সবচেয়ে পারদর্শিতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ করে রোমিও এবং জুলিই।

ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, রোমিয়ো এবং জুলি, র‍্যাম্বো, হানি বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এর আগে নেপালে ভূমিকম্পের সময়ে এই বিভাগ দারুণ ভাবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় সেতু ভেঙে পড়ার সময়েও এই ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধারের কাজে দারুণ ভাবে সাহায্য করেছিল।

 ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স ইতিমধ্যেই ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী রয়েছেন এতে। এর সঙ্গে রয়েছে বিরাট ডগ স্কোয়াড। সেখান প্রায় ১৪০টি কুকুর রয়েছে।