০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কুলি থেকে আইএএস অফিসার হয়ে নজির গড়লেন কেরলের শ্রীনাথ  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ মে ২০২২, শুক্রবার
  • / 54

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মনের ইচ্ছে আর লক্ষ্য যদি স্থীর হয় তাহলে কোনও কাজই অসাধ্য নয়। সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এক কুলি। যার কাজ ছিল স্টেশনে যাত্রীদের মাল বহন করা। কিন্তু আজ তিনি একজন আইএএস অফিসার। শ্রীনাথের জার্নি শুরু হয়েছিল কেরলের একটি স্টেশন থেকে। সেখানে প্রতিদিন আর পাঁচটা কুলির মতো জীবন চালানোর জন্য কাজ শুরু করেন শ্রীনাথ। কিন্তু শ্রীনাথের স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। শত কষ্টেও নিজের স্বপ্নকে হার মানতে দেননি শ্রীনাথ।

মুন্নার বাসিন্দা শ্রীনাথ এর্নাকূলামে কুলির কাজ করতেন। পরিবারে একাই রোজগেরে তিনি। ২০১৮ সালের শ্রীনাথ সিদ্ধান্ত নেন, তার মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু তিনি বোঝেন কুলির কাজ করে তার সংসার চলবে না। এর পরে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ।

আরও পড়ুন: ৩৪ বছরে ৫৭ বার বদলি, অবসর নিলেন আপোসহীন আইএএস খেমকা

শ্রীনাথ জানতেন যে তিনি কোচিং সেন্টারের ফি দিতে পারবেন না, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। শ্রীনাথ এই কঠিন পরীক্ষায় কোন বই এবং প্রাইভেট টিউটর ছাড়াই উত্তীর্ণ হন। সঙ্গী ছিল স্মার্ট ফোন। অর্থ যোগাড়ের জন্য তিনি সকাল ও নাইট শিফটে কাজ শুরু করেন। ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণ হয়নি, কর্মীদের গলায় দড়ি পরিয়ে কুকুরের মতো ব্যবহার সংস্থার

শ্রীনাথ জানতেন সরকার ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই  পরিষেবা প্রদান করেছে। তিনি সেখানে এসে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তিনি তার অর্থ দিয়ে বই নয়, বরং ইয়ারফোন, মেমোরি কার্ড, সিম কার্ড কেনেন। এই ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে রেল স্টেশনে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন শ্রীনাথ। তার সেই অদম্য ইচ্ছা ও পরিশ্রমের ফলে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন। বর্তমানের কেরল সরকারের ভূমি রাজস্ব বিভাগের অধীনে পল্লী সেক্টর অফিসার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। শ্রীনাথের উদ্দেশ্য তার নিজের পরিবারকে ভালো রাখা। আর তার গ্রামের উন্নয়ন করা।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কুলি থেকে আইএএস অফিসার হয়ে নজির গড়লেন কেরলের শ্রীনাথ  

আপডেট : ৬ মে ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মনের ইচ্ছে আর লক্ষ্য যদি স্থীর হয় তাহলে কোনও কাজই অসাধ্য নয়। সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এক কুলি। যার কাজ ছিল স্টেশনে যাত্রীদের মাল বহন করা। কিন্তু আজ তিনি একজন আইএএস অফিসার। শ্রীনাথের জার্নি শুরু হয়েছিল কেরলের একটি স্টেশন থেকে। সেখানে প্রতিদিন আর পাঁচটা কুলির মতো জীবন চালানোর জন্য কাজ শুরু করেন শ্রীনাথ। কিন্তু শ্রীনাথের স্বপ্ন ছিল আইএএস অফিসার হওয়ার। শত কষ্টেও নিজের স্বপ্নকে হার মানতে দেননি শ্রীনাথ।

মুন্নার বাসিন্দা শ্রীনাথ এর্নাকূলামে কুলির কাজ করতেন। পরিবারে একাই রোজগেরে তিনি। ২০১৮ সালের শ্রীনাথ সিদ্ধান্ত নেন, তার মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু তিনি বোঝেন কুলির কাজ করে তার সংসার চলবে না। এর পরে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ।

আরও পড়ুন: ৩৪ বছরে ৫৭ বার বদলি, অবসর নিলেন আপোসহীন আইএএস খেমকা

শ্রীনাথ জানতেন যে তিনি কোচিং সেন্টারের ফি দিতে পারবেন না, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। শ্রীনাথ এই কঠিন পরীক্ষায় কোন বই এবং প্রাইভেট টিউটর ছাড়াই উত্তীর্ণ হন। সঙ্গী ছিল স্মার্ট ফোন। অর্থ যোগাড়ের জন্য তিনি সকাল ও নাইট শিফটে কাজ শুরু করেন। ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণ হয়নি, কর্মীদের গলায় দড়ি পরিয়ে কুকুরের মতো ব্যবহার সংস্থার

শ্রীনাথ জানতেন সরকার ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মুম্বই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই  পরিষেবা প্রদান করেছে। তিনি সেখানে এসে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তিনি তার অর্থ দিয়ে বই নয়, বরং ইয়ারফোন, মেমোরি কার্ড, সিম কার্ড কেনেন। এই ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে রেল স্টেশনে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন শ্রীনাথ। তার সেই অদম্য ইচ্ছা ও পরিশ্রমের ফলে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন। বর্তমানের কেরল সরকারের ভূমি রাজস্ব বিভাগের অধীনে পল্লী সেক্টর অফিসার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। শ্রীনাথের উদ্দেশ্য তার নিজের পরিবারকে ভালো রাখা। আর তার গ্রামের উন্নয়ন করা।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই