খনিজ খনির নীতিমালার সমালোচনা করে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন
- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 162
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সাম্প্রতিক অফিস স্মারকলিপি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাতেই এই চিঠি। স্ট্যালিন অভিযোগ করেছেন, এই OM কার্যত খনি ও খনিজ আইনের ওপর অননুমোদিত সংশোধন চাপিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে এটি আইনত টেকসই নয়।
স্ট্যালিন সতর্ক করে বলেন, জনপরামর্শ যদি বাতিল হয়, তাহলে উপকূলবর্তী সম্প্রদায় জীবিকা হারানো, স্থানচ্যুতি ও পরিবেশগত ক্ষতির মতো মৌলিক উদ্বেগ উত্থাপন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। কার্যত এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই দুর্বল করবেই। তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে পরিবেশগতভাবে ভঙ্গুর বলে উল্লেখ করেছেন স্ট্যালিন। তিনি জানিয়েছেন, মান্নার উপসাগর ও পাক উপসাগরের সৈকত কচ্ছপ, প্রবালপ্রাচীর, ম্যানগ্রোভ ও বালিয়াড়ির মতো সংবেদনশীল জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এগুলি ক্ষয় ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক রক্ষাকবচ হিসেবেও কাজ করে থাকে। তাই এই এলাকায় খনন কার্যে স্থানীয় মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণসহ কঠোর পরিবেশগত মূল্যায়ন অনেকটাই অপরিহার্য। এমনিতেই থুথুকুডি, কান্নিয়াকুমারী, তিরুনেলভেলি, রামানাথপুরমসহ একাধিক জেলায় ইলমেনাইট, রুটাইল ও লিউকোক্সিনসহ টাইটানিয়াম বহনকারী খনিজ মজুত রয়েছে।
এছাড়াও চিঠিতে স্ট্যালিন সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ের উল্লেখ করে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, OM-এর মতো নির্বাহী নির্দেশের মাধ্যমে EIA কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না। বিশেষ করে Alembic Pharmaceuticals Ltd বনাম Rohit Prajapati মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এই ধরনের নির্বাহী নির্দেশ আইনি বিজ্ঞপ্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।
এত গুরুতর নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে আলোচনার মাধ্যমেই নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য স্ট্যালিনের। তবে তিনি একইসঙ্গে জাতীয় কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা স্বার্থে তামিলনাড়ুর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
















































