ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের শুরু হচ্ছে, ‘দুয়ারে সরকার’, জানুন সেই তারিখ

- আপডেট : ২৬ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার
- / 15
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ করোনা পরিস্থিতির কারণে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প স্থগিত করা হলেও ফের চালু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পাশাপাশি পাড়ায় সমাধানের দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচী। চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে তিন জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে বলে ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত হয়। তবে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, পরে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে দুয়ারে সরকারের।
এদিকে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকারের কর্মসূচীতে গ্রাম বাংলার মানুষরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধাধান পেয়েছেন। রেশনকার্ড– জমির রেকর্ড– স্বাস্থ্য সাথী– তপশিলি জাতি– উপজাতি– ওবিসি প্রার্থীদের শংসাপত্রের জন্য আবেদন– লক্ষ্মীর ভান্ডার– একশো দিনের কাজ প্রভৃতি আবেদন করা হয়েছিল। আগে বিভিন্ন জেলার মানুষদের ব্লক– মহকুমা বা জেলা দফতরে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হয়েছে। দুয়ারে সরকারে এসে চটজলদি সমাধান পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য– দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচী ঘোষণার পর নানা মহল সমালোচনাও করেছিলেন। কিন্তু সেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প উৎকর্ষের পুরষ্কার পেয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে। ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সবথেকে বড় অলাভজনক সংস্থা কম্পিউটার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সেলেন্স-২০২১ সম্মানে ভূষিত হয়েছে বাংলার দুয়ারে সরকার প্রকল্প।
স্বাস্থ্য সাথী– স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড– খাদ্যসাথী– কৃষক বন্ধু– লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা সরকারি পরিষেবা এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এতদিন সরকারি নানা পরিষেবা কীভাবে পাওয়া যায় তা বুঝতে পারতেন না সাধারণ মানুষ। সেই পরিষেবা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পের মাধ্যমে সমাধানের বন্দোবস্ত করে রাজ্য সরকার। লক্ষ্য একটাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সমাজের প্রান্তিক মানুষও যাতে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই কারণে সরকারি দফতরই উঠে আসছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। আর সেই প্রকল্পের রূপায়ন এবার ছিনিয়ে নিল জাতীয় স্তরে বিশেষ স্বীকৃতি।