দোল-হোলিতে কড়া নজরদারি, শহরে নামছে ৪ হাজার পুলিশ

- আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার
- / 19
পুবের কলম প্রতিবেদক: মঙ্গলবার দোল আর আগামীকাল বুধবার পালিত হবে হোলি উৎসব। এই দুই পরবে যাতে কোথাও অপ্রীতিকর কিছু না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছে পুলিশ। এবার দোলের পাশাপাশি হোলির দিনটিকেও সমান গুরুত্ব দিল কলকাতা পুলিশ।
লালবাজারের সূত্র খবর, সাধারণভাবে দোলের দিনটিতে হোলির থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক পুলিশ থাকে। কিন্তু এই বছর মঙ্গলবার দোল ও বুধবার হোলির দিন সারা শহরেই সমসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জানা গিয়েছে, লালবাজারের কর্তারা সব থানা ও ট্রাফিক বিভাগকে সতর্ক করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দু’দিনই যাতে রং খেলে বের হওয়ার পর মদ্যপ অবস্থায় কেউ বাইক বা গাড়ি না চালায় তা রুখবে পুলিশ। মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আটক করা হবে গাড়ি ও বাইক। অনেকেই চুলে রং লেগে থাকায় হেলমেটও পরেন না।
এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কড়া বার্তা- হেলমেট না পরলে বা একটি বাইকে তিনজন থাকলে জরিমানা করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, দোল বা হোলিতে শহরে থাকতে পারে অতিরিক্ত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পুলিশ। শহরের অন্তত পাঁচশোটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট।
প্রত্যেকটি ডিভিশনের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্বে থাকছেন একজন করে অতিরিক্ত ডিসি। সঙ্গে থাকবেন দুই বা তিনজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। থাকছেন অতিরিক্ত সংখ্যক ইন্সপেক্টর ও অন্যান্য পদের পুলিশ আধিকারিকরাও। সারা শহরজুড়ে টহল দেবে পুলিশের পিসিআর ভ্যান, ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম।
কোথাও কোনও গোলমালের খবর পেলেই যাতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে পুলিশ হাজির হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে বলেও খবর। গত বছর রিজেন্ট পার্কে দোলের দিন গুলি চলেছিল। কোনও গাড়ির ভিতর থেকে যাতে রং না ছোড়া হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকবে পুলিশের।
প্রত্যেকটি থানাকে বলা হয়েছে, বহুতল থেকে যাতে নিচে রং না ছোড়া হয়, সেই ব্যাপারে বহুতলের কমিটিগুলিকে সতর্ক করতে। বিশেষ করে বড়বাজার, পোস্তা, জোড়াসাঁকো, জোড়াবাগান এলাকায় মাইক নিয়ে সচেতন করছে পুলিশ। কারও গায়ে জোর করে রং দিলেই পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। কলকাতার প্রত্যেকটি পুকুর ও ঝিলের কাছে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। কারণ, গত বছর জলে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।