আবারও ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হলো আফ্রিকার দেশ সুদান। দক্ষিণ কর্দোফান প্রদেশের কালোগি শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ড্রোন হামলায় অন্তত ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ জনই শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন। আল–জাজিরা এবং স্থানীয় প্রশাসন এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সংঘটিত হামলায় আরএসএফের ড্রোন থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এগুলো একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাসপাতাল এবং শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে ৮ জন নিহতের কথা জানালেও পরে সেই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে বাড়তে ৭৯, পরে ১১৪-তে পৌঁছায়। নিহতদের মধ্যে অন্তত চারজন নারীও ছিলেন।
হামলার সময় কিছু শিশু অপরাধের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার হয় বলেও জানিয়েছে সুদানের চিকিৎসকদের জোট—সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক। তারা জানিয়েছে, প্রথম ধাক্কার পর আশপাশে জড়ো হওয়া মানুষের উপর আবারও হামলা হয়।
দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্য সরকার এই হামলাকে “জঘন্য অপরাধ” বলে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরএসএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি—এই নির্মমতার জন্য আরএসএফ এবং তাদের মিত্রদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউনিসেফও। সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ৫ থেকে ৭ বছর বয়সি ১০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে। এটি শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ উদাহরণ।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদান সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
































