তেলেঙ্গানায় অরণ্য ধ্বংস বন্ধে কঠোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

- আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 35
নয়াদিল্লি : তেলেঙ্গানার কাঁচ্চি গাচিওয়ালি গ্রামের ৪০০ একর জমিতে রাজ্য সরকার তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র গড়ার যে প্রস্তুতি নিয়েছে তা গোড়াতেই ধাক্কা খেল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি গাভাই, বিচারপতি বিনোদচন্দ্রন এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এক ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার বলেছে, উন্নয়ন নিশ্চয়ই প্রয়োজন। তাবলে বুলডোজার চালিয়ে রাতারাতি অরণ্য সম্পদ ধ্বংস করে উন্নয়ন করা যাবে না।
তেলেঙ্গানার ওই অঞ্চলে ব্যাপক গাছ-গাছালি ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে কেউ মামলা করার আগেই সুপ্রিম কোর্ট স্বতপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়ে মামলা করে। এদিন এই মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, আমি নিজে অব্যাহত উন্নয়ন এর পক্ষে। তার অর্থ এই নয় যে, রাতারাতি ৩০ টা বুলডোজার কাজে লাগিয়ে সব গাছপালা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আগে এই ব্যাপারে তেলেঙ্গানা সরকারকে হুঁশিয়ার করে ছিল যে, অরণ্য সম্পদ ধ্বংস করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন রাজ্য সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে, যে অরণ্য ধ্বংস করা হয়েছে তা ফের কীভাবে করা যাবে। কয়েক হাজার গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। ওই গাছপালা ফের না লাগালে, যে সরকারি অফিসারদের নেতৃত্বে এ কাজ হয়েছে তাঁদের জেলে যেতে হবে।
তেলেঙ্গানা ইন্ডাসট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার করপোরেশন এই জমি নিলামে শিল্পপতিদের দিয়ে দিয়েছে। তারাই এই অরণ্য ধ্বংস করেছে। এই প্রকল্পের বিরোধিতা উঠেছিল রাজ্যেই। যারা বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তাঁরা বলেছিলেন, এই জায়গা হায়দরাবাদের ফুসফুস হিসেবে বিবেচিত হয়।
এখানে সবুজ ধ্বংস হলে পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার সে আপত্তিতে কর্ণপাত করেনি। সুপ্রিম কোর্ট এক কেন্দ্রীয় কমিটিকে সরজমিনে তদন্ত করে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট দিতে বলেছে। তাছাড়া রাজ্য সরকার যথাযথ জায়গা থেকে অনুমোদন নিয়েছে কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে।