০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোবন্ত ভার্মার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি যে আবেদন করেছিলেন তা সরাসরি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সঞ্জীব খান্না প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন বিভিন্ন হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে এক কমিটি গড়ে যশোবন্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে বলেন। সেই কমিটি যশোবন্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রিপোর্ট দেয়।

 

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে ফাঁক? সুপ্রিম কোর্টের চোখের সামনেই শিশু নিয়ে দেশ ছাড়লেন রাশিয়ান মা

তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ইমপিচমেন্টের ব্যবস্থা করতে বলে সংসদ কে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং এ জি মাসিহ-র বেঞ্চ বৃহস্পতিবার কমিটির রায়কেই বহাল রেখেছে। তাঁরা বলেছেন, এই কমিটি সাংবিধানিক অধিকার বলেই গঠন করেন সঞ্জীব খান্না। তিনি যে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করেছিলেন তাও আইন মেনে। তবে বিচারপতি ভার্মা মনে করলে ভবিষ্যতে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ফের আবেদন করতেই পারেন।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হচ্ছেন সোনালি চক্রবর্তী

 

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা শরণার্থী না অনুপ্রবেশকারী ঠিক করা জরুরি: মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

এদিন ভার্মার হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বাল সওয়াল করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কমিটি তদন্ত করতে পারে, কিন্তু ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ১২৪ ধারা অমান্য করা হয়েছে। বিচারপতি দত্ত তখন বলেন, সাংবিধানিক প্রশ্ন থাকলে এতদিন কী করছিলেন? আগে বলেননি কেন?

 

জবাবে সিব্বাল বলেন, এটা আমার মৌলিক অধিকার। যে কোনও সময়ে তুলতে পারি। আইনজীবী মুকুল রোহাতগিও ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, বিচারপতি সৌমিত্র সেনকে যখন ইমপিচ করার সুপারিশ করে শীর্ষ আদালত তখন তাঁকে ডাকা হয়েছিল এবং তাঁর বক্তব্য শোনা হয়। তখন বিচারপতি দত্ত বলেন, এই কমিটির প্রচলন হয় ১৯৯৯ সালে। এদিন এই মামলা ক্লোজ করে দেওয়া হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যশোবন্ত ভার্মার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি যে আবেদন করেছিলেন তা সরাসরি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সঞ্জীব খান্না প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন বিভিন্ন হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতিদের নিয়ে এক কমিটি গড়ে যশোবন্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে বলেন। সেই কমিটি যশোবন্তকে দোষী সাব্যস্ত করে রিপোর্ট দেয়।

 

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে ফাঁক? সুপ্রিম কোর্টের চোখের সামনেই শিশু নিয়ে দেশ ছাড়লেন রাশিয়ান মা

তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ইমপিচমেন্টের ব্যবস্থা করতে বলে সংসদ কে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং এ জি মাসিহ-র বেঞ্চ বৃহস্পতিবার কমিটির রায়কেই বহাল রেখেছে। তাঁরা বলেছেন, এই কমিটি সাংবিধানিক অধিকার বলেই গঠন করেন সঞ্জীব খান্না। তিনি যে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করেছিলেন তাও আইন মেনে। তবে বিচারপতি ভার্মা মনে করলে ভবিষ্যতে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ফের আবেদন করতেই পারেন।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হচ্ছেন সোনালি চক্রবর্তী

 

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা শরণার্থী না অনুপ্রবেশকারী ঠিক করা জরুরি: মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

এদিন ভার্মার হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বাল সওয়াল করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কমিটি তদন্ত করতে পারে, কিন্তু ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, সংবিধানের ১২৪ ধারা অমান্য করা হয়েছে। বিচারপতি দত্ত তখন বলেন, সাংবিধানিক প্রশ্ন থাকলে এতদিন কী করছিলেন? আগে বলেননি কেন?

 

জবাবে সিব্বাল বলেন, এটা আমার মৌলিক অধিকার। যে কোনও সময়ে তুলতে পারি। আইনজীবী মুকুল রোহাতগিও ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, বিচারপতি সৌমিত্র সেনকে যখন ইমপিচ করার সুপারিশ করে শীর্ষ আদালত তখন তাঁকে ডাকা হয়েছিল এবং তাঁর বক্তব্য শোনা হয়। তখন বিচারপতি দত্ত বলেন, এই কমিটির প্রচলন হয় ১৯৯৯ সালে। এদিন এই মামলা ক্লোজ করে দেওয়া হয়।