০৪ জুন ২০২৫, বুধবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

তৃণমূলে যোগদান সি পি এম প্রার্থীর ,চার নং ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সম্ভাবনা
দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: তৃণমূলে যোগদান রামপুরহাট পুরসভার চার নং ওয়ার্ডের সি পি এম প্রার্থী রূপা হাজরা। পাশাপাশি, অভিযোগ পেয়ে

শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমুলে ’বিতর্কিত’ শিক্ষক নেতা মইদুল
সাকিল আহমেদ, ডায়মন্ড হারবার: না আর মমতার বাড়ি খাল পেরিয়ে আন্দোলন না। আর বিকাশ ভবনের সামনে কোন আন্দোলন করে শিক্ষিকাদের বিষ পান করে আত্মহত্যার প্ররোচনা নয়। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে শেষমেশ যোগ দিলেন দিদির দলে। নাড়া বাঁধলেন মমতার জনমুখী কর্মসূচির শরিক হতে। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের একটি সিনেমা হলে তৃণমূল টাউন কংগ্রেস এবং তৃণমূল ব্লক কংগ্রেসের ডাকা বিজয়া সাম্মলনী মঞ্চ যেন চাঁদের হাট।জেলা পরিষদ সভাপতি শামীমা শেখ থেকে শুরু করে পরিবহন প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক পান্নালাল হালদার, পুর কো অর্ডিনেটর, বিধায়ক অশোক দেব তখন অপেক্ষা করছেন।অবশেষে শিক্ষক আন্দোলনের নেতা মইদুল ইসলাম এসে সদলবলে যোগ দিলেন তৃণমূলে। হাতে দলীয় পতাকা পেয়ে মইদুল বললেন যা আন্দোলন করেছি তা শিক্ষকদের স্বার্থে। তাদের দাবির স্বার্থে কখনো মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওই পথ বেছে নিয়েছিলাম তারপর ভাবলাম ভুল পথেই যাত্রা শুরু করেছি। বিজেপি, সিপিএম আমাদের সরকার বিরোধী আন্দোলনে পাশে থাকলেও পরে কেটে পড়েছে। আমাদের চৈতন্য হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথই দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছে। তাঁর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, মইদুলের নেতৃত্বে ওদের সংগঠন যোগ দেওয়ায় আমি খুশি। তবে ওই ধরণের আন্দোলন না করে সরকারের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে শিক্ষকদের। আমরা শুনতে রাজি আছি তাদের কথোপকথন। গত বিধানসভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিম বিধান সভা কেন্দ্র থেকে ভাইজানের দল আইএসএফ থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত মইদুল শেষে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেওয়ায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ দলের মারখাওয়া এবং লড়াইয়ে থাকা কর্মীরা। তাঁদের দাবি নিজের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্যে পাল্টি খেয়েছেন মইদুল। দলের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন।

মেদিনীপুর সদর ও স্বরুপনগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের বিজেপি ছেড়ে হাজারের বেশি লোকজন যোগ দিলেন তৃণমূলে৷ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের ফুলপাহাড়ি এলাকাতে কনকাবতী অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে একটি যোগদান মেলা কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়েছিল৷ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বিজেপি থেকে আসা এই লোকজনদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন৷ মুলত জঙ্গলমহল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই লোকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ সুজয় হাজরার দাবি, গত কয়েকদিন ধরে যোগদান সিরিজ চলছে জেলাতে৷ নারায়ানগড়ে কয়েকদিন আগে যোগদান করেছিল কয়েকশ বিজেপি কর্মী, এমন যোগদান জেলাজুড়ে চলছে৷ খুব শীঘ্রই রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক চলছে তাতে বিরোধী দলের তকমা হারাতে পারে বিজেপি৷ অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর ব্লকে বিজেপির বড়সড় ভাঙন দেখা গেল। দলের জেলা সভাপতি, সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল।বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর বিধানসভার চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগদান মেলায় বুধবার রাতে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হেলথ মিশন তথা স্বাস্থ্য সেলের বিজেপি সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির মেম্বার অনিন্দ্য ঘোষ, সুরেশ মণ্ডল, বিজেপি নেতাকর্মীসহ পাচ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান শংকর দত্ত, স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা কর, তৃণমূল নেতা নারায়ণ কর সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা।