০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BREAKING :

করোনার মাঝেও পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা কমিশনের
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তারমধ্যেও হবে ভোট।উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। কিন্তু দিনেরপর দিন করোনা পরিস্থিতি খারাপের

ভোটও এখন বন্ধ রাখা দরকার, ব্যাক্তিগত মত সাংসদ অভিষেকের
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিনের পর দিন বেড়েইে চলেছে করোনা। এই পরিস্থিতে শনিবার এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন ডায়মণ্ডহারবার লোকসভার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা আক্রান্ত ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে ক্ষমা চাইল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: করোনা আক্রান্ত জেনেও ছাত্রীকে ডেকে পাঠানো হল ক্যাম্পাসে। ভর্তির ভেরিফিকেশনের জন্য ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে বিতর্কে জড়াল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

এবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটেভদের
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাড়ছে করোনার প্রকোপ। সেসময় বেশ কয়েকদফা দাবি জানিয়ে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দেশের মেডিক্যাল ও সেলস রিপ্রেজেন্টিটিভরা। ওষুধের উপর

মাস্ক ব্যবহার না করায় হাওড়ায় গ্রেফতার ৭২
পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: কোভিড প্রোটোকল ভেঙে মাস্ক ব্যবহার না করায় হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায় ২২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। করোনা প্রতিরোধে ৩ জানুয়ারি থেকে

স্কুল কলেজ খোলায় উচ্ছ্বাস পড়ুয়াদের, খেলল সবুজ আবির
দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: বাজলো স্কুলের ঘন্টা! জুটল প্রাণ খোলা হাসি! প্রায় দু’বছর ধরে জল ছাড়া মাছের মতো অবস্থা ছিল শিক্ষার্থীদের! মঙ্গলবার থেকে দীর্ঘ গৃহবন্দী জীবন থেকে মিলল মুক্তি! সেই আনন্দের বাঁধ ভাঙল আবিরে। কোথাও ফুল ছিটিয়ে ছাত্রী বরণ, আবার কোথাও সবুজ আবিরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ছে পড়ুয়াদের চোখে মুখে! কোভিড বিধি মেনে খুলে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রামপুরহাট বালিকা বিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখেই ছাত্রীদের মাথায় ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানানো হয়। দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে যাওয়ার আনন্দে সবার মনে খুশির হাওয়া। রামপুরহাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় জানান, কোভিড বিধি মেনে বিএসসি ও কমার্সের সব সেমেস্টারের পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কলেজ। অনদিকে শুধুমাত্র বিএ ক্লাসের তৃতীয় সেমেস্টার খুলেছে। পাশাপাশি, পঁচিশ থেকে ত্রিশ জন পড়ুয়ার মধ্যে সীমিত থাকায় স্নাতকোত্তর ক্লাসে বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত বিষয়ের ক্লাস মঙ্গলবার থেকেই খুলেছে। তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিটের সদস্যা সিনহা ও ঋতুপর্ণারা বলেন, অফলাইন চালু হওয়ার আগেও পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট। কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিটের পক্ষ থেকে সকল পড়ুয়াদের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হয়, স্যানিটাইজার দেওয়া হয় এবং কলেজ প্রবেশের আগে থার্মাল গানের মাধ্যমে তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। অনেকদিন পর কলেজ খোলায় মিস্টিমুখের সাথে সবুজ আবির খেলা হয়।

স্কুলে ভাঙন দুর্গতরা, চালু হয় নি মালদার স্কুল
রেজাউল করিম, বৈষ্ণবনগর: বহুদিন পর খুলল স্কুল। কিন্তু অন্যরকম এক ছবি গঙ্গার ভাঙন এলাকায়। কালিয়াচক- ৩ ব্লকের চামাগ্রাম হাই স্কুলে গত দু’মাস থেকে স্কুলেই আশ্রয় নিয়ে আছেন প্রায় শতাধিক গঙ্গার ভাঙন দুর্গত পরিবার। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গতরা থাকার ফলে স্কুলে পঠনপাঠন চালু হয়নি। প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর দুর্গতদের বক্তব্য, আমাদের ভিটেমাটি সবই তো গঙ্গায়। আমরা সর্বস্ব হারিয়ে এখানে বাধ্য হয়েই আশ্রয় নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট ব্লকের বীরনগর -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দটোলা, ঘোষপাড়া ও সরকারটোলার একাংশের কয়েকশো পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বংসী ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে যায়। এই ভাঙন দুর্গতরা কেউ আশ্রয় নেন আত্মীয়- পরিজনদের বাড়িতে বা কেউ আশ্রয় নেন অন্যের জমিতে, সেখানেই অস্থায়ী আস্তানা গড়ে তোলেন। তবে বহু ভাঙন দুর্গত পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় নেন চামাগ্রাম হাইস্কুলে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘর ও অফিসরুম বাদে দ্বিতল ভবনে ১৬টি ক্লাসরুম রয়েছে এবং সব ক্লাসরুমেই ভাঙন দুর্গতরা রয়েছেন। একেকটি ঘরে অন্তত চার থেকে পাঁচটি করে পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। ওই পরিবারগুলি এখনও স্কুলে থাকায় মঙ্গলবার স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এদিন যথারীতি সব শিক্ষক-শিক্ষিকা পাশাপাশি হাতে গোনা কিছু ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ সরকার বলেন, “নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে আমাদের স্কুলে। মোট ছাত্র ছাত্রী ১৬০০ জন।কিন্তু গোটা স্কুলভবনে গঙ্গা ভাঙন দুর্গতরা আশ্রয় নিয়ে থাকায় আমরা ক্লাস চালু করতে পারছি না। ভাঙনদুর্গতরা ক্লাসঘরে থাকায় স্কুল ভবনে স্যানিটাইজেশন করাও হয়নি। পুরো বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এদিন মাত্র ৩৫ জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত হন।”

২০ মাস পর পড়ুয়াদের কলকাকলিতে ভরে উঠল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি
পুবের কলম প্রতিবেদক, বাঁকুড়া: ২০ মাস পর মঙ্গলবার থেকে ফের স্কুল-কলেজ খুলল। ফের ভরে উঠল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি পড়ুয়াদের কলকাকলিতে। বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নবান্নের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্লাসরুম গুলিতে ঝাড়পোছ করে স্যানিটাইজ করে ঝকঝকে তকতকে করে তুলেছে। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের গেট থেকে প্রতিটি ক্লাস রুমের দরজা পর্যন্ত চুন দিয়ে গোল গোল দাগ দেওয়া হচ্ছিল। জঙ্গলমহলের ঢেঙাআম স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন গত দু’বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের মুখ দেখিনি, ফের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পড়ুয়াদের কলকাকলীতে ভরে উঠেছে, ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছি। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে প্রবেশ করার সাথেসাথেই ফুল আর কলম দিয়ে সকলকে বরণ করা হয়। বাঁকুড়া জেলা স্কুল এবং জেলা মিশন গার্লস স্কুলের বরণ করার দৃশ্য ছিল নয়নাভিরাম ।

পুর্ব মেদিনীপুরের স্কুলের জন্য বরাদ্দ ৬ কোটি ৯১ হাজার
পুবের কলম প্রতিবেদক, পুর্ব মেদিনীপুর: বিগত আমফান, ইয়াস ও অতি বর্ষণ সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যের স্কুল গুলির পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিও সরকারি অর্থবরাদ্দ পাবে।ইতিমধ্যে রাজ্যের ৬,৬৪৮ টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেরামতির জন্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪২৭ টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের মেরামতির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি ৯১ হাজার টাকা। রাজ্যের ৬১৪ টি মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। জেলার ১৮ টি হাই মাদ্রাসা ও সিনিয়র মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। তবে এই বরাদ্দকৃত অর্থ করোনা লকডাউন জনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় পরিকাঠামো সংষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হবে।

রায়গঞ্জের হাসপাতালে ছ’মাসের শিশু করোনা আক্রান্ত
পুবের কলম প্রতিবেদক, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একটি ছ’মাসের এক শিশুর দেহে মিলল করোনা ভাইরাসের জীবাণু। গত ২৯ অক্টোবর ওই শিশুটিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন গত ৩ নভেম্বর তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওইদিন রাতেই তার দেহের করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে শিশু বিভাগ থেকে সরিয়ে করোনা বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যদিও শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছে বলেই জানিয়েছে মেডিকাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি এই মেডিকেল কলেজে প্রথম কোন শিশু করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হল। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে।