০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার বিধি-নিষেধ ছবিসহ স্কুলের দেওয়ালে এঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার উদ্যোগ

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মুখে বলে যতটা না সচেতন করা যায়, তার থেকে ছবি এঁকে অনেক বেশি সচেতন করা যাবে বলে মনে করেন বৈদ্যবাটি পুরসভার পুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ। সুবীর বাবুর নির্দেশেই স্কুল খোলার আগেই দেওয়ালে রং-বেরংয়ের ছবি আঁকার কাজ চলছে বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকার স্কুলগুলিতে। ওই ছবিগুলির মাধ্যমেই করোনার বিধিনিষেধগুলি সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে স্কুলগুলিতে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজেশন করার কাজ।  এ বিষয়ে সুবীর বাবু জানান, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল খোলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া গেছে। স্কুলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসবে। তারা রংবেরংগের ছবিসহ দেওয়াল লিখনগুলি দেখতে পাবে। দেখতে পাবে দেওয়ালে লাগানো পোস্টারিংগুলিও। তা দেখে ছাত্রছাত্রীরা করোনা সম্বন্ধে অনেক বেশি সচেতন থাকতে পারবে।শেওড়াফুলির সুরেন্দ্রনাথ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুলের পক্ষ থেকে তারা নিজেদের মতো যা বাবস্থা নেওয়ার নিচ্ছেন। সরকারিভাবে স্কুলের জন্য যে ফান্ড পাওয়া গিয়েছে তা দিয়ে স্কুল সারানো হচ্ছে। তাছাড়াও স্থানীয় বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার বিষয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনা বিধি নিষেধ সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সহজে সচেতন করা যায় সেজন্য ছবির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সুবীরবাবু। 

মাস্ক পরছেন তো? শুধু জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার ১৭৫ জন

শুভজিৎ দেবনাথ, জলপাইগুড়ি: মাস্ক না পরার দায়ে জলপাইগুড়ি জেলায় গ্রেফতার হলেন ১৭৫ জন। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রজু করা হল ধূপগুড়িতে গ্রেফতার হওয়া ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। জেলায় বাড়ছে করনা গ্রাফ। চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রশাসন।  মাস্ক না পরায় পথচারীদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল পুলিশ। শুধু গ্রেফতার নয়, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।  বুধবার দুপুরের পর থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয় মাস্ক বিহীন মানুষদের বিরুদ্ধে। যারা মাস্ক না পরে করোনা বিধি অমান্য করে বাইরে বেরিয়েছিলেন তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়। এদিন জলপাইগুড়ি জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। এমনকি ধূপগুড়ি থানা এলাকায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাঞ বারবার মানুষকে সতর্ক করেছেন এবং করোনা বিধি পালনের জন্য অনুরোধ করেছেন। তার পরেও একশ্রেণীর মানুষের কর্নপাত  করেনি। তা জেলার ছবি থেকেই পরিষ্কার, অধিকাংশ মানুষ মাছ ছাড়াই রাস্তায় বের হচ্ছেন। আর এইসব নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছিল নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। 

করোনাঃ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় তিনদিন লকডাউন

পুবের কলম প্রতিবেদক, সোনারপুর: রাজপুর- সোনারপুর পুরসভা এলাকায় গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনদিন কার্যত লকডাউন ঘোষণা করল প্রশাসন। আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর তিনদিন সমস্ত বাজার দোকান বন্ধ রাখা হবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে। মাস্ক ব্যবহার ও কোভিড বিধি কড়াভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার। মঙ্গলবার হরিনাভিতে এক প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বারুইপুর পুরসভা এলাকায় মাস্ক পরার ব্যাপারে কড়া নিয়ম বলবত থাকবে।  এদিন দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথনের নির্দেশে হরিনাভিতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা অফিসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ছিলেন মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ইন্দ্রনীল  মিত্র, সোনারপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ মিশ্র, বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সহ অন্যান্যরা। ছিলেন বাজার কমিটির সদস্যরা, পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা।  জানা গিয়েছে, পুরসভার ৩৪ টি ওয়ার্ডে আক্রান্তর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার ১৯টি এলাকাকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। সোনারপুর বাজার এলাকায় সোনারপুর থানার পুলিশ এদিন অভিযান চালায়, মাস্ক না ব্যবহার করায় ৩২ জন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি মাইকিং করে মাস্ক পরার ব্যাপারে এলাকায় জোর দেওয়া হয়। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder