২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

হতাশায় ভুগছে শুভেন্দু! অর্জুন বিতর্কে মন্তব্য ফিরহাদের
পুবের কলম প্রতিবেদক: তৃণমূলের তরফে বারাবরই কটাক্ষ করা হয় যে মানুষের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই দলের অন্দরে

নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুকে আক্রমণ তৃণমুলের
পুবের কলম প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে সূর্যোদয় ভূমি উচ্ছেদ কমিটির উদ্যোগে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করল জেলা নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্বরা। বুধবার নন্দীগ্রামে গোকুলনগর করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠানরে ডাক দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, রাজ্য নেতৃত্ব জয়া দত্ত, দোলা সেন, শেখ সুফিয়ান সহ তৃণমূলের একঝাঁক নেতৃত্ব। এদিন মঞ্চ থেকে একের পর এক নেতৃত্বরা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন “ক্ষমতার ব্যবহার করে অনেকে অনেক দুর্নীতি করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে লালবাতি গাড়ি থাকবে না। বিরোধী দলনেতা পদও থাকবে না”। রাজ্য নেতৃত্ব জয়া দত্ত বলেন “অনেকে ভাবতেন বিজেপি হয়তো ক্ষমতায় চলে আসবে, নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এতবার বাংলায় এসেছেন। মোদিবাবু বুঝে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালে ক্ষমতা দখল করতে পারে বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো কটাক্ষ করে বলেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে আমাদের ঘৃনা লাগে। বেঈমান গাদ্দার বলে কটাক্ষ করেন তিনি। যদি লজ্জা থাকে নন্দীগ্রামে ঢুকবে না। লোডশেডিং করে গাদ্দারি করেছে জিতেছেন বলেও দাবি করা হয়। যদি ক্ষমতা থাকে লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে অবশ্যই দেখা হবে শুভেন্দু অধিকারী কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছি বলে তিনি জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি হুঁশিয়ারি দেন, দু’ মিনিট সময় লাগবে বিরোধীদের নন্দীগ্রাম থেকে এলাকাছাড়া করতে বলে তাঁর মন্তব্য। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন “শুভেন্দু অধিকারী শহীদদের রক্ত নিয়ে খেলেছে। শুভেন্দু অধিকারীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বের করে দেব বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। নন্দীগ্রামে মানুষের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কোনও হিন্দু পরিবারের শিশুর নাম শুভেন্দু রাখবেন না, দিনহাটায় আর কি কি বললেন সায়ন্তিকা
পারভেজ হোসেন, দিনহাটা: দিনহাটায় উপ নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু তা অবশ্যই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পদের জন্য। দিনহাটায় প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন সর্বভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা এবারের উপনির্বাচনের তৃণমুল প্রার্থী উদয়ন গুহ, পার্থপ্রতিম রায়, আব্দুল জলিল প্রমুখ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিনহাটার নিগমনগরে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের প্রচারে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন সায়ন্তিকা। তিনি জানান, আগামী ৩০ তারিখ জোরদার একটা খেলা হবে।হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।কিন্তু সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা হবে, কে দ্বিতীয় হবে? আর কে তৃতীয় হবে? তাদের মধ্যে।কারণ প্রথম স্থানে থাকবে তৃনমূল কংগ্রেস। বিপুল ভোটে জয়ী হবে আমাদের দলের প্রার্থী , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব প্রিয় মানুষ উদয়ন গুহ। তাঁকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন এই দিনহাটার মানুষেরা বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের কথা বলেন। তিনি বলেন মানুষের জীবনের তিনটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য।বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।বিনামূল্যে রেশন থেকে দুয়ারে রেশন দিয়েছেন।স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য সাথী সবই তিনি দিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের বই-খাতা থেকে শুরু করে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে । তাই শীত গ্রীষ্ম বর্ষা , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের ভরসা। তিনি বাংলা কে বুকে করে আগলে রেখেছেন । এদিনের সভায় দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। দলবদল করে শুভেন্দু প্রতারণা করেছেন। সেই প্রসঙ্গে বলেন, মুসলিম পরিবারে সদ্যজাত শিশুর নাম যেমন মীরজাফরের রাখা হয়না বলে তাঁর দাবি, এবার থেকে কোন হিন্দু পরিবারের শিশুর নামও শুভেন্দু রাখা হবে না।