হরিয়ানায় কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখতে টাস্ক ফোর্স গঠন, ৩০০ গর্ভপাত কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল

- আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
- / 46
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানায় একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর জন্মহার অনেকটাই কম। ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ৯১০ জন। কন্যাভ্রূণ হত্যাকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে সমীক্ষায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে হরিয়ানা প্রশাসন। এর তদন্তের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রায় ৩০০টি গর্ভপাত কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ২০২৪ সালে হরিয়ানায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা প্রায় একশো কম ছিল। পুরুষের অনুপাত হাজার হলে নারী সংখ্যা ছিল ৯১০টি। হরিয়ানা সরকার গর্ভপাত এবং আইভিএফ কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ১৫০০টি প্রেগন্যান্সি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০০টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন-হরিয়ানার পরিচালক ডঃ বীরেন্দ্র যাদব।
আরও পড়ুন: জামার বোতাম খোলা রাখার অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ড আইনজীবীর
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ‘বেটি বাচাঁও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প নেওয়া হয়। বর্তমানে হরিয়ানায় বিজেপি সরকার। তারপরেও হরিয়ানায় ছেলের তুলনায় মেয়ের অনুপাত অনেকটাই কম। ডাঃ বীরেন্দ্র যাদব একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৩টি গর্ভপাত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়েছে। এমটিপি কিটের ১৭টি অনলাইন বিক্রেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হিসার জেলার পিএনডিটি নোডাল অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১২টি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসারদের কারণ জানাতে বলা হয়েছে। তিনজন সিএইচসির মেডিক্যাল অফিসারকে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চরখি দাদরি, রেওয়ারি, রোহতক, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের পিএনডিটি নোডাল অফিসারদের বদলি করা হয়েছে। বেআইনি গর্ভপাতের সঙ্গে জড়িত এজেন্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখতে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ১০৪ নম্বরের মাধ্যমে কমপক্ষে ৬২,০০০ গর্ভবতী মহিলাকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।একাধিক কন্যা সন্তান সহ গর্ভবতী মহিলাদের তদারকি করার জন্য আশাকর্মীদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। সফলভাবে কন্যা সন্তান যাতে জন্মাতে পারে তার জন্য হরিয়ানা সরকার ১,০০০ টাকা করে দিচ্ছে।হরিয়ানা মার্চ থেকে প্রতি ১,০০০ জন ছেলের মধ্যে ৯১১ জন মেয়ে জন্মেছে বলে দাবি করেছে হরিয়ানা সরকার।