১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ‘: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
  • / 51

পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক স্কুল সংক্রান্ত মামলা। ‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সংঘাতে ব্যাহত হচ্ছে স্কুলের পড়াশোনা’। এদিন একটি আবাসিক স্কুলের মামলার পর্যবেক্ষণে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু। ‘সার্বিক ভালটা দেখতে শিখুন। স্কুলের উন্নতিতে দরকার হলে আসুন আদালত সাহায্য করবে।’ এও জানান বিচারপতি।

'শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ': বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব বর্ধমান জেলার রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল। জনজাতি এই আবাসিক স্কুলে দশ বছর চাকরি করার পরও বেতন সহ কোনও বেনিফিট পাননি বলে অভিযোগ এক শিক্ষকের। প্রতিকার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এই মামলার শুনানিতে দু’পক্ষের কাছে স্কুলের সার্বিক অবস্থা খারাপ শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এজলাসে বিচারপতি বলেন, আবেদনকারী শিক্ষক তার প্রাপ্য বকেয়া টাকা অবশ্যই পাবেন। কিন্তু স্কুলের মানের উন্নতির দিকেও নজর দিতে হবে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষকে। এই প্রান্তিক স্কুলগুলোর সম্পর্কে আপনাদের ভাবতে হবে, কারণ কত ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত্‍ লুকিয়ে আছে এই স্কুলে। এরপরই স্কুলের সার্বিক মানের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর এর কাছে রিপোর্ট তলব করে সিঙ্গেল বেঞ্চ। ওই আবাসিক স্কুলের পঠন-পাঠনসহ মিড ডে মিল, ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক পরিষেবা সব কিছুর রিপোর্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ডিআই কে আগামী ১৮ অগস্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: লিলুয়ার বেআইনী নির্মাণ ভাঙায় স্থগিতাদেশ, মামলা শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ‘: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক স্কুল সংক্রান্ত মামলা। ‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের সংঘাতে ব্যাহত হচ্ছে স্কুলের পড়াশোনা’। এদিন একটি আবাসিক স্কুলের মামলার পর্যবেক্ষণে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে একথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু। ‘সার্বিক ভালটা দেখতে শিখুন। স্কুলের উন্নতিতে দরকার হলে আসুন আদালত সাহায্য করবে।’ এও জানান বিচারপতি।

'শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ': বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব বর্ধমান জেলার রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল। জনজাতি এই আবাসিক স্কুলে দশ বছর চাকরি করার পরও বেতন সহ কোনও বেনিফিট পাননি বলে অভিযোগ এক শিক্ষকের। প্রতিকার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এই মামলার শুনানিতে দু’পক্ষের কাছে স্কুলের সার্বিক অবস্থা খারাপ শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এজলাসে বিচারপতি বলেন, আবেদনকারী শিক্ষক তার প্রাপ্য বকেয়া টাকা অবশ্যই পাবেন। কিন্তু স্কুলের মানের উন্নতির দিকেও নজর দিতে হবে শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষকে। এই প্রান্তিক স্কুলগুলোর সম্পর্কে আপনাদের ভাবতে হবে, কারণ কত ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত্‍ লুকিয়ে আছে এই স্কুলে। এরপরই স্কুলের সার্বিক মানের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর এর কাছে রিপোর্ট তলব করে সিঙ্গেল বেঞ্চ। ওই আবাসিক স্কুলের পঠন-পাঠনসহ মিড ডে মিল, ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক পরিষেবা সব কিছুর রিপোর্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ডিআই কে আগামী ১৮ অগস্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: লিলুয়ার বেআইনী নির্মাণ ভাঙায় স্থগিতাদেশ, মামলা শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ