০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নজির গড়ল নয়াদিল্লির এইমস, মাত্র ৬ বছর বয়সে অঙ্গদান করে দুজনের জীবন বাঁচাল এই মেয়ে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 55

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মাত্র ৬ বছর বয়সে অঙ্গদান করে দুজন জীবনের বাঁচিয়ে গেল এই ছোট্ট মেয়ে। নজির গড়ল নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতাল।

মাত্র ৫ বছর ১০ মাস। জীবনে হাসিখুশিতে কাটানোর কথা ছিল  রলি নামের এই ছোট্ট মেয়ের। কিন্তু জীবন তার সঙ্গে পরিহাস করল। গত ২৭ এপ্রিল রলি প্রজাপতির জীবনে নেমে আসে দুর্যোগ।  নয়ডা সেক্টর ১২১-এ তাদের বাড়ির বাইরে খেলছিল। বাবা হরিনারায়ণ প্রজাপতি ঘরে ছিলেন। রলির মা পুনমও ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণের শব্দ। তার পরে রলির প্রচণ্ড কান্না। বাবা হরিনারায়ণ বাইরে গেলে দেখেন রলির সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তার পর  তাকে নিয়ে নয়ডার সরকারি নিয়ে যান তারা। নয়ডার সরকারি হাসপাতাল থেকে দিল্লির AIIMS-এ রেফার করা হয় রলিকে।

আরও পড়ুন: BREAKING, দিল্লি AIIMS-এ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

পরিবার রলিকে নিয়ে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ AIIMS দিল্লি পৌঁছায়। মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়। তখনই দেখা যায়,  তার মাথায় একটি গুলি লেগেছে এবং ২টি হাড় ভেঙে গিয়েছে। টানা দুদিন  রলির বিভিন্ন চিকিৎসা ও পরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১১.৪০ মিনিটে রলিকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের পর থেকে অঙ্গদানের কথা আবেদন জানানো হয় রলির বাবা-মায়ের কাছে। চিকিৎসকদের কথায় রাজি হয়ে যান রলির বাবা-মা।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর

পরিবারের সম্মতির নিয়ে রলির লিভার অ্যাপোলোতে ভর্তি এক শিশুর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। দুটি কিডনিই এইমসের এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া রলির হার্টের ভাল্ব এবং চোখের কর্নিয়া সুরক্ষিত ছিল, যা বাঁচাতে পারে আরও কিছু মানুষের জীবন।

আরও পড়ুন: Imam Umer Ahmed Ilyasi ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে চব্য-চোষ্য দিয়ে ‘ইফতার’ সারলেন

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নজির গড়ল নয়াদিল্লির এইমস, মাত্র ৬ বছর বয়সে অঙ্গদান করে দুজনের জীবন বাঁচাল এই মেয়ে

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মাত্র ৬ বছর বয়সে অঙ্গদান করে দুজন জীবনের বাঁচিয়ে গেল এই ছোট্ট মেয়ে। নজির গড়ল নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতাল।

মাত্র ৫ বছর ১০ মাস। জীবনে হাসিখুশিতে কাটানোর কথা ছিল  রলি নামের এই ছোট্ট মেয়ের। কিন্তু জীবন তার সঙ্গে পরিহাস করল। গত ২৭ এপ্রিল রলি প্রজাপতির জীবনে নেমে আসে দুর্যোগ।  নয়ডা সেক্টর ১২১-এ তাদের বাড়ির বাইরে খেলছিল। বাবা হরিনারায়ণ প্রজাপতি ঘরে ছিলেন। রলির মা পুনমও ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরণের শব্দ। তার পরে রলির প্রচণ্ড কান্না। বাবা হরিনারায়ণ বাইরে গেলে দেখেন রলির সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তার পর  তাকে নিয়ে নয়ডার সরকারি নিয়ে যান তারা। নয়ডার সরকারি হাসপাতাল থেকে দিল্লির AIIMS-এ রেফার করা হয় রলিকে।

আরও পড়ুন: BREAKING, দিল্লি AIIMS-এ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

পরিবার রলিকে নিয়ে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ AIIMS দিল্লি পৌঁছায়। মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়। তখনই দেখা যায়,  তার মাথায় একটি গুলি লেগেছে এবং ২টি হাড় ভেঙে গিয়েছে। টানা দুদিন  রলির বিভিন্ন চিকিৎসা ও পরীক্ষাও করা হয়। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১১.৪০ মিনিটে রলিকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের পর থেকে অঙ্গদানের কথা আবেদন জানানো হয় রলির বাবা-মায়ের কাছে। চিকিৎসকদের কথায় রাজি হয়ে যান রলির বাবা-মা।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর

পরিবারের সম্মতির নিয়ে রলির লিভার অ্যাপোলোতে ভর্তি এক শিশুর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। দুটি কিডনিই এইমসের এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া রলির হার্টের ভাল্ব এবং চোখের কর্নিয়া সুরক্ষিত ছিল, যা বাঁচাতে পারে আরও কিছু মানুষের জীবন।

আরও পড়ুন: Imam Umer Ahmed Ilyasi ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের বাড়িতে চব্য-চোষ্য দিয়ে ‘ইফতার’ সারলেন