০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বর্ধমান’ চালের খুশবু ছড়াচ্ছে আবু ধাবির মল-সহ বিশ্বজুড়ে… রবিয়েল হকের উত্থানের কাহিনি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 18

রবিয়েল হক (ডানদিকে)

সফিকুল ইসলাম (দুলাল)বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সুবল দহগ্রামে আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা রাসবিহারী বসু জন্মগ্রহণ করেন। আজাদ হিন্দ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে ইংরেজদের দেশ ছাড়া করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁরই গ্রাম থেকে আর এক বিশ্বজয়ের কাহিনি উঠে এসেছে। বাণিজ্যের বিশ্বজয়।

পূর্ব বর্ধমানের রায়নার এক গ্রাম বহরমপুরের এক সাধারণ ঘরের সন্তান রবিয়েল হক। যিনি প্রথম জীবনে ব্যান্ড কুড়োর ব্যবসা শুরু করেন। ছোট্ট কুড়ো ব্যবসা থেকে এক বিশ্বমানের সংস্থা তৈরি করেন। বর্ধমান এগ্রোইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে খুশবুদার চালের মিল ও কোম্পানি করে, সেই চাল এখন সারাবিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন রবিয়েল হক।

তার প্যাকেটজাত বাংলার খাস চাল ইউনাইটেড আরব আমিরাতের বিখ্যাত শপিং মল আল আহদার শোরুমে দেখা যাচ্ছে। প্যাকেটের প্রথমেই চালের নাম পরিচিত হিসেবে লেখা থাকে ‘বর্ধমান’। তার পরে লেখা থাকে চালের নাম ‘জিরাকাসালা রাইস’। আর এটা বাজারজাত করছে বিশ্বখ্যাত কোম্পানি ‘লুলু’ গ্রুপ ।

শুধু আরব আমিরশাহী নয়, আরব দেশসমূহ,  ইউরোপ, আফ্রিকাতেও এই নামের খাস চাল বা গোবিন্দ ভোগ চাল বাজারজাত করা হচ্ছে ।

দক্ষিণ দামোদরের খুশবুদার খাস চাল বিদেশে কীভাবে বাণিজ্য করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়, তার উদাহরণ রেখেছেন দক্ষিণ দামোদরের অজ-পাড়াগাঁয়ের সাধারণ পরিবারের ছেলে রবিয়েল হক।

বর্ধমান জিরা কাসালা নামের খাস বা গোবিন্দভোগ চাল ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইতালি, দুবাই-সহ উন্নত দেশের বড় বড় শপিংমলে ‘বর্ধমান’ জিরা কাসালা রাইস নামে সুগন্ধযুক্ত চাল ভোজনরসিকদের রসনা তৃপ্ত করছে। এই চাল নামিদামি মলগুলির তাকে শোভা বর্ধন করছে। একই সঙ্গে বর্ধমানের নাম উন্নতমানের চাল উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয়রা যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় শোরুমে ‘বর্ধমান’ নামে পণ্য দেখতে পাচ্ছেন তখন অবশ্যই তাদের গর্ব হচ্ছে।

শুধু বাংলার চালের মাধ্যমে বাণিজ্যে বিশ্ব জয় করা যায়, সাধারণ পরিবারের ছেলে রবিয়েল হক তা দেখিয়ে দিয়েছেন।

তাঁকে অনুসরণ করে দক্ষিণ দামোদরের আরও অনেক চাল মিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের উৎপাদিত চাল পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে চাল রফতানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যাক্স বসিয়ে ব্যবসাদারদের বিপদে ফেলেছে। তবুও রবিয়েলের মতো কিছু ব্যবসায়ী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ধমানের নাম সুনামের সঙ্গে পৌঁছে দিচ্ছেন।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘বর্ধমান’ চালের খুশবু ছড়াচ্ছে আবু ধাবির মল-সহ বিশ্বজুড়ে… রবিয়েল হকের উত্থানের কাহিনি

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার

সফিকুল ইসলাম (দুলাল)বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সুবল দহগ্রামে আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা রাসবিহারী বসু জন্মগ্রহণ করেন। আজাদ হিন্দ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে ইংরেজদের দেশ ছাড়া করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁরই গ্রাম থেকে আর এক বিশ্বজয়ের কাহিনি উঠে এসেছে। বাণিজ্যের বিশ্বজয়।

পূর্ব বর্ধমানের রায়নার এক গ্রাম বহরমপুরের এক সাধারণ ঘরের সন্তান রবিয়েল হক। যিনি প্রথম জীবনে ব্যান্ড কুড়োর ব্যবসা শুরু করেন। ছোট্ট কুড়ো ব্যবসা থেকে এক বিশ্বমানের সংস্থা তৈরি করেন। বর্ধমান এগ্রোইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামে খুশবুদার চালের মিল ও কোম্পানি করে, সেই চাল এখন সারাবিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন রবিয়েল হক।

তার প্যাকেটজাত বাংলার খাস চাল ইউনাইটেড আরব আমিরাতের বিখ্যাত শপিং মল আল আহদার শোরুমে দেখা যাচ্ছে। প্যাকেটের প্রথমেই চালের নাম পরিচিত হিসেবে লেখা থাকে ‘বর্ধমান’। তার পরে লেখা থাকে চালের নাম ‘জিরাকাসালা রাইস’। আর এটা বাজারজাত করছে বিশ্বখ্যাত কোম্পানি ‘লুলু’ গ্রুপ ।

শুধু আরব আমিরশাহী নয়, আরব দেশসমূহ,  ইউরোপ, আফ্রিকাতেও এই নামের খাস চাল বা গোবিন্দ ভোগ চাল বাজারজাত করা হচ্ছে ।

দক্ষিণ দামোদরের খুশবুদার খাস চাল বিদেশে কীভাবে বাণিজ্য করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়, তার উদাহরণ রেখেছেন দক্ষিণ দামোদরের অজ-পাড়াগাঁয়ের সাধারণ পরিবারের ছেলে রবিয়েল হক।

বর্ধমান জিরা কাসালা নামের খাস বা গোবিন্দভোগ চাল ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইতালি, দুবাই-সহ উন্নত দেশের বড় বড় শপিংমলে ‘বর্ধমান’ জিরা কাসালা রাইস নামে সুগন্ধযুক্ত চাল ভোজনরসিকদের রসনা তৃপ্ত করছে। এই চাল নামিদামি মলগুলির তাকে শোভা বর্ধন করছে। একই সঙ্গে বর্ধমানের নাম উন্নতমানের চাল উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয়রা যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় শোরুমে ‘বর্ধমান’ নামে পণ্য দেখতে পাচ্ছেন তখন অবশ্যই তাদের গর্ব হচ্ছে।

শুধু বাংলার চালের মাধ্যমে বাণিজ্যে বিশ্ব জয় করা যায়, সাধারণ পরিবারের ছেলে রবিয়েল হক তা দেখিয়ে দিয়েছেন।

তাঁকে অনুসরণ করে দক্ষিণ দামোদরের আরও অনেক চাল মিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের উৎপাদিত চাল পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে চাল রফতানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যাক্স বসিয়ে ব্যবসাদারদের বিপদে ফেলেছে। তবুও রবিয়েলের মতো কিছু ব্যবসায়ী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ধমানের নাম সুনামের সঙ্গে পৌঁছে দিচ্ছেন।