২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনআরসি নিয়ে ভাবছে না বিজেপি সরকার, জানাল কেন্দ্র

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 51

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অমিত শাহরা সিএএ আইন পাশের আগেই তড়িঘড়ি সারা দেশে এনআরসি লাগু করার হুঙ্কার দিতেন৷ কিন্তু সিএএ পাশের পর এর নীতিমালা প্রনয়ণ ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা করেছে মোদি সরকার৷ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ পাশ করে কেন্দ্র। তাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান,  আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। বৈষম্যমূলক এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রেমী মানুষ। বিরোধী নেতারাও এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাদের অভিযোগ ছিল, এনআরসি এবং সিএএ-র ব্যবহার করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করছে বিজেপি সরকার৷ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার লোকসভায় বলেছেন, সমগ্র দেশের জন্য ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় রেজিস্টার প্রস্তুত করার বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। মন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমের এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্তির সম্পূরক তালিকা এবং বাদ দেওয়ার তালিকা ৩১ আগস্ট, ২০১৯-এ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে NRC কার্যকরের দাবিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

এখনও পর্যন্ত সরকার জাতীয় পর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন প্রস্তুত করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তিনি একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন। এনআরসি আপডেট শুধুমাত্র অসমেই করা হয়েছে। যখন ২০১৯ সালে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তখন ৩.৩০ কোটি আবেদনকারীদের মধ্যে মোট ১৯ লাখ লোককে বাদ দেওয়া হয়েছিল৷ যা নিয়ে দেশে একটি বিশাল রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এর ফলে বহু মানুষ আত্মহত্যাও করেন৷

আরও পড়ুন: এনআরসি চালুর পাঁয়তারা করছে বিজেপি সরকার’ সাংবাদিক সম্মেলনে সরব কুণাল-চন্দ্রিমা

আরও পড়ুন: মুসলিম–দলিত–গরিবদের জব্দ করার জন্য সিএএ : ওয়াইসি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এনআরসি নিয়ে ভাবছে না বিজেপি সরকার, জানাল কেন্দ্র

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অমিত শাহরা সিএএ আইন পাশের আগেই তড়িঘড়ি সারা দেশে এনআরসি লাগু করার হুঙ্কার দিতেন৷ কিন্তু সিএএ পাশের পর এর নীতিমালা প্রনয়ণ ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা করেছে মোদি সরকার৷ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব দিতে সিএএ পাশ করে কেন্দ্র। তাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান,  আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। বৈষম্যমূলক এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সংবিধান প্রেমী মানুষ। বিরোধী নেতারাও এই আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

তাদের অভিযোগ ছিল, এনআরসি এবং সিএএ-র ব্যবহার করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিশানা করছে বিজেপি সরকার৷ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই মঙ্গলবার লোকসভায় বলেছেন, সমগ্র দেশের জন্য ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় রেজিস্টার প্রস্তুত করার বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। মন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমের এনআরসি-তে অন্তর্ভুক্তির সম্পূরক তালিকা এবং বাদ দেওয়ার তালিকা ৩১ আগস্ট, ২০১৯-এ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে NRC কার্যকরের দাবিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

এখনও পর্যন্ত সরকার জাতীয় পর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন প্রস্তুত করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তিনি একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন। এনআরসি আপডেট শুধুমাত্র অসমেই করা হয়েছে। যখন ২০১৯ সালে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তখন ৩.৩০ কোটি আবেদনকারীদের মধ্যে মোট ১৯ লাখ লোককে বাদ দেওয়া হয়েছিল৷ যা নিয়ে দেশে একটি বিশাল রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এর ফলে বহু মানুষ আত্মহত্যাও করেন৷

আরও পড়ুন: এনআরসি চালুর পাঁয়তারা করছে বিজেপি সরকার’ সাংবাদিক সম্মেলনে সরব কুণাল-চন্দ্রিমা

আরও পড়ুন: মুসলিম–দলিত–গরিবদের জব্দ করার জন্য সিএএ : ওয়াইসি