০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাঁসখালিতে অভিযুক্তের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 41

পুবের কলম প্রতিবেদক: হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালির বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। হাঁসখালির শ্যামনগরে আবার এল সিবিআই ও ফরেনসিক দল। শুক্রবার অভিযুক্তের বাড়িতে পৌছায়। বাড়ির ভিতর, আশপাশে তল্লাশি চালায় তারা। সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন নমুনাও। মৃতা এবং অভিযুক্তদের ব্যবহৃত জামাকাপড় এবং আরও কিছু নমুনা বস্তাবন্দি করে নিয়ে যান ফরেনসিক অফিসাররা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জামাকাপড় এবং বিছানার চাদরে এখনও রক্তের দাগ রয়েছে। সেগুলিরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রধান অভিযুক্তের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোন। ইতিমধ্যেই মোবাইলটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বৃহস্পতিবারও তরুণীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন সিবিআই কর্তারা। কেন নাবালিকার পারলৌকিক কাজ করতে এতটা সময় লাগল, সেই বিষয়েও জানতে চান সিবিআই অফিসাররা। মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালি বাড়ির দরজার তালা ভেঙে অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন। সোহেল ওরফে ব্রজগোপাল ধরা পড়লেও তার বাবা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য সমরেন্দু গয়ালি এবং তাঁর স্ত্রী ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া। বাড়ি ছিল তালাবন্ধ করা অবস্থায়।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

একই সঙ্গে এদিন হাঁসখালির শ্যামনগরে নির্যাতিতার বাড়ি পৌঁছল বিজেপির সত্যানুসন্ধানী দল। দলের সদস্যরা কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। এরপর তারা পৌঁছয় নির্যাতিতা নাবালিকাকে যেখানে শ্মশানে দাহ করা হয়েছিল সেখানে। কথা বলে শ্মশান কর্মী মহিলার সঙ্গে।

 

গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালির ছেলে সোহেল গয়ালির বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাঁসখালিতে অভিযুক্তের বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালির বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। হাঁসখালির শ্যামনগরে আবার এল সিবিআই ও ফরেনসিক দল। শুক্রবার অভিযুক্তের বাড়িতে পৌছায়। বাড়ির ভিতর, আশপাশে তল্লাশি চালায় তারা। সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন নমুনাও। মৃতা এবং অভিযুক্তদের ব্যবহৃত জামাকাপড় এবং আরও কিছু নমুনা বস্তাবন্দি করে নিয়ে যান ফরেনসিক অফিসাররা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু জামাকাপড় এবং বিছানার চাদরে এখনও রক্তের দাগ রয়েছে। সেগুলিরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রধান অভিযুক্তের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোন। ইতিমধ্যেই মোবাইলটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বৃহস্পতিবারও তরুণীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন সিবিআই কর্তারা। কেন নাবালিকার পারলৌকিক কাজ করতে এতটা সময় লাগল, সেই বিষয়েও জানতে চান সিবিআই অফিসাররা। মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালি বাড়ির দরজার তালা ভেঙে অফিসাররা ভিতরে ঢোকেন। সোহেল ওরফে ব্রজগোপাল ধরা পড়লেও তার বাবা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য সমরেন্দু গয়ালি এবং তাঁর স্ত্রী ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া। বাড়ি ছিল তালাবন্ধ করা অবস্থায়।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

একই সঙ্গে এদিন হাঁসখালির শ্যামনগরে নির্যাতিতার বাড়ি পৌঁছল বিজেপির সত্যানুসন্ধানী দল। দলের সদস্যরা কথা বলেন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে। এরপর তারা পৌঁছয় নির্যাতিতা নাবালিকাকে যেখানে শ্মশানে দাহ করা হয়েছিল সেখানে। কথা বলে শ্মশান কর্মী মহিলার সঙ্গে।

 

গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালির ছেলে সোহেল গয়ালির বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।