২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ১১৫০, কলেরার শঙ্কা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 38

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভূমিকম্প পরবর্তী আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। ভূমিকম্পের আঘাতে তছনছ হয়ে যাওয়া গ্রামগুলিতে শয়ে শয়ে মানুষকে কবর দেওয়া হচ্ছে। দেশ পুনগর্ঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে তালিবান। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১১৫০ পেরিয়েছে। আহত ৩ হাজারেরও বেশি। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষরা বলছেন তাদের কাছে খাবার নেই, আশ্রয় নেই কিন্তু সম্ভাব্য কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Deadly explosion shakes Iran: মৃত কমপক্ষে ২৫, আহত ৮ শতাধিক

গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকতিকা প্রদেশ। বারমাল জেলায় নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখে আগা জানের চোখ কান্নায় ভরে ওঠে। ‘এগুলো আমার সন্তানের জুতো’, ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বলেন তিনি। তাঁর তিন সন্তান এবং দুই স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, ‘সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার করার কিছুই ছিল না।’ ভূমিকম্পে সব হারানো আফগান নাগরিক হাবিব গুল জানান, খবর পেয়েই পাকিস্তানের করাচি শহরে কাজ ফেলে ঘরে ফেরেন তিনি।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

 

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

এসে দেখেন তাঁর পরিবারের ২০ জন নেই। হাবিব বলেন, ‘কার নাম আপনাকে বলব? আমার বহু স্বজন মারা গিয়েছে, তিন বোন, ভাগ্নে, মেয়ে, ছোট বাচ্চারা।’ প্রত্যেক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি দেখাতে চাইছিলেন। তারা অনেকেই আশা করছিলেন ত্রাণ বিতরণের তালিকায় তাদের নামটাও যুক্ত হবে। এখনও আফগানিস্তানের বেশকিছু এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে। তাই নিহত ও আহতের সংখ্যাটাও বাড়বে বলে আশঙ্কা। আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা এবং ত্রাণ বিতরণ করছে। হতাহতদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ১১৫০, কলেরার শঙ্কা

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভূমিকম্প পরবর্তী আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। ভূমিকম্পের আঘাতে তছনছ হয়ে যাওয়া গ্রামগুলিতে শয়ে শয়ে মানুষকে কবর দেওয়া হচ্ছে। দেশ পুনগর্ঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে তালিবান। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১১৫০ পেরিয়েছে। আহত ৩ হাজারেরও বেশি। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষরা বলছেন তাদের কাছে খাবার নেই, আশ্রয় নেই কিন্তু সম্ভাব্য কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Deadly explosion shakes Iran: মৃত কমপক্ষে ২৫, আহত ৮ শতাধিক

গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকতিকা প্রদেশ। বারমাল জেলায় নিজের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখে আগা জানের চোখ কান্নায় ভরে ওঠে। ‘এগুলো আমার সন্তানের জুতো’, ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বলেন তিনি। তাঁর তিন সন্তান এবং দুই স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, ‘সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার করার কিছুই ছিল না।’ ভূমিকম্পে সব হারানো আফগান নাগরিক হাবিব গুল জানান, খবর পেয়েই পাকিস্তানের করাচি শহরে কাজ ফেলে ঘরে ফেরেন তিনি।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

 

আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: বাংলাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮

এসে দেখেন তাঁর পরিবারের ২০ জন নেই। হাবিব বলেন, ‘কার নাম আপনাকে বলব? আমার বহু স্বজন মারা গিয়েছে, তিন বোন, ভাগ্নে, মেয়ে, ছোট বাচ্চারা।’ প্রত্যেক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি দেখাতে চাইছিলেন। তারা অনেকেই আশা করছিলেন ত্রাণ বিতরণের তালিকায় তাদের নামটাও যুক্ত হবে। এখনও আফগানিস্তানের বেশকিছু এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে। তাই নিহত ও আহতের সংখ্যাটাও বাড়বে বলে আশঙ্কা। আফগান সরকার এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা এবং ত্রাণ বিতরণ করছে। হতাহতদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।