০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Breaking: আগস্টেই রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার
  • / 137

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভোটের প্রস্তুতি শুরু। রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের প্রতিনিধি দল। আগস্টেই তারা আসছেন বলে খবর।  সব ডিএম দের নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের মুখ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।

শুরু হয়ে গেল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। শনিবার কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং এর বিশেষ প্রশিক্ষণ হয়ে গেল।   সেখানে রাজ্যের সব জেলা জেলাশাসকরা যেমন উপস্থিত ছিলেন ঠিক তেমনই উপস্থিত ছিলেন জেলা ইভিএম আধিকারিকরা। এদিন দিল্লি থেকে এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইভিএমের বিশেষজ্ঞ আধিকারিক বি সি পাত্র। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ সব আধিকারিকরা এদিন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সকলকে প্রশিক্ষণ দেন। কারণ, আগামী ১লা আগস্ট থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হবে এই ফার্স্ট লেভেল চেকিং। যেখানে উপস্থিত থাকবেন কমিশনের তালিকাভুক্ত স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এদিনই এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জেলাশাসকদের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন, বেজিং যাচ্ছেন বিএনপি-সহ ২২ সদস্যের দল

ভোটার তালিকা সংশোধনে ‘ইআরওনেট’ সফ্টওয়ারের ত্রুটি সংশোধন করে ‘ইউজার ফ্রেন্ডলি’ করা হয়েছে। আধিকারিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের নাম যাতে কোনওভাবেই ভোটার তালিকায় না আসে, সে দিকটা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। এই বিষয়ে আধিকারিকদেরও বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত অনেকেরই নাম থেকে গিয়েছে ভোটার তালিকায় যারা আর বেঁচে নেই। অনেক মহিলা ভোটার আছেন যাদের বিয়ের পরেও বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি দুই জায়গায় নাম আছে এখনও পর্যন্ত। একদিকে এইকাজকে যেমন জোর দিয়ে কঠোরভাবে করা হবে অন্যদিকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ আরও সরলীকরণ করা হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের “২১” অন্য রাজ্যে

যার ফলে প্রত্যেক মানুষের কাছে যেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার আই কার্ড থাকে। এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত বুথ নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে রাজ্যে ৭৯ হাজারের বেশি বুথ আছে, তবে আগামী ৫ জানুয়ারী যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে আদপে কতগুলো বুথ থাকবে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে। কারণ, ভোটার সংখ্যা বাড়বে আর কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ১৫০০এর বেশি ভোটার হলেই সেই বুথকে ভেঙে দিয়ে অক্সিলারি বুথ করা হবে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের সময় অবৈধ নগদ টাকার সরবরাহ সনাক্ত করতে ইডিকে নিযুক্ত করল কমিশন

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯শে আগষ্ট রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিনজন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। লোকসভা নির্বাচনের সামগ্রীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আসছেন তাঁরা। তাই এদিনের এই কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে যে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল তা বলাই যায়। অপেক্ষা এখন শুধুই প্রহর গোনার।

তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল আট দফায়, কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যের যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে সম্ভবত এবার লোকসভা নির্বাচনে দফা বাড়তে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। কারণ, লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশ জুড়ে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন একটা বড় প্রশ্ন আর এখান থেকেই কমিশন সূত্রে খবর আগামী লোকসভা নির্বাচনে দফা বাড়তে পারে। এখন দেখার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে হিংসার ছবি ধরা পড়েছে তাকে মুছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Breaking: আগস্টেই রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভোটের প্রস্তুতি শুরু। রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের প্রতিনিধি দল। আগস্টেই তারা আসছেন বলে খবর।  সব ডিএম দের নিয়ে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের মুখ্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।

শুরু হয়ে গেল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। শনিবার কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং এর বিশেষ প্রশিক্ষণ হয়ে গেল।   সেখানে রাজ্যের সব জেলা জেলাশাসকরা যেমন উপস্থিত ছিলেন ঠিক তেমনই উপস্থিত ছিলেন জেলা ইভিএম আধিকারিকরা। এদিন দিল্লি থেকে এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইভিএমের বিশেষজ্ঞ আধিকারিক বি সি পাত্র। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ সব আধিকারিকরা এদিন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সকলকে প্রশিক্ষণ দেন। কারণ, আগামী ১লা আগস্ট থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হবে এই ফার্স্ট লেভেল চেকিং। যেখানে উপস্থিত থাকবেন কমিশনের তালিকাভুক্ত স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এদিনই এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জেলাশাসকদের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন, বেজিং যাচ্ছেন বিএনপি-সহ ২২ সদস্যের দল

ভোটার তালিকা সংশোধনে ‘ইআরওনেট’ সফ্টওয়ারের ত্রুটি সংশোধন করে ‘ইউজার ফ্রেন্ডলি’ করা হয়েছে। আধিকারিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের নাম যাতে কোনওভাবেই ভোটার তালিকায় না আসে, সে দিকটা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। এই বিষয়ে আধিকারিকদেরও বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত অনেকেরই নাম থেকে গিয়েছে ভোটার তালিকায় যারা আর বেঁচে নেই। অনেক মহিলা ভোটার আছেন যাদের বিয়ের পরেও বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি দুই জায়গায় নাম আছে এখনও পর্যন্ত। একদিকে এইকাজকে যেমন জোর দিয়ে কঠোরভাবে করা হবে অন্যদিকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ আরও সরলীকরণ করা হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের “২১” অন্য রাজ্যে

যার ফলে প্রত্যেক মানুষের কাছে যেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার আই কার্ড থাকে। এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত বুথ নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে রাজ্যে ৭৯ হাজারের বেশি বুথ আছে, তবে আগামী ৫ জানুয়ারী যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, তার ওপরই নির্ভর করবে আদপে কতগুলো বুথ থাকবে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে। কারণ, ভোটার সংখ্যা বাড়বে আর কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ১৫০০এর বেশি ভোটার হলেই সেই বুথকে ভেঙে দিয়ে অক্সিলারি বুথ করা হবে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের সময় অবৈধ নগদ টাকার সরবরাহ সনাক্ত করতে ইডিকে নিযুক্ত করল কমিশন

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯শে আগষ্ট রাজ্যে আসছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিনজন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। লোকসভা নির্বাচনের সামগ্রীক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আসছেন তাঁরা। তাই এদিনের এই কনফারেন্সের মধ্যে দিয়ে যে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল তা বলাই যায়। অপেক্ষা এখন শুধুই প্রহর গোনার।

তবে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল আট দফায়, কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যের যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে সম্ভবত এবার লোকসভা নির্বাচনে দফা বাড়তে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। কারণ, লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশ জুড়ে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন একটা বড় প্রশ্ন আর এখান থেকেই কমিশন সূত্রে খবর আগামী লোকসভা নির্বাচনে দফা বাড়তে পারে। এখন দেখার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে হিংসার ছবি ধরা পড়েছে তাকে মুছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়।