০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবার ঋণের টাকা জীবন দিয়ে পরিশোধ করল মেয়ে, জেনে নিন সেই কাহিনী  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 14

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ঋণ দিয়ে ট্রাক্টর কিনেছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাবা।তারই মাশুল দিতে হল মেয়েকে। বাবা ঋণ আদায় করতে না পারায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে বেশ কিছু মাস আগে একটি ট্রাক্টর কিনেছিলেন ওই কৃষক। তবে কৃষিকাজে সেই ভাবে কোনও রকম লাভ না হওয়ায় ঋণের টাকা সময় মতো মেটাতে পারেননি তিনি। সেই কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে এসে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার এক আদায়কর্মী। ঋণ মেটানো নিয়ে কৃষক এবং আদায়কর্মীর মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। আওয়াজ শুনে ঘরের ভিতর থেকে ছুটে আসেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে। তারপর ওই মেয়ের সঙ্গেও ঋণ আদায়কারী কর্মীর বচসা শুরু হয়ে যায়।

 

তাঁদের বচসা তীব্র আকার ধারণ করলে  ট্রাক্টর দিয়ে  ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পিষে দেন অভিযু্ক্ত কর্মী।ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি তার। চিকিৎসকরা তাঁকে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় ইচক থানার অধীনে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিরা।

 

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৃতার আত্মীয়া জানিয়েছে, ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা তাঁদের আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে বাড়িতে চড়াও হন। কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা শুরু করে তারা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ঋণ আদায়কারী কর্মী এবং ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাবার ঋণের টাকা জীবন দিয়ে পরিশোধ করল মেয়ে, জেনে নিন সেই কাহিনী  

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ঋণ দিয়ে ট্রাক্টর কিনেছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাবা।তারই মাশুল দিতে হল মেয়েকে। বাবা ঋণ আদায় করতে না পারায় প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে বেশ কিছু মাস আগে একটি ট্রাক্টর কিনেছিলেন ওই কৃষক। তবে কৃষিকাজে সেই ভাবে কোনও রকম লাভ না হওয়ায় ঋণের টাকা সময় মতো মেটাতে পারেননি তিনি। সেই কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতে এসে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার এক আদায়কর্মী। ঋণ মেটানো নিয়ে কৃষক এবং আদায়কর্মীর মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। আওয়াজ শুনে ঘরের ভিতর থেকে ছুটে আসেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে। তারপর ওই মেয়ের সঙ্গেও ঋণ আদায়কারী কর্মীর বচসা শুরু হয়ে যায়।

 

তাঁদের বচসা তীব্র আকার ধারণ করলে  ট্রাক্টর দিয়ে  ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পিষে দেন অভিযু্ক্ত কর্মী।ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি তার। চিকিৎসকরা তাঁকে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় ইচক থানার অধীনে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিরা।

 

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৃতার আত্মীয়া জানিয়েছে, ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা তাঁদের আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে বাড়িতে চড়াও হন। কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা শুরু করে তারা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ঋণ আদায়কারী কর্মী এবং ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।