০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঝ বিমানে অসুস্থ যাত্রিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্যপাল স্বয়ং, আপ্লুত বিমানযাত্রী সহ সাধারণ মানুষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 50

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রী। তাঁকে বাঁচাতে  ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বয়ং রাজ্যপাল।একদিকে যেমন প্রশাসন সামলান অন্যদিকে মানুষের বিপদ দেখে মাঝ আকাশেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ডাক্তারি বিদ্যা অর্জিত তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দরাজন।

 

আরও পড়ুন: সতর্ক কলকাতা বিমানবন্দর, যাত্রীদের বিশেষ আর্জি কর্তৃপক্ষের

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে একটি মহিলা তাঁর সহযাত্রীকে চিকিৎসা করছে।

আরও পড়ুন: Breaking: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি ১০০ যাত্রী

 

আরও পড়ুন: আরবিআই-এর গভর্নরের মুকুটে নয়া পালক! পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মান  

ঘটনাটি একটু খোলসা করে বলতে গেলে, ২৩ জুলাই মধ্যরাতে ইন্ডিগোর বিমানে হায়দরাবাদে ফিরছিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল। মাঝ আকাশে বিমানে হঠাৎ ঘোষণা করা হয় যে এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন,যাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি চিকিৎসক থাকেন, তবে তিনি যেন  এগিয়ে আসেন। এই ঘোষণা শোনার পর পর একটি মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি তেলেঙ্গনার রাজ্যপাল। আর তাঁকে বাঁচাতে দ্রুত ছুটে যান তিনি।দেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধপত্র।এই ঘটনার জেরে ফের খবরের শিরোনামে আসেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। চলন্ত বিমানে তাঁর মানবিক রুপ দেখে আপ্লুত বিমান যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

 

বেসরকারি উড়ান সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে ‘ইন্ডিগো’র বিমানে হায়দরাবাদ ফিরছিলেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল সৌন্দরাজন। তাঁর সহযাত্রী ছিলেন আইপিএস অফিসার কৃপানন্দ ত্রিপাঠি উজেলা।বিমানে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থবোধ করতে শুরু করে।এমনকি বেড়ে যায় হার্টবিটও।বিপাকে পড়েন বিমান ক্রু মেম্বাররা।বিমানের মধ্যে  কোনও চিকিৎসক রয়েছেন কিনা খোঁজ করতে ঘোষণাও করা হয়। আর সেই ঘোষণা শুনেই  সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ সহযাত্রীর কাছে ছুটে আসেন তিনি।

 

সূত্রের খবর,  বিমান থেকে নামার পর আপাতত অসুস্থ যাত্রীটিকে বিমানবন্দরের মেডিক্যাল বুথে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে।এবং সুস্থ রয়েছেন বলেই খবর।

 

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ম্যাডাম রাজ্যপাল আমার প্রাণ  বাঁচিয়েছেন। উনি আমাকে মায়ের মতো সাহায্য করেছেন, এবং প্রয়োজনীয় সেবাও করেছেন।উনি না থাকলে আমি হয়তো হাসপাতাল অবধিও পৌঁছতাম না।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাঝ বিমানে অসুস্থ যাত্রিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্যপাল স্বয়ং, আপ্লুত বিমানযাত্রী সহ সাধারণ মানুষ

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রী। তাঁকে বাঁচাতে  ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বয়ং রাজ্যপাল।একদিকে যেমন প্রশাসন সামলান অন্যদিকে মানুষের বিপদ দেখে মাঝ আকাশেই ঝাঁপিয়ে পড়েন ডাক্তারি বিদ্যা অর্জিত তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলসাই সৌন্দরাজন।

 

আরও পড়ুন: সতর্ক কলকাতা বিমানবন্দর, যাত্রীদের বিশেষ আর্জি কর্তৃপক্ষের

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে একটি মহিলা তাঁর সহযাত্রীকে চিকিৎসা করছে।

আরও পড়ুন: Breaking: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি ১০০ যাত্রী

 

আরও পড়ুন: আরবিআই-এর গভর্নরের মুকুটে নয়া পালক! পেলেন আন্তর্জাতিক সম্মান  

ঘটনাটি একটু খোলসা করে বলতে গেলে, ২৩ জুলাই মধ্যরাতে ইন্ডিগোর বিমানে হায়দরাবাদে ফিরছিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল। মাঝ আকাশে বিমানে হঠাৎ ঘোষণা করা হয় যে এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন,যাত্রীদের মধ্যে কেউ যদি চিকিৎসক থাকেন, তবে তিনি যেন  এগিয়ে আসেন। এই ঘোষণা শোনার পর পর একটি মুহূর্তও অপেক্ষা করেননি তেলেঙ্গনার রাজ্যপাল। আর তাঁকে বাঁচাতে দ্রুত ছুটে যান তিনি।দেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধপত্র।এই ঘটনার জেরে ফের খবরের শিরোনামে আসেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। চলন্ত বিমানে তাঁর মানবিক রুপ দেখে আপ্লুত বিমান যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

 

বেসরকারি উড়ান সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে ‘ইন্ডিগো’র বিমানে হায়দরাবাদ ফিরছিলেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল সৌন্দরাজন। তাঁর সহযাত্রী ছিলেন আইপিএস অফিসার কৃপানন্দ ত্রিপাঠি উজেলা।বিমানে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থবোধ করতে শুরু করে।এমনকি বেড়ে যায় হার্টবিটও।বিপাকে পড়েন বিমান ক্রু মেম্বাররা।বিমানের মধ্যে  কোনও চিকিৎসক রয়েছেন কিনা খোঁজ করতে ঘোষণাও করা হয়। আর সেই ঘোষণা শুনেই  সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ সহযাত্রীর কাছে ছুটে আসেন তিনি।

 

সূত্রের খবর,  বিমান থেকে নামার পর আপাতত অসুস্থ যাত্রীটিকে বিমানবন্দরের মেডিক্যাল বুথে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছে।এবং সুস্থ রয়েছেন বলেই খবর।

 

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ম্যাডাম রাজ্যপাল আমার প্রাণ  বাঁচিয়েছেন। উনি আমাকে মায়ের মতো সাহায্য করেছেন, এবং প্রয়োজনীয় সেবাও করেছেন।উনি না থাকলে আমি হয়তো হাসপাতাল অবধিও পৌঁছতাম না।”