ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশে নিয়োগের ভাবনা
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 10
নিজস্ব প্রতিবেদক: দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ভোটের মুখে পঞ্চায়েত দফতরের কাজকর্ম নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ জমা পড়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষ করে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে আবাস যোজনা, রাস্তা তৈরি বিভিন্ন প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। সোমবার নবান্নে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবিলম্বে প্রতিটি দফতরকে টাস্ক ফোর্স গঠন করে অভিযোগের নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
টাস্ক ফোর্সের মাথায় দফতরের সচিবকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি দায় এড়িয়ে বিভিন্ন ফাইল অন্য আধিকারিক কিংবা দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন দফতরের কাজকর্মের খতিয়ান নিতে এদিন দুপুরে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ছাড়াও স্বাস্থ্য, কৃষি, স্কুল শিক্ষা, পঞ্চায়েত-সহ ১৫ দফতরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে রাজ্য সরকারের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো সিভিক ভলান্টিয়ারদের কুকর্মের পথ থেকে ফেরানোর জন্য ভালো কাজের জন্য পুরস্কার হিসেবে পুলিশের কনস্টেবলে পদে নিয়োগ করার বিষয়টি ভেবে দেখতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে কী-কী শর্ত পালন করতে হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সেলে পঞ্চায়েত, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। তিন ক্ষেত্রেই সরকারি সুবিধা না পাওয়ার নালিশ জানিয়েছেন আম জনতা।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার যখন আর্থিক টানাটানির মধ্যেও বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলির জন্য হাজার-হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করছে সেখানে কেন অভিযোগ শুনতে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘ফরওয়ার্ড কালচার ছেড়ে দিন৷ আপনারা কোনও অভিযোগ এলেই ফরওয়ার্ড করে দেন৷ ফরওয়ার্ড করে দিলেই তো অভিযোগের সুরাহা হয় না৷ আপনাদের কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তার নিষ্পত্তি হলো কিনা, সেটা আপনাদের দেখতে হবে। যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে অভিযোগকারীকে ফোন সে বিষয়ে আপডেট দিতে হবে। অভিযোগের নিস্পত্তি সঠিক ভাবে হল কি না, তা সিএমওকে দফতরকেও জানাতে হবে৷ এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
’বিভিন্ন দফতরের কাছে যে সব অভিযোগ জমা পড়ছে তা দ্রুত ও সঠিকভাবে নিষ্পত্তি হচ্ছে কিনা তার উপরে নজরদারির জন্য আলাদা টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু হবে বলেও জানিয়ে দেন।