০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত তিন শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস আইওসির

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 59

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হলদিয়া তেল শোধনাগারে  মঙ্গলবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫০ জন। মৃত শ্রমিকদের ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহ্যায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে  তেল শোধনাগার কর্তৃপক্ষ।

হলদিয়া তেল শোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বুধবার দুপুরে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।

আরও পড়ুন: নতুন স্কিমের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক সাহায্য

সৌমেন বাবু জানান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কথা বলেছেন, আইওসি দেবে ৫ লক্ষ টাকা এবং ঠিকা সংস্থা দেবে ৫ লক্ষ টাকা। মোট ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছে মৃত শ্রমিকদের নিকট আত্মীয়দের।

আরও পড়ুন: কেমন নিয়তি? ভাঙছে আশ্রয়স্থল! হচ্ছে যাদুঘর!

বুধবার ঘটনাস্থলে আসে ফরেনসিক দল। তারাও  নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে আইওসিও

আরও পড়ুন: সমাজসেবী সংস্থার মানবিক উদ‍্যেগঃ দুঃস্থ সোয়েদাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান :

উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়াতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে  মঙ্গলবার। তেল শোধনাগারের একটি টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৩ জন শ্রমিকের। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

আইওসি সুত্রে জানা গেছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখমদের মধ্যে ১৬ জন গুরুত্বর আহতকে গ্রিন করিডর করে আনা হয়  কলকাতায়।

 

 

জানা যাচ্ছে  গত কয়েক দিন ধরেই ওই টাওয়ারে শাটডাউনের কাজ চলছিল। কাজ করছিল মুম্বইয়ের একটি সংস্থা। ঘটনার সময় ওয়েল্ডিংয়ের আগুন ছিটকে গিয়েই টাওয়ারে আগুন লেগে যায়।  কর্মীদের থেকে  জানা গেছে, হতাহতদের অধিকাংশই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তবে  স্থানীয় কিছু যুবকও এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

 

কারখানা সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ হলদিয়া তেল শোধনাগারের একটি টাওয়ারে আগুন ধরে যায়। সেই সময় ওই টাওয়ারে কয়েক জন কর্মী কাজ করছিলেন। জায়গাটিতে অতিদাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। আগুন দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধারে নামে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশির কারখানার দমকল বিভাগের কর্মীরাও উদ্ধার কাজে হাত লাগান।জখমদের মধ্যে অনেকেই ঠিকা শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৃত তিন শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস আইওসির

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হলদিয়া তেল শোধনাগারে  মঙ্গলবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫০ জন। মৃত শ্রমিকদের ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহ্যায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে  তেল শোধনাগার কর্তৃপক্ষ।

হলদিয়া তেল শোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বুধবার দুপুরে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।

আরও পড়ুন: নতুন স্কিমের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক সাহায্য

সৌমেন বাবু জানান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কথা বলেছেন, আইওসি দেবে ৫ লক্ষ টাকা এবং ঠিকা সংস্থা দেবে ৫ লক্ষ টাকা। মোট ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছে মৃত শ্রমিকদের নিকট আত্মীয়দের।

আরও পড়ুন: কেমন নিয়তি? ভাঙছে আশ্রয়স্থল! হচ্ছে যাদুঘর!

বুধবার ঘটনাস্থলে আসে ফরেনসিক দল। তারাও  নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে আইওসিও

আরও পড়ুন: সমাজসেবী সংস্থার মানবিক উদ‍্যেগঃ দুঃস্থ সোয়েদাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান :

উল্লেখ্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়াতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে  মঙ্গলবার। তেল শোধনাগারের একটি টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়ে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৩ জন শ্রমিকের। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

আইওসি সুত্রে জানা গেছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখমদের মধ্যে ১৬ জন গুরুত্বর আহতকে গ্রিন করিডর করে আনা হয়  কলকাতায়।

 

 

জানা যাচ্ছে  গত কয়েক দিন ধরেই ওই টাওয়ারে শাটডাউনের কাজ চলছিল। কাজ করছিল মুম্বইয়ের একটি সংস্থা। ঘটনার সময় ওয়েল্ডিংয়ের আগুন ছিটকে গিয়েই টাওয়ারে আগুন লেগে যায়।  কর্মীদের থেকে  জানা গেছে, হতাহতদের অধিকাংশই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তবে  স্থানীয় কিছু যুবকও এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

 

কারখানা সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ হলদিয়া তেল শোধনাগারের একটি টাওয়ারে আগুন ধরে যায়। সেই সময় ওই টাওয়ারে কয়েক জন কর্মী কাজ করছিলেন। জায়গাটিতে অতিদাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। আগুন দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধারে নামে কারখানা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশির কারখানার দমকল বিভাগের কর্মীরাও উদ্ধার কাজে হাত লাগান।জখমদের মধ্যে অনেকেই ঠিকা শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে।