০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্ধমানের সভা থেকেই কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার
  • / 78

এস জে আব্বাস: পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাট সংলগ্ন গোদার মাঠে সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খারিফ মরশুমে কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে একটি সভা করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়,  মলয় ঘটক,  স্বপন দেবনাথ,  রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,  রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার,  জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা সহ অন্যান্য বিধায়ক,  কর্মাধ্যক্ষ প্রমুখ।

এদিন কৃষিক্ষেত্রের সুবিধাপ্রাপ্ত ২২ জন উপভোক্তাকে মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সভামঞ্চ থেকে তিনি রাজ্যের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! আগামী ৫ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া

তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে বলেন, আমি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। এদিন ৮৯ লক্ষ কৃষককে ২৩৮৫ কোটি টাকা প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়। সর্ব স্তরের প্রশাসনকে তিনি কৃষকদের প্রতি আরও সহযোগী মনোভাব নেওয়া কথা বলেন। কড়া বার্তা দিয়ে বলেন,  ‘কিষান মান্ডি থেকে কৃষকদের ধান যেন কোনভাবেই ফেরত না আসে। ধান না নিলে কৃষকদের বিডিও  এবং থানায় এফআইআর করার কথা বলেন। পঞ্চায়েত গুলিকেও কৃষকের ধান বিক্রয়ের সময় ঠিকঠাক ওজনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা আমাদের গর্ব। কৃষকরা আমাদের সম্পদ। তাদের উৎপাদিত ফসল খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। ১১ বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে ৫৭ লক্ষ টন হয়েছে। কৃষকদের উন্নতির জন্য বাংলায় ৭ হাজার সেচ প্রকল্প চালু হয়েছে। কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধেও সরব হন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তিনিই প্রথম দিল্লির কৃষক আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

‘বাংলা’ নাম থাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকানোর অপচেষ্টার বিরূদ্ধে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র দীর্ঘ ৬ মাস টাকা আটকে রাখার তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।   দাবি তোলেন, একশ দিনের টাকা দাও,  নইলে বিদায় নাও। গরীবের টাকা কোনোভাবে আটকে রাখা যাবে না। তিনি আরও বলেন,  সত্যি কথা বললে ইডি,  সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তিনি আশ্বাস দেন,  শীঘ্রই বিভিন্ন জব ফেয়ার এর মধ্য দিয়ে ত্রিশ হাজার চাকরি হবে এবং দেউচা পাচামিতে ১ লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে। তিনি মেয়েদের বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো না করে তাদের ভালো করে পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন। এ প্রসঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাহায্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: জঙ্গি যেন আশ্রয় নিতে না পারে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বর্ধমানের সভা থেকেই কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর  

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার

এস জে আব্বাস: পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাট সংলগ্ন গোদার মাঠে সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খারিফ মরশুমে কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পের সহায়তা প্রদান উপলক্ষে একটি সভা করেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়,  মলয় ঘটক,  স্বপন দেবনাথ,  রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,  রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার,  জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা সহ অন্যান্য বিধায়ক,  কর্মাধ্যক্ষ প্রমুখ।

এদিন কৃষিক্ষেত্রের সুবিধাপ্রাপ্ত ২২ জন উপভোক্তাকে মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সভামঞ্চ থেকে তিনি রাজ্যের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! আগামী ৫ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া

তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে বলেন, আমি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। এদিন ৮৯ লক্ষ কৃষককে ২৩৮৫ কোটি টাকা প্রদান করার কথা ঘোষণা করা হয়। সর্ব স্তরের প্রশাসনকে তিনি কৃষকদের প্রতি আরও সহযোগী মনোভাব নেওয়া কথা বলেন। কড়া বার্তা দিয়ে বলেন,  ‘কিষান মান্ডি থেকে কৃষকদের ধান যেন কোনভাবেই ফেরত না আসে। ধান না নিলে কৃষকদের বিডিও  এবং থানায় এফআইআর করার কথা বলেন। পঞ্চায়েত গুলিকেও কৃষকের ধান বিক্রয়ের সময় ঠিকঠাক ওজনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা আমাদের গর্ব। কৃষকরা আমাদের সম্পদ। তাদের উৎপাদিত ফসল খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি। ১১ বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে ৫৭ লক্ষ টন হয়েছে। কৃষকদের উন্নতির জন্য বাংলায় ৭ হাজার সেচ প্রকল্প চালু হয়েছে। কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধেও সরব হন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তিনিই প্রথম দিল্লির কৃষক আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

‘বাংলা’ নাম থাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকানোর অপচেষ্টার বিরূদ্ধে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন। ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র দীর্ঘ ৬ মাস টাকা আটকে রাখার তিনি তীব্র সমালোচনা করেন।   দাবি তোলেন, একশ দিনের টাকা দাও,  নইলে বিদায় নাও। গরীবের টাকা কোনোভাবে আটকে রাখা যাবে না। তিনি আরও বলেন,  সত্যি কথা বললে ইডি,  সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তিনি আশ্বাস দেন,  শীঘ্রই বিভিন্ন জব ফেয়ার এর মধ্য দিয়ে ত্রিশ হাজার চাকরি হবে এবং দেউচা পাচামিতে ১ লক্ষ কর্ম সংস্থান হবে। তিনি মেয়েদের বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো না করে তাদের ভালো করে পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন। এ প্রসঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাহায্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: জঙ্গি যেন আশ্রয় নিতে না পারে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর