রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৩ জনের

- আপডেট : ৬ জুলাই ২০২২, বুধবার
- / 7
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গত কয়েক দিনের করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কতটা ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে এই মহামারী। এপ্রিল মাসের প্রথম ছয় দিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জুন মাসের মোট করোনা আক্রান্তের ১০০ শতাংশেরও বেশি। মঙ্গলবার রাজ্যে প্রায় ২ হাজারের কাছাকাছি করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। তবে বুধবারে এই আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৫২। আর মৃত্যু হয়েছে ৩জনের। যদিও নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তোলেন।
সোমবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হার ছিল ১৫শতাংশ। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয় ১৫.৯ শতাংশ। তবে বুধবার সেই হার আরও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জনগণের আতঙ্ক হওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সামনে দিনগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত জুন মাসে মোট ১০০২৩ জন করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল। আর জুলাই মাসের মাত্র প্রথম ছয় দিনে এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। অর্থাৎ এপ্রিল মাসের প্রথম ৬ দিনের করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সমগ্র জুন মাসের মোট করোনা আক্রান্তের চেয়ে বেশি। কলকাতায় বুধবার ৮২৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কলকাতার পরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যদি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের গড় নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখতে পাওয়া যাবে ওই সময় দৈনিক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮০ জন। তখন করোনার তৃতীয় ঢেউ আস্তে আস্তে কমছিল। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বর্তমান ওই সংখ্যা প্রায় ২৫ গুণ বেড়েছে।
অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়সীমা সংক্রান্ত নিয়মের পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। আগে করোনার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হওয়ার ৯ মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়া যেত। নতুন পরিবর্তিত নিয়ম অনুসারে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির এরকম একটা সময় বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়সীমা সংক্রান্ত এই পরিবর্তন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।