২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কার্বাইড গানে আহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০, আহতদের দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিওয়ালির আনন্দের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে ‘কার্বাইড গান’ বা দেশি খেলনা বন্দুককে ঘিরে। খেলনার মতো দেখতে এই বন্দুক আকৃতির বাজি এখন মধ্যপ্রদেশে প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। পাইপের মধ্যে কার্বাইড ও পানি ঢেলে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনে বিস্ফোরণ ঘটায় এটি, ফলে আগুনের গোলা ছিটকে যায় ভয়াবহ শব্দে। ইতিমধ্যে কার্বাইড গানে আহত হয়ে মধ্যপ্রদেশে দৃষ্টি হারিয়েছে ৩২০ জন। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। এরপরই রাজ্যজুড়ে দেশি খেলনা বন্দুককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যাদব সরকার।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্য সচিব অনুরাগ জৈন সমস্ত জেলায় কঠোর নির্দেশ জারি করে অবিলম্বে কার্বাইড বন্দুক তৈরি, বিক্রয়, রাখা এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। রাজ্য সরকার একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও শুরু করেছে। অভিভাবক, স্কুল এবং শিশুদের সতর্কবার্তা দিতে শুরু করেছে প্রশাসন। জনসচেতনতামূলক প্রচারে প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, কার্বাইড বন্দুক খেলনা নয় বরং বিস্ফোরক অস্ত্র।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে খসড়া তালিকায় বাদ প্রায় ৪২ লক্ষ নাম

সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় টিন অথবা পাইপের তৈরি কার্বাইড বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়ে চোখ এবং শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শিশুরা। আহতদের মধ্যে চোখের আঘাতের সংখ্যাই বেশি। মধ্যপ্রদেশজুড়ে ৩২০ জন ইতিমধ্যেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ভোপাল এবং এর আশপাশের অঞ্চল থেকেই ১৮৬টি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। গোয়ালিয়রে ৩৫টি ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আহত হয়েছে শিশুরা। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অনেকের দৃষ্টিশক্তি ফিরতে প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে এইচআইভি পজিটিভ ছয় শিশু, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড ব্লাড ব্যাঙ্কের ৩ কর্মী

উল্লেখ্য, দেশি খেলনা বন্দুককে আহত হয়ে মাত্র তিন দিনে ভোপাল, ইন্দোর, জবলপুরসহ বিভিন্ন শহরে ১২২ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১৪ জন দৃষ্টিশক্তি হারায়। শুধুমাত্র হামিদিয়া হাসপাতালেই ভর্তি হয় ২৬ জন। সরকার ১৮ অক্টোবর থেকেই এই বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বিদিশা জেলায় তা এখনও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: যুবভারতীকাণ্ড: পদত্যাগ করতে চান রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রস্তাব অরুপের

মাত্র ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই বিপজ্জনক খেলনা তৈরি হচ্ছে কার্বাইড, দেশলাইয়ের মাথা ও প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে। ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রশাসন জানিয়েছে, যারা এই বাজি বিক্রি বা প্রচার করছে, সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

অসমে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা, মৃত ২, জারি কার্ফু-বন্ধ ইন্টারনেট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কার্বাইড গানে আহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২০, আহতদের দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিওয়ালির আনন্দের মধ্যেই নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে ‘কার্বাইড গান’ বা দেশি খেলনা বন্দুককে ঘিরে। খেলনার মতো দেখতে এই বন্দুক আকৃতির বাজি এখন মধ্যপ্রদেশে প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। পাইপের মধ্যে কার্বাইড ও পানি ঢেলে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনে বিস্ফোরণ ঘটায় এটি, ফলে আগুনের গোলা ছিটকে যায় ভয়াবহ শব্দে। ইতিমধ্যে কার্বাইড গানে আহত হয়ে মধ্যপ্রদেশে দৃষ্টি হারিয়েছে ৩২০ জন। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। এরপরই রাজ্যজুড়ে দেশি খেলনা বন্দুককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যাদব সরকার।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্য সচিব অনুরাগ জৈন সমস্ত জেলায় কঠোর নির্দেশ জারি করে অবিলম্বে কার্বাইড বন্দুক তৈরি, বিক্রয়, রাখা এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। রাজ্য সরকার একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও শুরু করেছে। অভিভাবক, স্কুল এবং শিশুদের সতর্কবার্তা দিতে শুরু করেছে প্রশাসন। জনসচেতনতামূলক প্রচারে প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, কার্বাইড বন্দুক খেলনা নয় বরং বিস্ফোরক অস্ত্র।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে খসড়া তালিকায় বাদ প্রায় ৪২ লক্ষ নাম

সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় টিন অথবা পাইপের তৈরি কার্বাইড বন্দুক নিয়ে খেলতে গিয়ে চোখ এবং শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শিশুরা। আহতদের মধ্যে চোখের আঘাতের সংখ্যাই বেশি। মধ্যপ্রদেশজুড়ে ৩২০ জন ইতিমধ্যেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ভোপাল এবং এর আশপাশের অঞ্চল থেকেই ১৮৬টি ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। গোয়ালিয়রে ৩৫টি ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আহত হয়েছে শিশুরা। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অনেকের দৃষ্টিশক্তি ফিরতে প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে এইচআইভি পজিটিভ ছয় শিশু, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড ব্লাড ব্যাঙ্কের ৩ কর্মী

উল্লেখ্য, দেশি খেলনা বন্দুককে আহত হয়ে মাত্র তিন দিনে ভোপাল, ইন্দোর, জবলপুরসহ বিভিন্ন শহরে ১২২ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১৪ জন দৃষ্টিশক্তি হারায়। শুধুমাত্র হামিদিয়া হাসপাতালেই ভর্তি হয় ২৬ জন। সরকার ১৮ অক্টোবর থেকেই এই বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বিদিশা জেলায় তা এখনও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: যুবভারতীকাণ্ড: পদত্যাগ করতে চান রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রস্তাব অরুপের

মাত্র ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই বিপজ্জনক খেলনা তৈরি হচ্ছে কার্বাইড, দেশলাইয়ের মাথা ও প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে। ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রশাসন জানিয়েছে, যারা এই বাজি বিক্রি বা প্রচার করছে, সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।