০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষিবিল প্রত্যাহার করেছে! আর কি কি বললেন অনুব্রত

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 14

দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই মডেল করছে। ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভোট করতে হয়, সমস্ত মানুষের জন্য উন্নয়নও সমান ভাবে করে গেছেন। তার দেখানো পথেই দেশের অনান্য রাজ্যের নেতারা ফলো করছে… ভয় পেয়েছে বিজেপি”। আসলে বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠিকেছে।”

অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে,  ওরা গোল নিতে পারবে না। আবার বলছি, ২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, গোল নিতে পারবে না। 

কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

শুক্রবার দুপুরে বোলপুরে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন যে, বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া সামনেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবে ভোট –তাই বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার।

তিনি বলেন, “শুধু কৃষি আইন কেন, অনেক কিছুই পাল্টাবে। দেশটাকে শেষ করে দিল। ৬০০ কৃষকের মৃত্যু। কৃষকরা এখনো রাজপথে রয়েছেন। ভারতবর্ষের মানুষকে আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রীর ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে। তাঁর কথায়- এখন একটাই স্লোগান, বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও। আসলে সামনে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইছে প্রধানমন্ত্রী… এমনি ক্ষমা চাইছে…?”

তিনি বলেন, “সামনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আছে। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে গেছে। এতদিন যা মনে চেয়েছে তাই করেছে। সংসদে আলোচনার ক্ষমতা নেই, এক তরফা করে বিল পাস করছে। ঝামেলা করেছে। কৃষি বিল নিয়ে কৃষকরা অনড় ছিল। কেন প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষি বিল তুলল? প্রধানমন্ত্রী বলেছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষিবিল প্রত্যাহার করেছে! আর কি কি বললেন অনুব্রত

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই মডেল করছে। ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভোট করতে হয়, সমস্ত মানুষের জন্য উন্নয়নও সমান ভাবে করে গেছেন। তার দেখানো পথেই দেশের অনান্য রাজ্যের নেতারা ফলো করছে… ভয় পেয়েছে বিজেপি”। আসলে বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠিকেছে।”

অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে,  ওরা গোল নিতে পারবে না। আবার বলছি, ২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, গোল নিতে পারবে না। 

কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

শুক্রবার দুপুরে বোলপুরে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন যে, বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া সামনেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবে ভোট –তাই বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার।

তিনি বলেন, “শুধু কৃষি আইন কেন, অনেক কিছুই পাল্টাবে। দেশটাকে শেষ করে দিল। ৬০০ কৃষকের মৃত্যু। কৃষকরা এখনো রাজপথে রয়েছেন। ভারতবর্ষের মানুষকে আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রীর ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে। তাঁর কথায়- এখন একটাই স্লোগান, বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও। আসলে সামনে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইছে প্রধানমন্ত্রী… এমনি ক্ষমা চাইছে…?”

তিনি বলেন, “সামনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আছে। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে গেছে। এতদিন যা মনে চেয়েছে তাই করেছে। সংসদে আলোচনার ক্ষমতা নেই, এক তরফা করে বিল পাস করছে। ঝামেলা করেছে। কৃষি বিল নিয়ে কৃষকরা অনড় ছিল। কেন প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষি বিল তুলল? প্রধানমন্ত্রী বলেছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না”।