০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা-অসম ঘুরে গেলেন তায়েফের সম্মানিত ইমাম

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 67

তায়েফের ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলীর সঙ্গে রয়েছেন ক্কারী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ হুসাইন নাদভী।

বিশেষ প্রতিবেদক: হিজাজ-এর তায়েফ শহর। আল্লাহ্ নবী সা.-র জীবনে তায়েফ-এর এক বিশেষ ভূমিকার কথা অনেকেরই জানা। এই তায়েফ শহরেরই আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. নামাঙ্কিত মসজিদের ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী সম্প্রতি পশ্চিমবাংলা ও অসমে এসেছিলেন।

বর্ধমানের মোরগ্রামের সঙ্গে যে কেতুগ্রাম রয়েছে সেখানকার জামিয়া শামসিয়া ফায়জুল উলুম-এর প্রিন্সিপ্যাল ক্বারী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ হুসাইনী নাদ্ভী-র আমন্ত্রণে তিনি তশরীফ নিয়ে আসেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসেন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বর্ধমানের কেতুগ্রামে নামায পড়ান ও বক্তব্য রাখেন। তায়েফের এই সম্মানিত ইমামের বক্তব্য শোনার জন্য বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শকের সমন্বয়ে কয়েক লক্ষ মুসলিম কেতুগ্রামে উপস্থিত হন। এরপর তিনি যান নদিয়ার চাপড়ায়। সেখানেও তায়েফের সম্মানিত ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী সেখানে লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে নামায পড়ান এবং বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

তায়েফের সম্মনিত এই ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি রা.-এর সরাসরি বংশধর। তিনি পবিত্র কুরআনের ক্বিরাত ও তাঁর বাণী প্রচারে বিশ্বব্যাপী নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

কেতুগ্রাম ও চাপড়া উভয় জায়গাতেই তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছিল মক্কা শরীফে, আর লেখা হয়েছিল শাম বা সিরিয়াতে। আর এই পবিত্র গ্রন্থ পড়া হয়েছিল মিশরে। কিন্তু এই গ্রন্থের প্রকৃত উপলব্ধি করা হয় হিন্দুস্তানে’।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আরবের অতীতকাল থেকে সম্পর্ক রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবাও (রা.) ভারতের কেরল প্রভৃতি স্থানে তশরিফ এনেছেন।’

এত বড় বিশ্বখ্যাত এই আলেম-এর মধুর ব্যবহার এবং শিশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা সকলকে মুগ্ধ করে। এই সফরে তিনি অসমের নওগাঁর জুড়িয়াতেও পবিত্র কুরআন-এর বাণী প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁর এই সফর আলেম ও শ্রোতা-দর্শকদের পবিত্র কুরআন-এর সঙ্গে সম্পর্ক জুড়তে অনুপ্রাণিত করে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলা-অসম ঘুরে গেলেন তায়েফের সম্মানিত ইমাম

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, শনিবার

বিশেষ প্রতিবেদক: হিজাজ-এর তায়েফ শহর। আল্লাহ্ নবী সা.-র জীবনে তায়েফ-এর এক বিশেষ ভূমিকার কথা অনেকেরই জানা। এই তায়েফ শহরেরই আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. নামাঙ্কিত মসজিদের ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী সম্প্রতি পশ্চিমবাংলা ও অসমে এসেছিলেন।

বর্ধমানের মোরগ্রামের সঙ্গে যে কেতুগ্রাম রয়েছে সেখানকার জামিয়া শামসিয়া ফায়জুল উলুম-এর প্রিন্সিপ্যাল ক্বারী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ হুসাইনী নাদ্ভী-র আমন্ত্রণে তিনি তশরীফ নিয়ে আসেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসেন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বর্ধমানের কেতুগ্রামে নামায পড়ান ও বক্তব্য রাখেন। তায়েফের এই সম্মানিত ইমামের বক্তব্য শোনার জন্য বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শকের সমন্বয়ে কয়েক লক্ষ মুসলিম কেতুগ্রামে উপস্থিত হন। এরপর তিনি যান নদিয়ার চাপড়ায়। সেখানেও তায়েফের সম্মানিত ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী সেখানে লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে নামায পড়ান এবং বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

তায়েফের সম্মনিত এই ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি রা.-এর সরাসরি বংশধর। তিনি পবিত্র কুরআনের ক্বিরাত ও তাঁর বাণী প্রচারে বিশ্বব্যাপী নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

কেতুগ্রাম ও চাপড়া উভয় জায়গাতেই তিনি বলেন, ‘পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছিল মক্কা শরীফে, আর লেখা হয়েছিল শাম বা সিরিয়াতে। আর এই পবিত্র গ্রন্থ পড়া হয়েছিল মিশরে। কিন্তু এই গ্রন্থের প্রকৃত উপলব্ধি করা হয় হিন্দুস্তানে’।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

ইমাম শায়েখ মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আলআলী আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আরবের অতীতকাল থেকে সম্পর্ক রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবাও (রা.) ভারতের কেরল প্রভৃতি স্থানে তশরিফ এনেছেন।’

এত বড় বিশ্বখ্যাত এই আলেম-এর মধুর ব্যবহার এবং শিশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা সকলকে মুগ্ধ করে। এই সফরে তিনি অসমের নওগাঁর জুড়িয়াতেও পবিত্র কুরআন-এর বাণী প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁর এই সফর আলেম ও শ্রোতা-দর্শকদের পবিত্র কুরআন-এর সঙ্গে সম্পর্ক জুড়তে অনুপ্রাণিত করে।