১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নামখানার মুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ছাই বোঝাই জাহাজ থেকে দূষিত হচ্ছে নদী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 134

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় :  নামখানার মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া বার্জকে এখনো পর্যন্ত তোলা সম্ভব হলো না, নদীতে ভাসছে ছাই, তেল। দূষণের ফলে থাকছে মাছের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।গত বুধবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার হাতানিয়া দোয়া নিয়া ব্রিজ সংলগ্ন মুড়িগঙ্গা নদীতে হঠাৎ করে ডুবতে শুরু করে বাংলাদেশের বার্জ, মেদিনীপুরের কোলাঘাট থেকে ছাই ভর্তি করে নিয়ে বাংলাদেশের যাওয়ার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে এই অঘটন ঘটে।

জাহাজে থাকা ৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে স্থানীয় আরেকটি বাংলাদেশের জাহাজ।দেখতে দেখতে ৬ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই ছাই ভর্তি বার্জটিকে তুলতে না পারায় আতঙ্কে ভুগছে এলাকার মৎস্যজীবীরা। এমনকি এই ডুবন্ত বার্জের উপরে কোন আলো দিয়ে সিগন্যালের ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলে রাত্রে চলতে গিয়ে আরো কোনো বড় বিপদ ঘটতে পারে, এই জাহাজে ধাক্কা লেগে।

অন্যদিকে জাহাজে থাকা তেল এবং কোলাঘাটের ছাই জলের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছে, যার ফলে এই নদীতে দূষণ ছড়াবে বলে মনে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৎস্যজীবীদের। প্রচুর পরিমাণে মাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্জটিকে তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।

আরও পড়ুন: বর্ষার মরসুমে গঙ্গাবক্ষে দেখা নেই ইলিশের, হতাশ গঙ্গাপাড়ের মৎস্যজীবীরা

ডুবন্ত বার্জ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশী জাহাজে রয়েছেন ডুবন্ত জাহাজের ৮ জন নাবিক ও কর্মী। তারা কবে বাড়ি ফিরবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।তবে জাহাজের এক এজেন্ট নির্ধারিত কর্মী জানিয়েছেন জাহাজ থেকে ছাই বস্তায় করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ছাই খালি না করা পর্যন্ত জাহাজটি তোলা সম্ভব নয়। এখন দেখার কবে ছাই খালি হয় এবং জাহাজটিকে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার বিএলসি পাস এখনো না পাওয়ায় ক্ষোভ সুন্দরবনের মৎস্যজীবিদের মধ্যে

আরও পড়ুন: সুন্দরবন সীমান্তে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করল বাংলাদেশ

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নামখানার মুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ছাই বোঝাই জাহাজ থেকে দূষিত হচ্ছে নদী

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় :  নামখানার মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া বার্জকে এখনো পর্যন্ত তোলা সম্ভব হলো না, নদীতে ভাসছে ছাই, তেল। দূষণের ফলে থাকছে মাছের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।গত বুধবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার হাতানিয়া দোয়া নিয়া ব্রিজ সংলগ্ন মুড়িগঙ্গা নদীতে হঠাৎ করে ডুবতে শুরু করে বাংলাদেশের বার্জ, মেদিনীপুরের কোলাঘাট থেকে ছাই ভর্তি করে নিয়ে বাংলাদেশের যাওয়ার সময় মুড়িগঙ্গা নদীতে এই অঘটন ঘটে।

জাহাজে থাকা ৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে স্থানীয় আরেকটি বাংলাদেশের জাহাজ।দেখতে দেখতে ৬ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই ছাই ভর্তি বার্জটিকে তুলতে না পারায় আতঙ্কে ভুগছে এলাকার মৎস্যজীবীরা। এমনকি এই ডুবন্ত বার্জের উপরে কোন আলো দিয়ে সিগন্যালের ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলে রাত্রে চলতে গিয়ে আরো কোনো বড় বিপদ ঘটতে পারে, এই জাহাজে ধাক্কা লেগে।

অন্যদিকে জাহাজে থাকা তেল এবং কোলাঘাটের ছাই জলের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছে, যার ফলে এই নদীতে দূষণ ছড়াবে বলে মনে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মৎস্যজীবীদের। প্রচুর পরিমাণে মাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্জটিকে তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।

আরও পড়ুন: বর্ষার মরসুমে গঙ্গাবক্ষে দেখা নেই ইলিশের, হতাশ গঙ্গাপাড়ের মৎস্যজীবীরা

ডুবন্ত বার্জ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশী জাহাজে রয়েছেন ডুবন্ত জাহাজের ৮ জন নাবিক ও কর্মী। তারা কবে বাড়ি ফিরবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।তবে জাহাজের এক এজেন্ট নির্ধারিত কর্মী জানিয়েছেন জাহাজ থেকে ছাই বস্তায় করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ছাই খালি না করা পর্যন্ত জাহাজটি তোলা সম্ভব নয়। এখন দেখার কবে ছাই খালি হয় এবং জাহাজটিকে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার বিএলসি পাস এখনো না পাওয়ায় ক্ষোভ সুন্দরবনের মৎস্যজীবিদের মধ্যে

আরও পড়ুন: সুন্দরবন সীমান্তে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করল বাংলাদেশ