২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুজরাতের ২০০ বিশিষ্ট ব্যাক্তির মাঝে জিন্নাহকেও ঠাঁই দিল আরএসএস!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 77

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ তিনি এক বিতর্কিত নাম। তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্না। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি মারা গেছেন কয়েক দশক আগেই। তবুও ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তাঁর অশরীরী উপস্থিতি ফিরে ফিরে আসে। বিজেপি বা সংঘ পরিবারের আদর্শ বিরোধী দলের কোনো নেতা যদি তাঁর নাম মুখে আনেন তাহলে তাঁকে পাকিস্তান প্রেমী বলতে দ্বিরুক্তি করেন না বিজেপি নেতারা। সদ্য সম্পন্ন হওয়া উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও জিন্নাহকে ঘিরে কাদা ছোড়াছুড়ি হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বার এনআইএ-র জালে সিআরপিএফ জওয়ান!

এহেন ব্যক্তিত্বকে আরএসএস তাদের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি সভার প্রদর্শনীতে ২০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাঁরা গুজরাতের মাটি থেকে উঠে এসেছেন, তাঁদের সারিতে স্থান দিয়েছে।১১-১৩ মার্চ এই তিনদিন ব্যাপী একটি সর্বভারতীয় সভার আয়োজন করছে বিজেপির আদর্শিক সগঠন আরএসএস।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

 

আরও পড়ুন: পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ সারাই করে দিল সেনাবাহিনী

গুজরাতের আহমদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা। সেখানে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং আরএসএস সভাপতি মোহন ভগবত।

 

উক্ত অনুষ্ঠানে একটি প্রদর্শনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে গুজরাতের চিত্র, শিল্প, কলা, লোকগান ইত্যাদির উপস্থাপনা করা হচ্ছে। গুজরাতের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে তুলে ধরাই এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য। সেখানে ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যারা গুজরাত তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তাঁদের ক্যাপশন সহ ছবি একটি বড় বিলবোর্ডে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হচ্ছে।

 

আর সেই বিলবোর্ডে ঠাঁই পেয়েছে জিন্নাহর ছবি। এই বিলবোর্ডে মহাত্মা গান্ধি, দাদাভাই নওরোজী, ধীরুভাই আম্বানি, আজিম প্রেমজি, রতন টাটার ছবি রাখা আছে।আরএসএস-এর জিন্নাহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এই প্রথম নয়। ২০০৫ সালে আরএসএস-এর বরিষ্ঠ নেতা এল কে আদবানি তাঁর করাচি সফরের সময় জিন্নাহর কবর জিয়ারত করেন। সে সময় তিনি দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জিন্নাহর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘হিন্দু -মুসলিম একতার অগ্রদূত’ বলেও বর্ণনা করেন।

 

আহমদাবাদে আয়োজিত আরএসএসের এই সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২৪৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করবে। জিন্নাহ এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্ব যারা আরএসএসের আদর্শের নয় তাঁদেরকেও প্রদর্শনীতে ঠাঁই দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, এই সভার কো-অর্ডিনেটের শিশির কাশিকর বলেন, আমরা সেই সমস্ত ব্যক্তিত্বকেও রাখার চেষ্টা করেছি যারা সে সময় ভারতের বুকে কিছু অবদান রেখে গেছেন। শুধুমাত্র এটা আরএসএসের অনুষ্ঠান বলে আরএসএসের আদর্শের সঙ্গে মিল নেই এমন ব্যক্তিত্বদেরকে রাখা যাবে না এ কেমন কথা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গুজরাতের ২০০ বিশিষ্ট ব্যাক্তির মাঝে জিন্নাহকেও ঠাঁই দিল আরএসএস!

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ তিনি এক বিতর্কিত নাম। তিনি মুহাম্মদ আলি জিন্না। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনি মারা গেছেন কয়েক দশক আগেই। তবুও ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তাঁর অশরীরী উপস্থিতি ফিরে ফিরে আসে। বিজেপি বা সংঘ পরিবারের আদর্শ বিরোধী দলের কোনো নেতা যদি তাঁর নাম মুখে আনেন তাহলে তাঁকে পাকিস্তান প্রেমী বলতে দ্বিরুক্তি করেন না বিজেপি নেতারা। সদ্য সম্পন্ন হওয়া উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও জিন্নাহকে ঘিরে কাদা ছোড়াছুড়ি হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বার এনআইএ-র জালে সিআরপিএফ জওয়ান!

এহেন ব্যক্তিত্বকে আরএসএস তাদের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি সভার প্রদর্শনীতে ২০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি, যাঁরা গুজরাতের মাটি থেকে উঠে এসেছেন, তাঁদের সারিতে স্থান দিয়েছে।১১-১৩ মার্চ এই তিনদিন ব্যাপী একটি সর্বভারতীয় সভার আয়োজন করছে বিজেপির আদর্শিক সগঠন আরএসএস।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

 

আরও পড়ুন: পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ সারাই করে দিল সেনাবাহিনী

গুজরাতের আহমদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা। সেখানে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং আরএসএস সভাপতি মোহন ভগবত।

 

উক্ত অনুষ্ঠানে একটি প্রদর্শনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে গুজরাতের চিত্র, শিল্প, কলা, লোকগান ইত্যাদির উপস্থাপনা করা হচ্ছে। গুজরাতের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে তুলে ধরাই এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য। সেখানে ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যারা গুজরাত তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তাঁদের ক্যাপশন সহ ছবি একটি বড় বিলবোর্ডে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হচ্ছে।

 

আর সেই বিলবোর্ডে ঠাঁই পেয়েছে জিন্নাহর ছবি। এই বিলবোর্ডে মহাত্মা গান্ধি, দাদাভাই নওরোজী, ধীরুভাই আম্বানি, আজিম প্রেমজি, রতন টাটার ছবি রাখা আছে।আরএসএস-এর জিন্নাহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এই প্রথম নয়। ২০০৫ সালে আরএসএস-এর বরিষ্ঠ নেতা এল কে আদবানি তাঁর করাচি সফরের সময় জিন্নাহর কবর জিয়ারত করেন। সে সময় তিনি দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জিন্নাহর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘হিন্দু -মুসলিম একতার অগ্রদূত’ বলেও বর্ণনা করেন।

 

আহমদাবাদে আয়োজিত আরএসএসের এই সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২৪৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করবে। জিন্নাহ এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্ব যারা আরএসএসের আদর্শের নয় তাঁদেরকেও প্রদর্শনীতে ঠাঁই দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, এই সভার কো-অর্ডিনেটের শিশির কাশিকর বলেন, আমরা সেই সমস্ত ব্যক্তিত্বকেও রাখার চেষ্টা করেছি যারা সে সময় ভারতের বুকে কিছু অবদান রেখে গেছেন। শুধুমাত্র এটা আরএসএসের অনুষ্ঠান বলে আরএসএসের আদর্শের সঙ্গে মিল নেই এমন ব্যক্তিত্বদেরকে রাখা যাবে না এ কেমন কথা।