০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় না পশ্চিমারা: তুরস্ক                                   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় না পশ্চিমা বিশ্ব। তারা কেবল তাদের স্বার্থে এই সংঘাতকে  দীর্ঘায়িত করতে চায়। খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তিও ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে তুরস্ক।

 

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’শুরু করে রাশিয়া। এরপর ৬ মাস ধরে অভিযান অব্যাহত  রয়েছে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত দীর্ঘতর হওয়ার পিছনে আমেরিকা তথা পশ্চিমাদের সামরিক সহযোগিতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই।

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

 

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

চলমান সংঘাত নিরসনে শুরু থেকেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। দেশটির নেতাদের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এতে সংঘাতের অবসান না হলেও রাষ্ট্রসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য রফতানি বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে। এখন ইউক্রেন সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা।

 

সেই লক্ষ্যেই দিনরাত দৌড়াচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও তার কর্মকর্তারা। রাশিয়া ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেন অভিযানে ইতি টানার সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে। তবে পশ্চিমারা এ সংঘাতের অবসান দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছে আঙ্কারা।

 

ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় সাক্ষাৎকার দেন তুর্কি বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু। বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত অবসানের কোনও আগ্রহ নেই বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের।’ তুর্কি বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েকটি পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে। শুধু আমেরিকাই নয়, এর মধ্যে ন্যাটোর কয়েকটি সদস্য দেশও রয়েছে।’

 

পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন-রুশ খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কাভুসগলু। বলেন, ‘এমন দেশও রয়েছে যারা খাদ্যশস্য চুক্তি ভেস্তে দিতে চাইছে। যুদ্ধের কারণে আটকে থাকা ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানির জন্য ৩টি ইউক্রেনীয় বন্দর পুনরায় চালু করতে  তুরস্ক ও রাষ্ট্রসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় না পশ্চিমারা: তুরস্ক                                   

আপডেট : ২৫ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চায় না পশ্চিমা বিশ্ব। তারা কেবল তাদের স্বার্থে এই সংঘাতকে  দীর্ঘায়িত করতে চায়। খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তিও ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে তুরস্ক।

 

আরও পড়ুন: দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’শুরু করে রাশিয়া। এরপর ৬ মাস ধরে অভিযান অব্যাহত  রয়েছে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সংঘাত দীর্ঘতর হওয়ার পিছনে আমেরিকা তথা পশ্চিমাদের সামরিক সহযোগিতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই।

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

 

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

চলমান সংঘাত নিরসনে শুরু থেকেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তুরস্ক। দেশটির নেতাদের প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এতে সংঘাতের অবসান না হলেও রাষ্ট্রসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য রফতানি বিষয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে। এখন ইউক্রেন সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা।

 

সেই লক্ষ্যেই দিনরাত দৌড়াচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও তার কর্মকর্তারা। রাশিয়া ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেন অভিযানে ইতি টানার সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে। তবে পশ্চিমারা এ সংঘাতের অবসান দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছে আঙ্কারা।

 

ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানী আঙ্কারায় সাক্ষাৎকার দেন তুর্কি বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু। বলেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত অবসানের কোনও আগ্রহ নেই বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের।’ তুর্কি বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কয়েকটি পশ্চিমা দেশ যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে। শুধু আমেরিকাই নয়, এর মধ্যে ন্যাটোর কয়েকটি সদস্য দেশও রয়েছে।’

 

পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন-রুশ খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কাভুসগলু। বলেন, ‘এমন দেশও রয়েছে যারা খাদ্যশস্য চুক্তি ভেস্তে দিতে চাইছে। যুদ্ধের কারণে আটকে থাকা ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানির জন্য ৩টি ইউক্রেনীয় বন্দর পুনরায় চালু করতে  তুরস্ক ও রাষ্ট্রসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন।