০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ হামলায় তছনছ গোটা শহর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার
  • / 38

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক :  ইউক্রনের পূর্বাঞ্চলীয় সোলেদার শহরে এখনও তীব্র যুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনীয়  সেনাবাহিনীর

একজন মুখপাত্র আভাস দিয়েছেন, তাদের কমান্ডাররা সোলেদার থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা ভাবছেন।  ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোলেদারের পরিস্থিতিকে ‘কঠিন’ বলে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: Breaking: গোয়ালতোড়ে ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ

শহরটির বড় এলাকাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় মুখপাত্র বলেন, বাখমুত শহরের নিকটবর্তী সোলেদারে তাদের সেনারা রুশ ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি স্কুল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইলি সেনা

এর আগে বুধবার ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন দাবি করেন, সোলেদার শহরটি তারা দখল করেছে। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, যুদ্ধ এখনও জারি।

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের শোভাযাত্রায় কেন? আগুনে ভস্মীভূত করা হল দুই দলিতের বাড়ি

ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, ‘রুশরা তাদের হাজার হাজার লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি।’

আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সেনা অবস্থান বাড়াচ্ছে। হান্না বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনে রুশ সেনা ইউনিটের সংখ্যা ছিল ২৫০টি।  তবে মস্কো এখন ইউনিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০টি করেছে। এসব ইউনিটে নতুন নিয়োগ-পাওয়া সেনারা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লবণের খনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদার রাশিয়ার দখলে চলে গেলে তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহরটি ঘিরতে রুশ সেনাদের সহায়তা করবে। সোলেদারের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে স্যাটেলাইট ছবিতে। সোলেদারে ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন কাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি স্কুল এবং কয়েকটি কৃষিভবন। সোলেদার শহরের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। তবে রাশিয়া শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে তা ক্রেমলিনের জন্য সুবিধাজনক হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রুশ হামলায় তছনছ গোটা শহর

আপডেট : ১৪ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক :  ইউক্রনের পূর্বাঞ্চলীয় সোলেদার শহরে এখনও তীব্র যুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনীয়  সেনাবাহিনীর

একজন মুখপাত্র আভাস দিয়েছেন, তাদের কমান্ডাররা সোলেদার থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা ভাবছেন।  ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোলেদারের পরিস্থিতিকে ‘কঠিন’ বলে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: Breaking: গোয়ালতোড়ে ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ

শহরটির বড় এলাকাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় মুখপাত্র বলেন, বাখমুত শহরের নিকটবর্তী সোলেদারে তাদের সেনারা রুশ ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি স্কুল গুঁড়িয়ে দিল ইসরাইলি সেনা

এর আগে বুধবার ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন দাবি করেন, সোলেদার শহরটি তারা দখল করেছে। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, যুদ্ধ এখনও জারি।

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের শোভাযাত্রায় কেন? আগুনে ভস্মীভূত করা হল দুই দলিতের বাড়ি

ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, ‘রুশরা তাদের হাজার হাজার লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি।’

আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সেনা অবস্থান বাড়াচ্ছে। হান্না বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনে রুশ সেনা ইউনিটের সংখ্যা ছিল ২৫০টি।  তবে মস্কো এখন ইউনিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০টি করেছে। এসব ইউনিটে নতুন নিয়োগ-পাওয়া সেনারা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লবণের খনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদার রাশিয়ার দখলে চলে গেলে তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহরটি ঘিরতে রুশ সেনাদের সহায়তা করবে। সোলেদারের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে স্যাটেলাইট ছবিতে। সোলেদারে ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন কাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি স্কুল এবং কয়েকটি কৃষিভবন। সোলেদার শহরের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। তবে রাশিয়া শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে তা ক্রেমলিনের জন্য সুবিধাজনক হবে।