২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের টিকিটে কনসেশান নেই রেল বিমুখ হচ্ছেন প্রবীণরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 106

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কোভিড-কালে লকডাউনের সময় বন্ধ হয়ে যায় প্রবীণদের ট্রেন টিকিটের কনসেশন। সেই ছাড় এখনও ফেরেনি। আর এজন্যই হয়তো রেল যাত্রায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রদান নাগরিকরা। রেলের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ, এই চার বছরে রেলে গ্রামীণ নাগরিক যাত্রী সংখ্যা কমেছে দেড় কোটিরও বেশি। যার জেরে পবীণ নাগরিকদের টিকিট বিক্রি থেকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে রেলের আয় কমে গিয়েছে প্রায় ৩২১ কোটি টাকা।

 

আরও পড়ুন: ট্রেনগুলি থেকে হকার উচ্ছেদ করতে চলেছে রেল

প্রবীণ যাত্রীদের সংখ্যা বাড়তে কিছুদিন আগেই রেল দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল। প্রবীণ যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকিট কাটার সময় তাঁরা সুবিধাজনক যে আসন বা বাথ চাইবেন, সেটাই তাদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকরা টিকিট কাটার সময় সেই সুবিধা তো পাচ্ছেন না বরং যাঁদের নামের পাশে পছন্দের আসনের উল্লেখ করা হচ্ছে, তাদের চলে যাচ্ছে  আপার বা মিডিল বাথে। এমনকী ৬৬ বছরের এক প্রবীণ যাত্রীকে দেওয়া হয়েছে আপার বাথের রিজার্ভেসন। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: চূড়ান্ত সিলমোহর, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময়সূচি জানাল রেল

 

আরও পড়ুন: রেলওয়ের টিকিট চেকারদের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বডি ক্যামেরার সিদ্ধান্ত রেলের  

যাত্রী ভাড়া হ্রাস পাওয়ার জন্য রেল অবশ্য সাফাই দিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছিল, তাই যাত্রী-সংখ্যা কমেছে। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোটের উপর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায় তাই ওই সময় প্রবীণ যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে করোনা মহামারীর যুক্তি মোটেই খাটে না।

 

হাতেগোনা কয়েকটি ক্যাটাগরি চালু রেখে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ট্রেনের টিকিটে কনসেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে রেল। তা আদৌ ফের চালু হবে কিনা সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ছাড়ের ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রবীণ নাগরিকদের অনেক বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। ফলে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। সিনিয়ার সিটিজেন যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে এই ক্ষোভ কাজ করছে বলে অনেকে মনে করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রেনের টিকিটে কনসেশান নেই রেল বিমুখ হচ্ছেন প্রবীণরা

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কোভিড-কালে লকডাউনের সময় বন্ধ হয়ে যায় প্রবীণদের ট্রেন টিকিটের কনসেশন। সেই ছাড় এখনও ফেরেনি। আর এজন্যই হয়তো রেল যাত্রায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রদান নাগরিকরা। রেলের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ, এই চার বছরে রেলে গ্রামীণ নাগরিক যাত্রী সংখ্যা কমেছে দেড় কোটিরও বেশি। যার জেরে পবীণ নাগরিকদের টিকিট বিক্রি থেকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে রেলের আয় কমে গিয়েছে প্রায় ৩২১ কোটি টাকা।

 

আরও পড়ুন: ট্রেনগুলি থেকে হকার উচ্ছেদ করতে চলেছে রেল

প্রবীণ যাত্রীদের সংখ্যা বাড়তে কিছুদিন আগেই রেল দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল। প্রবীণ যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকিট কাটার সময় তাঁরা সুবিধাজনক যে আসন বা বাথ চাইবেন, সেটাই তাদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকরা টিকিট কাটার সময় সেই সুবিধা তো পাচ্ছেন না বরং যাঁদের নামের পাশে পছন্দের আসনের উল্লেখ করা হচ্ছে, তাদের চলে যাচ্ছে  আপার বা মিডিল বাথে। এমনকী ৬৬ বছরের এক প্রবীণ যাত্রীকে দেওয়া হয়েছে আপার বাথের রিজার্ভেসন। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: চূড়ান্ত সিলমোহর, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সময়সূচি জানাল রেল

 

আরও পড়ুন: রেলওয়ের টিকিট চেকারদের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বডি ক্যামেরার সিদ্ধান্ত রেলের  

যাত্রী ভাড়া হ্রাস পাওয়ার জন্য রেল অবশ্য সাফাই দিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছিল, তাই যাত্রী-সংখ্যা কমেছে। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোটের উপর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায় তাই ওই সময় প্রবীণ যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে করোনা মহামারীর যুক্তি মোটেই খাটে না।

 

হাতেগোনা কয়েকটি ক্যাটাগরি চালু রেখে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ট্রেনের টিকিটে কনসেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে রেল। তা আদৌ ফের চালু হবে কিনা সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ছাড়ের ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রবীণ নাগরিকদের অনেক বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। ফলে তৈরি হয়েছে তীব্র অসন্তোষ। সিনিয়ার সিটিজেন যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে এই ক্ষোভ কাজ করছে বলে অনেকে মনে করছেন।