০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যোগী গেরুয়া পোশাক পরলে অসুবিধা নেই, মুসলিমরা হিজাব পরলেই দোষ! সংসদে সরব সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: হিজাব বিতর্কের রেশ এবার সংসদে। কর্নাটকে হিজাবের সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলেও এবার এই  ইস্যুতে সংসদে সরব হল সিপিএম। মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরিধান করলে আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্ন তুলে এবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রের  সরকারকে আক্রমণ করলেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস।

সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তারা স্কুল কলেজে হিজাব পরার অনুমতি দিচ্ছে না। আমি এই যুক্তি মেনে নিলাম। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবসময় গেরুয়া পোশাক পরে থাকেন, তখন কেন আপত্তি হয় না।’ বিজেপি সরকার হিজাব ইস্যুতে এক গুঁয়েমি দেখানোয়  মুসলিম মেয়েরা অনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শুধুমাত্র হিজাব নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্ণাটকে এক লক্ষ মুসলিম পড়ুয়া স্কুল-কলেজ ছেড়েছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

ওই সিপিএম সাংসদের আরও বলেন, মুসলিমদের মধ্যে  শিক্ষা এবং সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে সাচার কমিটির রিপোর্ট কার্যকর করুক সরকার।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের সরকারি কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি  করেছিল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ। পালটা আসরে নামে হিন্দুত্ববাদীরা। বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেনি। আদালতে গিয়েও লাভ হয়নি হিজাব পড়ুয়া ছাত্রীদের।

আরও পড়ুন: কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন নববিবাহিত স্ত্রীর, ফের যোগী রাজ্যে নৃশংসতা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যোগী গেরুয়া পোশাক পরলে অসুবিধা নেই, মুসলিমরা হিজাব পরলেই দোষ! সংসদে সরব সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: হিজাব বিতর্কের রেশ এবার সংসদে। কর্নাটকে হিজাবের সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলেও এবার এই  ইস্যুতে সংসদে সরব হল সিপিএম। মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরিধান করলে আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্ন তুলে এবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রের  সরকারকে আক্রমণ করলেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস।

সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তারা স্কুল কলেজে হিজাব পরার অনুমতি দিচ্ছে না। আমি এই যুক্তি মেনে নিলাম। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবসময় গেরুয়া পোশাক পরে থাকেন, তখন কেন আপত্তি হয় না।’ বিজেপি সরকার হিজাব ইস্যুতে এক গুঁয়েমি দেখানোয়  মুসলিম মেয়েরা অনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শুধুমাত্র হিজাব নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্ণাটকে এক লক্ষ মুসলিম পড়ুয়া স্কুল-কলেজ ছেড়েছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নার্সিং কলেজে কাশ্মীরি ছাত্রীদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ছাত্র সংগঠনের

ওই সিপিএম সাংসদের আরও বলেন, মুসলিমদের মধ্যে  শিক্ষা এবং সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে সাচার কমিটির রিপোর্ট কার্যকর করুক সরকার।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের সরকারি কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি  করেছিল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন মুসলিম পড়ুয়াদের একাংশ। পালটা আসরে নামে হিন্দুত্ববাদীরা। বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করেনি। আদালতে গিয়েও লাভ হয়নি হিজাব পড়ুয়া ছাত্রীদের।

আরও পড়ুন: কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন নববিবাহিত স্ত্রীর, ফের যোগী রাজ্যে নৃশংসতা