০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এবার দুয়ারের সরকার কর্মসূচি পাচ্ছে সেরার সেরা স্বীকৃতি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 82

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আবার রাজ্যকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের। এবার দেশের সেরা প্রকল্প হিসেবে নির্বাচিত হল দুয়ারে সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই প্রকল্পকে দেশের সেরার সেরা প্রকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছে। আগামী সাত জানুয়ারি বিজ্ঞান ভবনে এই প্রকল্পের কারণে রাজ্য সরকারকে পুরস্কৃত করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২-র সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে প্লাটিনাম পুরস্কার দেওয়া হবে রাজ্যকে। নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প পথ দেখিয়েছে জাতীয় স্তরে। এবং এই প্রকল্পে যেভাবে সরাসরি মানুষ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পেয়েছে তা বাকি অন্য সমস্ত প্রকল্পের থেকে একবারে আলাদা এবং ইউনিক করে তুলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সোমবার এসেছে তারই স্বীকৃতি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সেরা থানার পুরষ্কার পেল বালুরঘাট থানা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিকে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প শুরু হয় ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। সরকারি পরিষেবাকে সরাসরি উপভোক্তাদের দরজায় পৌঁছে দিতে এবং সাধারণ মানুষকে সরাসরি বিভিন্ন সহজে সরকারি পরিষেবার সুযোগ দিতে এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজ্যগুলিতে হজ কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রককে উদ্যোগী হতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

 

কারণ দুয়ারে সরকার ছক ভেঙে সাধারণ মানুষকে দেখিয়েছিল সরকারি পরিষেবা পেতে এখন আর সরকারের দরজায় যেতে হয় না। বরং সরকারি আধিকারিকরা আসেন সাধারণ মানুষের দরজায় অর্থাৎ নাগরিকদের মহল্লায়। সে কারণেই বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করতে সরাসরি লাইনে দাঁড়াতে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেনের মাধ্যমিক রাজ্য সরকার সরকারি স্তরের মোট ২৭ টি প্রকল্পকে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা এখনো পর্যন্ত এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ছ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

 

জানা গিয়েছে, এই পরিষেবা প্রদানের জন্য এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ ক্যাম্প সম্পাদন করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি সম্পাদন হয়েছে। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ পর্যায়ের কর্মসূচি চলছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। দুয়ারে সরকার থেকে স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে, লক্ষীর ভান্ডার, কিষান ক্রেডিট কার্ড, রেশন কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন পরিষেবা সরাসরি নাগরিকের মহল্লায় পাওয়া যায় এর জন্য কোন সরকারি অফিসের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে হয় না।

 

প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে দুয়ারে সরকারের মতো একটি প্রকল্প যা সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত তা কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় এর লাভ সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস তার ভোট বাক্সে পেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত এ কথা ভুলে গেলে চলবে না শুধু এই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি নয়, ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি স্কচ আওয়ার্ডও জিতে নিয়েছে। প্রসঙ্গত আগামী ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি নিজে হাতে রাজ্যের আধিকারিকদের এই পুরস্কার তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে তবে এখনো পর্যন্ত নবান্নের তরফে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি, এই পুরস্কার নিতে রাজ্যের কোন মন্ত্রী যাবেন নাকি কোনো আধিকারিককে পাঠানো হবে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এবার দুয়ারের সরকার কর্মসূচি পাচ্ছে সেরার সেরা স্বীকৃতি

আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আবার রাজ্যকে স্বীকৃতি কেন্দ্রের। এবার দেশের সেরা প্রকল্প হিসেবে নির্বাচিত হল দুয়ারে সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই প্রকল্পকে দেশের সেরার সেরা প্রকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছে। আগামী সাত জানুয়ারি বিজ্ঞান ভবনে এই প্রকল্পের কারণে রাজ্য সরকারকে পুরস্কৃত করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

 

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২-র সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে প্লাটিনাম পুরস্কার দেওয়া হবে রাজ্যকে। নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প পথ দেখিয়েছে জাতীয় স্তরে। এবং এই প্রকল্পে যেভাবে সরাসরি মানুষ বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পেয়েছে তা বাকি অন্য সমস্ত প্রকল্পের থেকে একবারে আলাদা এবং ইউনিক করে তুলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সোমবার এসেছে তারই স্বীকৃতি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সেরা থানার পুরষ্কার পেল বালুরঘাট থানা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিকে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প শুরু হয় ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ষষ্ঠ পর্যায়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। সরকারি পরিষেবাকে সরাসরি উপভোক্তাদের দরজায় পৌঁছে দিতে এবং সাধারণ মানুষকে সরাসরি বিভিন্ন সহজে সরকারি পরিষেবার সুযোগ দিতে এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজ্যগুলিতে হজ কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রককে উদ্যোগী হতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

 

কারণ দুয়ারে সরকার ছক ভেঙে সাধারণ মানুষকে দেখিয়েছিল সরকারি পরিষেবা পেতে এখন আর সরকারের দরজায় যেতে হয় না। বরং সরকারি আধিকারিকরা আসেন সাধারণ মানুষের দরজায় অর্থাৎ নাগরিকদের মহল্লায়। সে কারণেই বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করতে সরাসরি লাইনে দাঁড়াতে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেনের মাধ্যমিক রাজ্য সরকার সরকারি স্তরের মোট ২৭ টি প্রকল্পকে সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা এখনো পর্যন্ত এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেনের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ছ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

 

জানা গিয়েছে, এই পরিষেবা প্রদানের জন্য এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ ক্যাম্প সম্পাদন করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি সম্পাদন হয়েছে। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ পর্যায়ের কর্মসূচি চলছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। দুয়ারে সরকার থেকে স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে, লক্ষীর ভান্ডার, কিষান ক্রেডিট কার্ড, রেশন কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন পরিষেবা সরাসরি নাগরিকের মহল্লায় পাওয়া যায় এর জন্য কোন সরকারি অফিসের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে হয় না।

 

প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বীকৃতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে দুয়ারে সরকারের মতো একটি প্রকল্প যা সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত তা কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় এর লাভ সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস তার ভোট বাক্সে পেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত এ কথা ভুলে গেলে চলবে না শুধু এই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি নয়, ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি স্কচ আওয়ার্ডও জিতে নিয়েছে। প্রসঙ্গত আগামী ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি নিজে হাতে রাজ্যের আধিকারিকদের এই পুরস্কার তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে তবে এখনো পর্যন্ত নবান্নের তরফে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি, এই পুরস্কার নিতে রাজ্যের কোন মন্ত্রী যাবেন নাকি কোনো আধিকারিককে পাঠানো হবে।