২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাক সরকারকে হুমকিবার্তা! এবার প্রকাশ্যে সেই নাম আনলেন ইমরান খান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 35

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দেশের এক চরম অস্থিরতার মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হুমকি বার্তা পাঠানোর অভিযোগে আরও ক্রমশই রাজনৈতিক জটিলতা ঘোরালো হয়েছে। ইমরান খান প্রকাশ্যে আনলেন সেই হুমকি বার্তার তথ্য। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো মার্কিন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকিমূলক বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত ডন প্রত্রিকা জানিয়েছে,’ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি হুমকি বার্তা পাঠিয়েছে।’

আরও পড়ুন: বুধবার কি জামিন পাবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?

ইমরান খানের দাবি, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াভিত্তিক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের মাধ্যমে ডোনাল্ড লু তাকে একটি ‘হুমকিমূলক চিঠি’ও  পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন ইমরান খান।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

গত সপ্তাহে দেশে একটি বক্তৃতায়,  ইমরান খান তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে বিরোধীদের আস্থার মধ্যে একটি “বিদেশী ষড়যন্ত্র” এর অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া হোক: মার্কিন কংগ্রেসম্যান

কে এই ডোনাল্ড লু?

ডোলান্ড লু একজন পররাষ্ট্র কর্মকর্তা। যিনি গত ৩০ বছর যাবত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। লু গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। এ অঞ্চল বিষয়ক যেকোনও সিদ্ধান্তে শীর্ষ কূটনীতিবিদের ভূমিকা পালন করেন তিনি।

এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ভারতে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডোনাল্ড লু। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়াতেও তিনি একই পদে কর্মরত ছিলেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাক সরকারকে হুমকিবার্তা! এবার প্রকাশ্যে সেই নাম আনলেন ইমরান খান

আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দেশের এক চরম অস্থিরতার মধ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হুমকি বার্তা পাঠানোর অভিযোগে আরও ক্রমশই রাজনৈতিক জটিলতা ঘোরালো হয়েছে। ইমরান খান প্রকাশ্যে আনলেন সেই হুমকি বার্তার তথ্য। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সরকারকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো মার্কিন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকিমূলক বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত ডন প্রত্রিকা জানিয়েছে,’ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি হুমকি বার্তা পাঠিয়েছে।’

আরও পড়ুন: বুধবার কি জামিন পাবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?

ইমরান খানের দাবি, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াভিত্তিক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদের মাধ্যমে ডোনাল্ড লু তাকে একটি ‘হুমকিমূলক চিঠি’ও  পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন ইমরান খান।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

গত সপ্তাহে দেশে একটি বক্তৃতায়,  ইমরান খান তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে বিরোধীদের আস্থার মধ্যে একটি “বিদেশী ষড়যন্ত্র” এর অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন: ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া হোক: মার্কিন কংগ্রেসম্যান

কে এই ডোনাল্ড লু?

ডোলান্ড লু একজন পররাষ্ট্র কর্মকর্তা। যিনি গত ৩০ বছর যাবত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। লু গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। এ অঞ্চল বিষয়ক যেকোনও সিদ্ধান্তে শীর্ষ কূটনীতিবিদের ভূমিকা পালন করেন তিনি।

এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ভারতে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডোনাল্ড লু। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়াতেও তিনি একই পদে কর্মরত ছিলেন।