০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র সবে মেরাজ , জেনে নিন এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, সোমবার
  • / 102

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আজ সোমবার, ২৬ রজব ১৪৪৩ হিজরি , বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে মেরাজ বা লায়লাতুল মিরাজ। এই পবিত্র দিন আল্লাহর এক অসীম কুদরত। এই দিনটিকে ইসলাম ধর্মে অন্যতম বিশেষ দিন হিসেবে গন্য করা হয়। এই পবিত্র রাতে মহান রাব্বুল আলামিন দেখিয়েছিলেন তাঁর এক অসীম নিদর্শন।

 

আরও পড়ুন: ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সুদ বিহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রস্তাবনা

আরবি রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ মেহমান হিসেবে ফেরেশতা জিবরাঈলের (আ.) সাথে আরশে আজিমে আরোহণ করেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সা.)। এই দিনের বিশেষ আমল সম্বন্ধে সেই ভাবে শরীয়তে উল্লেখ করা না হলেও এই দিনে ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন । এই জন্য এ রাতটি মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: আযানের জবাব কীভাবে দেবেন

 

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

এই দিনে উপলক্ষে মহান আল্লাহ তাআলা বনি ইজরাইলের আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) ১ নং আয়াতে বলেন – পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

 

মে’রাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনাঃ

 

হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত লাভের একাদশ বছরের রজব মাসে (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাক নামক বাহনে চেপে প্রথমে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল সালাত কায়েম করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.) সঙ্গে নবীজির (সা.) আল্লাহর সাক্ষাতের উদেশ্যে রওনা হন। এ সময় নবীজি (সা.) আকাশ মণ্ডলী বেহেশত-দোযখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য সম্পর্কে অবগত হন। এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন।

 

নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে তাঁর উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। প্রতিদিন নামাজে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদী সেই ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করেন। এমনকি তিনি আল্লাহর সাথে কথাবার্তা তাশাহুদ ( আত্তাহিয়্যাতু ) দিয়ে শুরু করেন। তবে এই দিনে নফল ইবাদত করতে কোনও বাধা নেই। শুধু এই দিন বলেই নয় নফল ইবাদত আপনি প্রতিদিনই করতে পারেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আজ পবিত্র সবে মেরাজ , জেনে নিন এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব !

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আজ সোমবার, ২৬ রজব ১৪৪৩ হিজরি , বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে মেরাজ বা লায়লাতুল মিরাজ। এই পবিত্র দিন আল্লাহর এক অসীম কুদরত। এই দিনটিকে ইসলাম ধর্মে অন্যতম বিশেষ দিন হিসেবে গন্য করা হয়। এই পবিত্র রাতে মহান রাব্বুল আলামিন দেখিয়েছিলেন তাঁর এক অসীম নিদর্শন।

 

আরও পড়ুন: ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সুদ বিহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রস্তাবনা

আরবি রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে মহান আল্লাহ তাআলার বিশেষ মেহমান হিসেবে ফেরেশতা জিবরাঈলের (আ.) সাথে আরশে আজিমে আরোহণ করেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সা.)। এই দিনের বিশেষ আমল সম্বন্ধে সেই ভাবে শরীয়তে উল্লেখ করা না হলেও এই দিনে ইসলামি ইতিহাসে বিশেষ বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন । এই জন্য এ রাতটি মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: আযানের জবাব কীভাবে দেবেন

 

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

এই দিনে উপলক্ষে মহান আল্লাহ তাআলা বনি ইজরাইলের আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) ১ নং আয়াতে বলেন – পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।

 

মে’রাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনাঃ

 

হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত লাভের একাদশ বছরের রজব মাসে (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাক নামক বাহনে চেপে প্রথমে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করেন। সেখানে অন্যান্য নবী-রাসুলের সঙ্গে দুই রাকাত নফল সালাত কায়েম করেন। তারপর সেখান থেকে সপ্তম আসমান পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত সফরে হজরত জিবরাইল (আ.) সঙ্গে নবীজির (সা.) আল্লাহর সাক্ষাতের উদেশ্যে রওনা হন। এ সময় নবীজি (সা.) আকাশ মণ্ডলী বেহেশত-দোযখ ও সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য সম্পর্কে অবগত হন। এবং পূর্ববর্তী নবীদের সাক্ষাৎ লাভ করেন।

 

নবীজি (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে তাঁর উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। প্রতিদিন নামাজে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের মাধ্যমে উম্মতে মোহাম্মদী সেই ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করেন। এমনকি তিনি আল্লাহর সাথে কথাবার্তা তাশাহুদ ( আত্তাহিয়্যাতু ) দিয়ে শুরু করেন। তবে এই দিনে নফল ইবাদত করতে কোনও বাধা নেই। শুধু এই দিন বলেই নয় নফল ইবাদত আপনি প্রতিদিনই করতে পারেন।